উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এদিন সকালে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শতাব্দী রায়ের সমর্থনে রামপুরহাটে রোড-শো করেন ফিরহাদ হাকিম। রামপুরহাট-১ ব্লক ও শহর থেকে বহু কর্মী-সমর্থক রোড-শো’য়ে অংশগ্রহণ করেন। পুরসভার মাঠ থেকে হুড খোলা জিপে চেপে রোড-শো শুরু করেন পুরমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলার তৃণমূল সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ। গোটা শহর প্রদক্ষিণ করার পর পাঁচ মাথা মোড়ে সভা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুকুল রায়কে আক্রমণ করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, এখানে একটা ফ্লেক্স দেখলাম। দিলীপ ঘোষের ছবি নীচে। আর মোদির পাশে মুকুল রায়ের ছবি। অর্থাৎ যে দলের নিজের কোনও অস্তিত্ব নেই। তৃণমূল থেকে ভাড়া করে নেতা করতে হয়। আজ পুরো ভারতবর্ষে এমন হাবভাব করছে যেন মনে হচ্ছে আবার ক্ষমতায় আসবেন মোদি। সে গুড়ে বালি। কারণ, তুমি আচ্ছে দিন আসার কথা বলে মানুষকে ধোঁকা দিয়েছো। নোটবন্দি করে তো কালো টাকা এল না। জিএসটি করে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিলে। মানুষ বলছে আচ্ছে দিনের দরকার নেই। বুরা দিনই ভালো ছিল।
পুরমন্ত্রী বলেন, বাংলায় মোদির দুই অনুচর দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়। এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে সংগঠন হবে! মমতার সঙ্গে লড়াই করবে? মুকুল রায় মোদিকে বাংলা থেকে দাঁড়ানোর জন্য বলছেন। মুখ্যমন্ত্রীর বদন্যতায় রাজ্যসভার সদস্য ও রেলমন্ত্রী হয়েছিলেন। তাঁর হিম্মত নেই, কাঁচরাপাড়ার একটি কাউন্সিলার সিটে জিতে আসার। তিনি নাকি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে আনবেন। কুঁজোর সাধ হয়েছে চিৎ হয়ে শোওয়ার। মুখ্যমন্ত্রী হবেন। এটা তাঁর দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছুই নয়। দাঙ্গার দলকে চিরবিদায় জানান।
বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যত মস্তানি বাংলায় এসে দেখাচ্ছে। যেখানে বাংলায় সবকটি বুথে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে। এটা মোদির ষড়যন্ত্র। বাংলার মানুষকে অপমান করতে সবসময় শৃঙ্খলাহীন বলা। অথচ নির্বাচন কমিশনের কোমরে জোর নেই, যখন মোদি সার্জিকাল স্ট্রাইক ও শহিদদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচার করছেন, তখন তাঁর মুখ বন্ধ করার। যেখানে সুস্থ নির্বাচন হচ্ছে সেখানে এসে যত লম্ফঝম্ফ, হম্বিতম্বি। মোদির নির্বাচনী কেন্দ্র বারানসীতে মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয় না। সেখানে নির্বাচন কমিশন চুপ করে রয়েছেন। এরাজ্যে কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি এক হয়েছে। তারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করছে। যতই করুক, নির্বাচন কমিশন বাংলায় কিছু করতে পারবে না। বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন। এনআরসি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অমিত শাহ এখানে এনআরসি করতে এলে আর গুজরাতে ফেরত যাবে না। বাংলার মানুষ তাঁর ঠ্যাং ভেঙে দেবেন।