উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এদিন বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ এই রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে সঙ্গে নিয়ে শ্যামপুরে পৌঁছন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। মঞ্চে তখন ছিলেন জেলা বিজেপির সভাপতি (গ্রামীণ) অনুপম মল্লিক, এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, উলুবেড়িয়া (পূর্ব) বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী প্রত্যুষ মণ্ডল প্রমুখ। গত বৃহস্পতিবার আমতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভায় লোক হয়নি। তাই এদিনের সভায় যাতে লোক আসে, তার জন্য প্রথম থেকেই উদ্যোগী ছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাছাড়া সভাস্থলে দর্শকাসনে ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে আবহাওয়া গত কয়েকদিনের তুলনায় ভালো থাকায় লোক ভালোই হয়েছিল। এদিন প্রায় আধ ঘণ্টার ভাষণে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, এক সময় এই বাংলা গোটা দেশকে দিশা দেখাত। এই বাংলা এখন মাফিয়ারাজ, সিন্ডিকেটরাজে ভরে গিয়েছে। আর তা চালাচ্ছে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। এই বাংলায় দূর্গাপুজো, সরস্বতীপুজো হতো। এই বাংলার একটি ঐতিহ্য ছিল। কিন্তু, ‘মমতা দিদি’ এই বাংলায় দুর্গাপুজো বন্ধ করে দিতে চাইছেন। দুর্গাপুজোকে নরেন্দ্র মোদি ইউনেস্কোতে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাতে বাধা সৃষ্টি করছেন। তৃণমূলকে এই রাজ্য থেকে না সরাতে পারলে বাংলার হৃতগৌরব ফিববে না।
এদিনের সভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, গত পাঁচ বছরে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্য নরেন্দ্র মোদির সরকার ৪ লক্ষ ২৪ হাজার কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে। কিন্তু, এই টাকা রাজ্যের মানুষের উপকারে লেগেছে? না লাগেনি। তা তৃণমূলের মস্তানদের পিছনে গিয়েছে। এদিন এনআরসি ইস্যু নিয়েও মুখ খোলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, এই রাজ্যে যে সমস্ত অনুপ্রবেশকারী আছে তাদের আমরা তাড়াবই। কিন্তু, শরণার্থীদের কোনও সমস্যা হবে না। আমরা ক্ষমতায় এসে প্রথমেই সিটিজেন্স অ্যামেন্ডমেন্ট বিল আনব। তাতে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু, যে সমস্ত অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশ থেকে এসে এদেশে রয়েছে, তাদের তাড়াতেই হবে। তা না হলে এই রাজ্যের মানুষের কোনও উপকার হবে না। কিন্তু তৃণমূল এই অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে রাজি নয়। কারণ এই অনুপ্রবেশকারীরাই তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক।
রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে অমিত শাহ বলেন, এই রাজ্যের অর্থনীতি অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় আছে। বেকার সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। আর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। গত পঞ্চায়েত ভোটে প্রচুর মানুষ ভোট দিতে পারেননি। কিন্তু, এবার আমরা নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছিলাম, নিরপেক্ষভাবে ভোট পরিচালনা করার জন্য। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে ভোট পরিচালনা করছে। প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয়বাহিনী থাকবে। আমাদের কর্মীরাও প্রতিটি বুথে থাকবে। তৃণমূলের গুণ্ডারা এবার আর সাধারণ মানুষকে ভোট দানে বাধা দিতে পারবে না।