উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
অমিত শাহের পলাশী যুদ্ধের মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, পলাশীর যুদ্ধে সিরাজউদ্দোলা পরাজিত হয়েছিলেন। আর ইংরেজরা ক্ষমতায় এসেছিল। তাহলে অমিত শাহ স্বীকার করে নিলেন বিজেপি ইংরেজদের মতোই শাসক। অত্যাচারী তারা। সবাইকে পরাধীন করতে চায় তারা।
এদিন কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবের সমর্থনে গভর্নমেন্ট কলেজ নির্বাচনী জনসভা করেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। জনসভায় যখন অমিত শাহ পৌঁছান তখন দুপুর সোয়া একটা। মঞ্চে প্রার্থী ছাড়াও ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, জেলা সভাপতি মহাদেব সরকার প্রমুখ। তবে অসুস্থতার কারণে এদিন মঞ্চে হাজির হতে পারেননি সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় ওরফে জলুবাবু। জনসভায় বক্তব্য রাখতে উঠে জলুবাবুর নাম নিয়ে শ্রদ্ধা জানান অমিত শাহ। একই সঙ্গে পুলওলামা কাণ্ডে নিহত জওয়ান সুদীপ বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা জানান তিনি। তারপরই বক্তব্য রাখতে গিয়ে নদীয়ার প্রসঙ্গ তুলে লোকসভা নির্বাচনকে পলাশী যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, নবদ্বীপ শ্রীচৈতন্যর জন্মভূমি। ভাগীরথীর পশ্চিম কিনারে শ্রীচৈতন্য ভক্তি আন্দোলন শুরু করেছিলেন। পরবর্তীকালে সারা বাংলা জুড়ে সেই আন্দোলন চলে। আজ যা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক মন্দির তিনি নির্মাণ করেছিলেন। অনেক মন্দিরের দেওয়ালে ভক্তির চিত্র সাজিয়েছেন। এখানে বৈদিক শিক্ষার কেন্দ্র ছিল। শান্তিপুরের মন্দিরেরও ইতিহাস আছে। আর এই নদীয়াতেই পলাশীর যুদ্ধ হয়েছিল। যে যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে বিশ্বাসঘাতকতা করে ইংরেজরা পরাজিত করে। আগামী লোকসভা নির্বাচনও পলাশী যুদ্ধের চেয়ে কম নয়। পলাশী যুদ্ধের মতোই এই নির্বাচন। এই নির্বাচন নির্ণয় করবে বাংলার সংস্কৃতি থাকবে, নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নষ্ট করবে। এই নির্বাচন নির্ণয় করবে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো মানুষ এই ভোট দিতে পারবে না। নাকি দিতে পারবে। গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হবে। ভারতীয় জনতা পার্টি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ছে। এই বাংলায় আমাকে বারবার আসতে হয়। উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্র আমি গিয়েছি। যেখানেই গিয়েছি, একটাই স্লোগান শুনেছি এবার মোদি, মোদি, মোদি।
এদিন এনআরসি ইস্যুতে কৃষ্ণনগর থেকে ফের হুঙ্কার ছাড়েন অমিত শাহ। তিনি বলেন, অনুপ্রবেশকারী তাড়ানো উচিত কি নয়? এদের তাড়াবে একমাত্র বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। কিন্তু ভালো করে বুঝুন, যেসব শরণার্থী এসেছেন, হিন্দু, শিখ, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন এদের আমরা নাগরিকত্ব দেব। ভাইদের আমরা সম্মান দেব। সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল আমরা নিয়ে এসেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা রুখে দিয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের আমরা নাগরিকত্ব দেব। নরেন্দ্র মোদিকে জিতিয়ে আনুন, আমরা নাগরিকত্ব দেব। আর অনুপ্রবেশকারীদের চুন চুন করে এখান থেকে তাড়াব। এদিনের জনসভায় মাঠ ভর্তি জনসমাগম দেখে উচ্ছ্বসিত হন বিজেপি নেতারা।