উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
কোতোয়ালি থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায় বলেন, কলেজের হস্টেলে ধৃতদের নিয়ে গিয়ে চুরির ঘটনার পুননির্মাণ করা হয়েছে। হস্টেলের রাঁধুনি বিশ্বনাথ বর্মন বলেন, ধৃতদের আগে কোনওদিন আমরা দেখিনি। আপাতত কাগজের থালাতেই হস্টেলের ছাত্রদের খাওয়ানো হচ্ছে। নতুন বাসন আনার ব্যাপারে মিটিং হয়েছে।
এদিন দুপুর সাড়ে ১১টা নাগাদ পুলিস ধৃত দু’জনকে হস্টেলে নিয়ে আসে। পুলিসকে তারা জানিয়েছে, তারা মাঝেমধ্যে এবিএন শীল কলেজের মাঠে খেলতে আসত। সেখান যাতায়াতের সূত্র ধরেই তারা হস্টেলের ডাইনিং হলে কাঁসার বাসন রাখার বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছিল। এরপরই তারা এগুলি চুরি করার ছক কষে। ধৃতদের মধ্যে একজন আগেও নানা ধরনের চুরি করে হাত পাকিয়েছিল। ধৃতদের দাবি, ঘটনার রাতে বৃষ্টি পড়ছিল। খালাসিপট্টিতে তারা মদ খেয়ে অপারেশনে নামে। ওই রাতে হস্টেলের গেট টপকে তারা ভিতরে ঢোকে। এরপর হস্টেলের ডাইনিং হলের পিছনের জানালাটিকে তারা হাত দিয়েই খুলে ফেলে। হাত দিয়েই তারা জানালার পুরানো শিক ভেঙে ফেলে। সেই শিক গলেই একজন দুষ্কৃতী ভিতরে ঢোকে। হস্টেলের ডাইনিং হলের কাছেই থাকা একটি বস্তাতে তারা বাসনগুলিকে ভরে ভাঙা জানালা দিয়ে বাইরে বের করে। তারা হস্টেলের বাইরে একটি নর্দমায় বস্তা ভর্তি বাসনগুলিকে লুকিয়ে রেখেছিল। এরপর ভোররাতে তারা সাইকেলে চাপিয়ে বাসনগুলিকে একটি দোকানে বিক্রি করার জন্য নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে তারা বাসন বিক্রি করতে পারেনি। এরপর তারা একটি রিকশ’তে চাপিয়ে ওই বাসনগুলি ঘাটপাড় এলাকার একটি দোকানে নিয়ে যায়। সেখানেই প্রায় ৩৭ কেজি বাসন তারা আট হাজার টাকায় বিক্রি করে। পুলিস সোর্স মারফৎ খবর পেয়ে ওই দু’জন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস আপাতত বাকি বাসনগুলি বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা করছে।