উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দা গুপ্তা প্রধান বলেন, চিতাবাঘের আতঙ্কে আমাদের দিন রাত কাটছে। কারণ চিতাবাঘ এখন দিনেও দেখা যাচ্ছে। রাতে তো কথাই নেই, সন্ধ্যা থেকেই চিতাবাঘের গর্জন শুরু হয়ে যায়। গত এক সপ্তাহে আমাদের তিনটি গ্রামের ৮০টি গোরু ছাগল তুলে নিয়ে খেয়ে ফেলেছে চিতাবাঘের দল। এছাড়াও সন্ধ্যায় রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করাই যায় না। চিতাবাঘ তাড়া করে। রাতে গ্রামে চিতাবাঘ ঢুকলে আমরা টের পেলেও কেউ বাড়ি থেকে বের হতে সাহস পাই না। এর ফাঁকেই একে একে গোরু ছাগল টেনে নিয়ে চলে যাচ্ছে চিতাবাঘের দল। বানারহাটের পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের কর্মকর্তা ভিক্টর বসু বলেন, আসলে জঙ্গলে খাবার নেই। তাই চিতাবাঘগুলি লোকালয়ে চলে আসছে। কারণ গ্রামের পাশে ঝোঁপঝাড়ে থেকে সহজে গৃহপালিত পশুর নাগাল পেয়ে যাচ্ছে। ওই গ্রামগুলিতে এখন যে অবস্থা তাতে কাউকেই একা ঘর থেকে বের হওয়া উচিত নয়। গেলে আত্মরক্ষার জন্য বোম পটকা লাঠিসোঁটা সঙ্গে রাখতে হবে। বনদপ্তরের বিন্নাগুড়ি রেঞ্জের রেঞ্জার অর্ঘ্যদ্বীপ রায় বলেন, ওখানে চিতাবাঘ ধরার জন্য একটি খাঁচা পেতে রাখা হয়েছে। দ্রুত সেখানে গিয়ে নতুন পদ্ধতিতে খাঁচা রাখার ব্যাবস্থা করা হবে। তাহলে চিতাবাঘ অবশ্যই ধরা পড়ে যাবে।
তোতাপাড়া এবং ডায়না জঙ্গলের পাশেই রয়েছে এই তিনটি গ্রাম। ডুডুমারি বস্তিটি বানারহাট ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে। জ্বালাপাড়া ও আলে বস্তিটি বানারহাট ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে। এই এলাকায় চিতাবাঘের সঙ্গে হাতির উপদ্রবও রয়েছে। মাঝেমধ্যেই এই এলাকায় হাতি ঘরবাড়ি ভেঙে দেয়। এবারে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো চিতাবাঘের হামলা শুরু হয়েছে। এলাকার কুমার প্রধান, কাঞ্চাহা রাই, পাতা সাঁওতাল, কাঞ্ছি ছেত্রি, গোপাল ছেত্রি, গুপ্তা প্রধান, তুলেশ্বর রাই, সহ বহু বাসিন্দার গোরু ছাগল তুলে নিয়ে খেয়ে ফেলেছে চিতাবাঘের দল।