উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
ছুটির এক দুপুরে খেলছিলাম লুডো। সঙ্গে ছিল রূপক, দিতি, কন্যা শ্রেয়া সহ বেশ কয়েকজন। খেলতে খেলতে একঘেয়েমি কাটাবার জন্য, আমার মনে হল, একটা ম্যাজিক হয়ে যাক। সবাই আনন্দে হ্যাঁ হ্যাঁ করে উঠল। বললাম, তাসের একটা প্যাকেট, আর তিনটে লুডো খেলার ছক্কা নিয়ে আয়। শুরু হল নতুন একটা ম্যাজিকের খেলা।
তাস এবং ছক্কার ম্যাজিক
প্রথমেই আমি (জাদুকর) ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ লেখা একটা মুখবন্ধ খাম ওদের হাতে দিয়ে দিলাম। এবার তাসের প্যাকেট থেকে তাস বের করে সবাইকে দেখালাম। আর তিনটে ছক্কা তিনজনের হাতে দিয়ে চালতে বললাম। ছক্কাগুলি চালার পর উপরে কয়েকটি সংখ্যা এল (ধরা যাক, পাঁচ, দুই এবং চার)। এইবার যেকোনও একজন তাসের প্যাকেটের ওপর থেকে একটা একটা করে গুনে, ওই সংখ্যার তাসগুলি উপুড় করে টেবিলের ওপর রাখতে বললাম। তাহলে প্রথমে পাঁচটা তাস, তারপর দুটি তাস, আর তার ওপর চারটি তাস টেবিলের ওপর রাখা হয়েছে।
পুনরায় এই তিনটি ছক্কা উল্টো করে (Reverse) টেবিলে রাখতে বললাম। এক্ষেত্রে তাহলে এখন দুই, পাঁচ, তিন ওপরে দেখা যাবে। এখন আগের মতো দুইটি, পাঁচটি এবং তিনটি তাস এক এক করে গুনে টেবিল ফেলতে বললাম। সবশেষে যে তাসটা এল, সেটা ওদের চিৎ করে দেখতে বলা হবে। ধরা যাক ‘চিঁড়েতনের সাত’ (Seven of Clubs) এই তাসটা। অবাক কাণ্ড! ওরা এবার ভবিষ্যদ্বাণী লেখা খামটা দেখবে ভিতরে অনুরূপ একটা তাসের ছবি রয়েছে। অর্থাৎ আমার (জাদুকর) ভবিষ্যদ্বাণী নির্ভুল।
খেলাটা শিখবে?
তাহলে চুপিচুপি তোমাদের খেলার কৌশলটা বলি। সাধারণত, ছক্কার দুই দিকের সংখ্যার যোগফল সাত। এই সূত্রটাই আমি কাজে লাগিয়ে এই খেলাটা করলাম। তাই তিনটি ছক্কার উপর নীচের যোগফল হবে সবসময় একুশ। (সাত×তিন= একুশ)। শুরুতেই তাস মেলাবার সময় ওপর থেকে গুনে একুশ (২১) নম্বর তাসটা দেখে নাও। ব্যস, এইবার একটা সাদা কাগজে এই তাসের নামটা লিখে, খামে ভরে দর্শকবন্ধুর হাতে দিয়ে দাও। অথবা তোমার পছন্দের তাসটা একুশ নম্বরে রেখেও করতে পারো। সেক্ষেত্রে অবশ্যই তাসের ছবি জেরক্স, কিংবা প্রিন্টআউট করে খামে রাখলে খুব ভালো দেখতে লাগবে, যেমনটা আমি করি। লেখাটা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাতে-কলমে একবার অভ্যাস করে দেখো, নিজেই অবাক হয়ে যাবে। ছবি: সুফল ভট্টাচার্য