উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
আজ যে পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রে এদিন ভোট হচ্ছে, তার মধ্যে চারটিই রয়েছে বিরোধীদের দখলে। মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলার কংগ্রেসের গড়ে ঘাসফুল ফোটানোর মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী। সেই লক্ষ্যে উত্তর মালদহ কেন্দ্রে ঘাসফুল শিবির প্রার্থী করেছে কংগ্রেস থেকে আসা মৌসম বেনজির নুরকে। একইভাবে মুর্শিদাবাদ লোকসভা আসনে আবু তাহেরকে তৃণমূল প্রার্থী করেছে। আবু তাহের দীর্ঘদিনের কংগ্রেস বিধায়ক ও জেলা কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। ফলে এই দুই কেন্দ্রের প্রতি জেলার ভোটারদের পাশাপাশি রাজ্যের মানুষেরও প্রবল আগ্রহ রয়েছে।
তৃতীয় দফার ভোটপর্ব শান্তিতে সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে। এই তিন জেলার রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে তাঁদের চাহিদা ও অভিযোগ শুনেছেন নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কমিশনের অফিসাররা। বিরোধী দলের নেতাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মালদহ জেলার পুলিস সুপার অর্ণব ঘোষকে ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগে সরিয়ে দিয়েছে কমিশন। তার জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছেন অজয় প্রসাদ। মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কিছু পদস্থ অফিসারের বিরুদ্ধে বিরোধীরা নানা অভিযোগ তুললেও কমিশন পাত্তা দেয়নি। তবে, কড়া নজরদারি জারি রেখেছে। বিরোধীদের দাবি মেনে নিয়ে যতটা বেশি সম্ভব আসনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কমিশন। তবে, তার মধ্যে বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে।
মালদহ জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মালদহ জেলায় ১০৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। জেলায় মাত্র ৮ শতাংশ বুথে ভোটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে রাজ্য পুলিস। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কর্তারা জানিয়েছেন, জেলায় ভোটের কাজের জন্য ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাওয়া গিয়েছে। তা দিয়ে ৮২শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া সম্ভব হবে। বাকি ১৮শতাংশ বুথের দায়িত্বে থাকবে রাজ্য পুলিস। তৃতীয় দফায় মোট ভোটারের সংখ্যা হল ৮০,২৩,৮৪৬। মোট বুথের সংখ্যা ৮৫২৮। ভোটগ্রহণের সময় হল সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা ছ’টা। আজ মঙ্গলবার ৬১ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ণয় হবে। এর মধ্যে ছ’জন মহিলা প্রার্থী।