উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
বিধানসভার সদস্যপদ না ছেড়ে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে চলে গিয়েছিলেন কান্দির অপূর্ব সরকার, নওদার আবু তাহের, ইসলামপুরের কানাইয়ালাল আগরওয়াল। মালদহ উত্তরের সিপিএম বিধায়ক লোকসভা ভোটের মুখে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ভাটপাড়ার অর্জুন সিংও একইভাবে তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এঁরা প্রত্যেকেই লোকসভায় লড়াই করছেন। পরিষদীয় বিধি অনুসারে অন্য দলে যোগ দেওয়া বিধায়করা সাবেক দল থেকে ইস্তফা দিয়ে তবেই মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারেন। সেই কারণে সংশ্লিষ্ট দলের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়েছে এই ছ’জনকে। অপূর্ব সরকার বহরমপুরে, আবু তাহের মুর্শিদাবাদে এবং কানাইয়ালাল রায়গঞ্জে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। দার্জিলিংয়ের মোর্চা বিধায়ক অমর সিং রাই তৃণমূলের জোড়াফুল প্রতীকে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মালদহ উত্তর লোকসভা আসনে পদ্মফুল প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন খগেন মুর্মু। অর্জুন সিং বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন বারাকপুর লোকসভা আসনে।
২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী দলনেতার পদ পায় কংগ্রেস। কিন্তু দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের গোড়া থেকেই কংগ্রেসের ভাঙন শুরু হয়েছিল। তাছাড়া উপনির্বাচনেও কংগ্রেস তৃণমূলের কাছে সবং ও নোয়াপাড়া আসন দুটি হারায়। কংগ্রেস সদস্যরা দল ছাড়লেও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি। ফলে, খাতায়-কলমে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা অক্ষুন্ন ছিল কংগ্রেসের। এবার লোকসভায় প্রার্থী হতে গিয়ে অপূর্ব সরকার, কানাইয়ালাল এবং আবু তাহের কংগ্রেসের টিকিটে জেতা বিধায়ক পদ ছাড়তে বাধ্য হন। ফলে সরকারিভাবে আরও তিনজন সদস্য কমে যায় কংগ্রেস পরিষদীয় দলের। গত বিধানসভায় তাদের সদস্য সংখ্যা ছিল ৪১। তার থেকে আগেই দুই কমে গিয়েছিল। এবার আরও তিনজন কমে যাওয়ায় সরকারিভাবে ৩৬ জন বিধায়ক রয়েছেন কংগ্রেসের। অবশ্য এছাড়া আরও তিনজন কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিলেও পদ ছাড়েননি। একজন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, নিজেদের দখলে থাকা ভাটপাড়া সহ সবকটি আসনেই তাঁরা উপনির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসন জেতার লক্ষ্যে নেমেছেন। স্বভাবতই, সেই প্রচারের ঝড়ে উপনির্বাচনের প্রস্তুতি সেরে ফেলতে তৎপর তৃণমূল। পার্থবাবু জানান, খুব শীঘ্রই দলনেত্রী প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করবেন। তিনি নিশ্চিত, বিধানসভায় তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা আরও ছ’জন বাড়বে। কেননা ভাটপাড়ার আসন ধরে রাখার পাশাপাশি মালদহে এবার সরাসরি ভোটে লড়ে বিধানসভায় খাতা খুলতে চায় তৃণমূল। কেননা, ২০১৬ সালে এই জেলায় একটি আসনও জেতেনি রাজ্যের শাসকদল। কংগ্রেস সূত্রের খবর, এদিন থেকেই ছয় কেন্দ্রের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র জানান, দিন দুয়েকের মধ্যে রাজ্যের সুপারিশ (কেন্দ্র পিছু তিনটি নাম) বায়োডাটা সহ এআইসিসিকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। একইভাবে বিজেপিও তাদের সুপারিশ তালিকা রাজ্য সভাপতি মারফত কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির অনুমোদনের জন্য পাঠাতে চলেছে। বামফ্রন্ট সূত্রের দাবি, ছটি আসনেই লড়াই করবে তারা।