উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
বিরোধী দলগুলির দাবি, একাধিক এলাকায় তাদের কর্মী-সমর্থকদের ধমকানো হচ্ছে, এজেন্টদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যে সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে না সেই বুথগুলিতে ভোট লুট হবার আশঙ্কা তারা করছে। পঞ্চায়েতে নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না থাকায় বিরোধী শিবিরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য পুলিস মোতায়েন থাকায় অধিকাংশ বুথে সন্ত্রাস করে ভোট লুট করে শাসক দল। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শান্তিতে ভোট দিতে পারা নিয়ে ভোটার মধ্যেও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কমিশনের পুলিস পযর্বেক্ষক বিবেক দুবে বলেন, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট করাতে আমরা বালুরঘাটে ৫৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছি। ৮২ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। এর বাইরে কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে খবর পাওয়া মাত্র বাহিনী পাঠানো হবে।
বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ বলেন, বিরোধীদের সংগঠন নেই। তারা আতঙ্কে রয়েছে সেই নিয়ে। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রচুর কেন্দ্র বাহিনী মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। এখানে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হবে। বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে না। সেই বুথগুলিতে ভোট লুট করার সম্ভবনা থাকছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। বাম প্রার্থী রণেন বর্মন বলেন, আমরা ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছি। পাশাপাশি যে বুথগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে না তার আশপাশে যাতে জওয়ানরা টহলদারি করে সেই দাবিও করছি। অশান্তি হওয়ার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটের মতো এই নির্বাচনে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে অশান্তি সম্ভাবনা প্রবল থাকছে। রাতে গঙ্গারামপুর, তপন, কুমারগঞ্জ সহ একাধিক এলাকায় দুষ্কৃতীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের ভোট দিতে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ভোটারদের কাছে গিয়ে সব ঠিকঠাক আছে কি না খবর নিলেও সত্যি কথা প্রকাশ পাচ্ছে না বলেই এলাকার খবর। দুষ্কৃতীরা এমনও বলে বেড়াচ্ছে ভোট মিটলে কেন্দ্রীয় বাহিনী আর থাকবে না। তখন দেখা যাবে। রাজনৈতিক মহলের খবর জেলায় প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র মজুত হয়ে গিয়েছে। দুষ্কৃতীদের কাছে বোমা বারুদও মজুত রয়েছে। ভিন জেলা ও বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতী এনে রাখা হয়েছে বলেও চাউর হয়েছে। ভোটের দিন কারা, কীভাবে এদের কাজে লাগাবে, আর এরাই বা কী মূর্তি ধারণ করবে সেনিয়ে আমজনতার মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। বিরোধীদের দাবি, শাসক দলের তরফেই এসব ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও তৃণমূলের দাবি, বিরোধীরা হেরে যাবে বুঝতে পরে আগে থেকে গল্প ফেঁদে রাখছে।
নির্বাচন কমিশনের দাবি, সুষ্ঠুভাবে ভোট হবে। ১৬৭ টি বুথে সিসিটিভির মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচন কমিশন নজরদারি চালাবে। এছাড়াও আরও ৯৫টি বুথে সিসিটিভি রয়েছে। ৬৯টি বুথে ভিডিওগ্রাফি রাখা হয়েছে।