উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
জানা গিয়েছে, এই জেলায় রয়েছে অনন্তনাগ, দুরু, কোকেরনাগ, সানগুস, বিজবেহারা ও পহেলগাঁও— মোট ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্র। জেলার মোট ভোটার ৫ লক্ষ ২৯ হাজার ২৫৬ জনের মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৬০৩ ও মহিলা ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫৪০। ভোটগ্রহণের জন্য স্পর্শকাতর এই জেলায় মোট ৭১৪টি পোলিং স্টেশন রাখা হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। অনন্তনাগ জেলার ৯০ শতাংশ বুথকেই ‘অতিরিক্ত স্পর্শকাতর’ ও মাত্র ১০ শতাংশ বুথকে ‘স্পর্শকাতর’ বলে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। ‘অতিরিক্ত স্পর্শকাতর’ বুথগুলিতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তাবলয় রাখা হবে বলে পুলিস সূত্রে খবর। সিআরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলওয়ামা, অনন্তনাগ, কুলগাঁও ও সোপিয়ান জেলায় অতিরিক্ত ৩০০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও জানা গিয়েছে, এই জেলার মোট ১৮ জন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জি এ মীর এবং অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি হাসনাইন মুসদি। অনন্তনাগ কেন্দ্রে কোনও প্রার্থী দেয়নি সিপিএম। যদিও তারা ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রার্থীকে সমর্থন করবে বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে। জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস্ কনফারেন্সের তরফে প্রার্থী হয়েছেন চৌধুরী জাফর আলি। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে মাত্র ১.২৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বিজেপি। সেকথা মাথায় রেখে এবার গেরুয়া শিবিরের তরফে বিধান পরিষদ সদস্য সোফি ইউসুফকে প্রার্থী করা হয়েছে। একাধিক ছোট দলের পাশাপাশি ১০ জন নির্দল প্রার্থীও এই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে বিপুল জনসমর্থন পেলেও বিজেপির সঙ্গে জোট সরকার গড়ার পর থেকেই বদলে যায় পরিস্থিতি। হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকে একের পর এক হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অনন্তনাগ। বাবা মুফতি মহম্মদ সৈয়দের মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য এই কেন্দ্র থেকে পদত্যাগ করেন মেহেবুবা মুফতি। উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্য তাঁর ছেড়ে যাওয়া আসনে পুনর্নির্বাচন পর্যন্ত করা যায়নি। এবারের নির্বাচনের আগে ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি, বিজেপি ও কংগ্রেসের মতো দলগুলিকে কঠোর নিরাপত্তার মোড়কে ভোটপ্রচার সারতে হয়। নির্বাচনী প্রচারের সময় পাথর হামলার পাশাপাশি ছোটখাটো জঙ্গি হামলার মতো ঘটনা ঘটে। নির্বাচনের জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার সময় একটি গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গ্রেনেড হামলার ঘটনাও ঘটে। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীদেরও নির্বাচনী প্রচারে বিশেষ দেখা যায়নি। এমনকী, হামলার আশঙ্কায় এলাকাভিত্তিকভাবে প্রচার বা র্যা লিতে অংশ নেননি ভোটপ্রার্থীরাও।