উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এদিন তিনি বেলা ১২টা নাগাদ কড়া রোদ উপেক্ষা করে প্রথমে বনগাঁর আরএস মাঠে জনসভা করেন। তারপর বিকাল ৪টে নাগাদ হুগলির বাঁশবেড়িয়ার পঞ্চাননতলা ফুটবল মাঠে হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে জনসভা করেন। দু’টি সভাতেই তিনি মোদি সরকারের সাফল্যের খতিয়ানও তুলে ধরেন। বনগাঁর সভা থেকে তিনি বলেন, আগে এই বাংলায় সিপিএমের গুণ্ডামি ছিল। এখন আরও বর্বরভাবে তৃণমূল গুণ্ডামি করছে। তাই এই বাংলায় শিল্প নেই। চাকরিও নেই। আপনাদের এক একটি ভোট মোদিজির সরকার তৈরি করতে সাহায্য করবে।
এদিন বাঁশবেড়িয়ার সভা থেকে তিনি বলেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় না থাকলে এই বাংলার অনেক জেলা আজ বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হতো। তার মধ্যে মুর্শিদাবাদ অন্যতম। বাংলা বেকারত্ব, অরাজকতা ও গুন্ডাগিরির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। এখানে দুর্গাপুজো ও রামনবমী রোখার চেষ্টা করছে সরকার। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনে ভয় পেয়ে প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চলছে। দু’বছর আগে উত্তরপ্রদেশেও বাংলার মতো অবস্থা ছিল। হোলি, দীপাবলি, শিবরাত্রীতে সাধারণ মানুষ অংশ নিতে পারতেন না। বাধা দেওয়া হত। সর্বত্র গুণ্ডারাজ চলত। আমরা সব গুন্ডাদের ঠান্ডা করে দিয়েছি। তারা হয় জেলে, না হয় ‘রাম নাম সত্য হ্যায়’ হয়ে গিয়েছে।
তিনি বলেন, এই রাজ্যে গণতন্ত্র কীভাবে লুণ্ঠিত হচ্ছে সেটা আপনারা পঞ্চায়েত ভোটে দেখেছেন। তাই নতুন ভারত নির্মাণের জন্য ফের মোদিজিকেই চাই। এ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা চতুর্থ বেতন কমিশন অনুযায়ী টাকা পান। কিন্তু যেখানে বিজেপি শাসিত রাজ্য রয়েছে, সেখানে সরকারি কর্মীদের জন্য সপ্তম বেতন কমিশন চালু হয়ে গিয়েছে। এটা বাংলার সরকারের ব্যর্থতা। সিঙ্গুর প্রসঙ্গে বলেন, এখান থেকে টাটারা চলে গিয়েছে। এলাকার মানুষ চাকরি ও অনান্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। জমি ফেরানোর প্রতিশ্রুতিও বাস্তবায়িত হয়নি।
কংগ্রেসের ইস্তাহারের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, সাধারণ মানুষকে যে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, সেই টাকা আসবে কোথা থেকে? আগের সরকার থাকাকালীন সিন্দুকে রাখা টাকা থেকে? এদিনের বাঁশবেড়িয়ার সভায় হুগলি লোকসভার বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ দলের স্বপন পাল, রাজকমল পাঠক ও রাজকুমারী কেশরী প্রমুখ রাজ্য নেতৃত্বও উপস্থিত ছিলেন।