উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগামীদিনে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে আর নির্বাচন হতে দেবে না। দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিপন্ন। তাই এখনই বিজেপিকে উৎখাত করার উপযুক্ত সময়। কেন্দ্রের বিরোধিতায় এদিন তিনি বলেন, পাঁচ বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা কোনওটিই রাখতে পারেনি। ১৫ লক্ষ টাকা গরিব মানুষের ব্যাঙ্কে জমা পড়েনি। দু’কোটি বেকার মানুষের চাকরি হয়নি। বাংলার উন্নয়ন তহবিলে টাকা দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি এদিন তিনি আরও বলেন, বাংলায় হিন্দু মুসলমানের মধ্যে যুদ্ধ লাগতে আমরা দেব না। বাংলায় যদি যুদ্ধ হয় তবে তা হবে অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী মোদির মধ্যে।
কেন্দ্রীয় সরকারের জিএসটি, নোট বাতিল, এনআরসি সহ বিভিন্ন বিষয়কে হাতিয়ার করে এদিনের জনসভা থেকে বিজেপিকে তুলোধনা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমরা চায়ের সঙ্গে যে বিস্কুট খাই, সেই বিস্কুটে বর্তমানে বিজেপি সরকার আঠারো শতাংশ জিএসটি লাগু করেছে। অথচ যাদের কাছে সোনার বিস্কুট রয়েছে, তাদেরকে দিতে হচ্ছে মাত্র তিন শতাংশ জিএসটি। সেনাদের মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করার প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, সেনাবাহিনীর জওয়ানরা কি প্রধানমন্ত্রীর পৈতৃক সম্পত্তি? তিনি বলেন, চৌকিদার চোর হ্যায়। চুরি করলে তাঁকে চোর ছাড়া আর কী বলা যাবে। এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রের বিরোধিতায় সরব হয়ে অভিষেকবাবু বলেন, বিজেপি সরকার আবার ক্ষমতায় এলে রানাঘাটে কমবেশি ১৭ লক্ষ মানুষের মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষকে ঘরছাড়া হতে হবে। তাই দিল্লি থেকে সাম্প্রদায়িক পশুগুলোকে উৎখাত করতে হবে।
অভিষেকবাবু বলেন, আপনারা আগামী দিনে তৃণমূলকে ভোট দেবেন আর দিল্লিতে কোমর ভাঙবে প্রধানমন্ত্রীর। গোরু নিয়ে বিজেপি সরকার সাড়ে সাতশো কোটি টাকা খরচ করেছে। যে গোরু এতদিন দুধ দিত, সেই গোরুই এবার ওদের মুখে গোবর লেপে দেবে। বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে তিনি আরও বলেন, বোতলটা পাল্টেছে। নতুন বোতলে রয়েছে আগের সেই পুরনো মদ। যারা এতদিন সিপিএমের হার্মাদ ছিল, তারাই এখন বিজেপির জল্লাদ হয়েছে। এদেরকে বাংলা ছাড়া করতে হবে।
বিজেপির পাশাপাশি রাজ্যে সিপিএম ও কংগ্রেসকেও এদিন একসুরে আক্রমণ করেন যুবনেতা। বলেন, কেন্দ্রে বিজেপির বিরুদ্ধে সিপিএমের বিমান বসু ও কংগ্রেসের অধীর চৌধুরি কেন্দ্রের বিরোধিতা করেননি। সিপিএম ও বিজেপির উদ্দেশ্যে নাম না করে তিনি বলেন, আগে অনেকেই কেন্দ্রের বিরোধিতা করেছিল। এখন তাদের অনেকেই ঘরে ঢুকে গিয়েছে। অনেকেই বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
অন্যদিকে, রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী রুপালি বিশ্বাসকে বিপুল পরিমাণ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করানোর ডাক দেন। রানাঘাটের রেললাইনের ওপারে পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় একটি মাঠে নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত ছিলেন নদীয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু, মন্ত্রী রত্না ঘোষ কর, রানাঘাটের দুই বিধায়ক সমীরকুমার পোদ্দার ও শংকর সিংহ, রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়, শান্তিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান অজয় দে, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ বর্ণালী দে প্রমুখ। তৃণমূলের এই জনসভা ঘিরে দুপুর থেকেই দলীয় কর্মী সমর্থকরা জনসভার মাঠে ভিড় জমাতে শুরু করেন। পাশাপাশি জনসভার মাঠের পাশে এদিন দুপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার দেখতেও ভিড় জমান স্থানীয় মানুষ।