উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এই দফায় উত্তরপ্রদেশের ১০টি লোকসভা আসনের নির্বাচন সপা এবং বিজেপি, দুই দলের কাছেই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মোট ১২০ জন প্রার্থীর ভাগ্য ঠিক করবেন ১ কোটি ৭৬ লক্ষ ভোটার। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই ১০টি আসনের মধ্যে সাতটিতেই জয়ী হয়েছিল বিজেপি। প্রবল বিজেপি ঝড়েও এর মধ্যে যাদব পরিবারের পাঁচ জন প্রার্থীর মধ্যে তিন জন জয়লাভ করেছিলেন সেবার। এবারও মৈনপুরী, বদায়ুন এবং ফিরোজাবাদ থেকে লড়ছেন সেই তিন জনই- মুলায়ম সিং যাদব এবং তাঁর দুই ভাইপো ধর্মেন্দ্র ও অক্ষয় যাদব। ফিরোজাবাদে অক্ষয়ের বিরুদ্ধে আবার প্রার্থী হয়েছেন মুলায়মের ভাই শিবপাল যাদব। সপা ছেড়ে প্রগতিশীল সমাজবাদী পার্টি (লোহিয়া) গঠন করেছেন তিনি। ভোটের আগেই বিজেপি প্রার্থী তথা সপা ত্যাগী অভিনেত্রী জয়াপ্রদার ‘অন্তর্বাস’ নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়ে ছিলেন রামপুরের সপা প্রার্থী আজম খান। তাঁর প্রচারে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। আগামীকাল ইভিএমে লড়াই হবে তাঁদেরও। এছাড়া দুই হেভিওয়েট বেরিলির বিজেপি প্রার্থী তথা মন্ত্রী সন্তোষকুমার গঙ্গওয়ার এবং পিলভিটের প্রার্থী বরুণ গান্ধীরও ভাগ্য পরীক্ষা কালই।
ছত্তিশগড়ের ৭টি লোকসভা কেন্দ্রেরও ভোটগ্রহণ হবে আগামীকাল। ১২৩ জন প্রার্থীর ভবিষ্যৎ ঠিক করবেন ১ কোটি ২৭ লক্ষ ১৩ হাজার ৮১৬ জন ভোটার। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে সাফল্য পেয়েছে কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনে তা ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ রাহুল গান্ধীর দলের সামনে। গতবার এই রাজ্যে একমাত্র দুর্গ আসনটি জিতেছিল কংগ্রেস। এবার সেই আসনে কুর্মি ওবিসি সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রভাবশালী প্রাক্তন বিধায়ক প্রতিমা চন্দ্রকারকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। তাঁর বিরুদ্ধে কুর্মি সম্প্রদায়ের প্রাক্তন বিধায়ক বিজয় বাঘেলকে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে এবার এখানে একাধিক কেন্দ্রে বিদায়ী সাংসদকে প্রার্থী করেনি মোদি-অমিত শাহের দল।
আগামীকাল গোয়ার দু’টি লোকসভা কেন্দ্রে (নর্থ গোয়া ও সাউথ গোয়া) নির্বাচন হবে। তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনও হবে একসঙ্গেই। লোকসভা নির্বাচনে মোট ১২ জন এবং উপনির্বাচনে মোট ১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গোয়ায় এবার মূল লড়াই বিজেপি, কংগ্রেস ও আপের মধ্যে। এর মধ্যে দু’জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় সেখানে উপনির্বাচন হচ্ছে। আসন দু’টি দখলে নিতে মরিয়া দুই দলই। অন্যদিকে, গুজরাতে একদফাতেই রাজ্যের ২৬টি লোকসভা আসনে নির্বাচন হচ্ছে। একইসঙ্গে রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনও আগামীকাল। এই চারটি আসনে লড়ছেন মোট ৪৫ জন প্রার্থী। রাজ্যের ৪ কোটি ৫১ লক্ষ ৫২ হাজার ৩৭৩ জন ভোটারের জন্য ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৭৭৫ জন ভোটকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন ৪৪ হাজার পুলিস কর্মী, এক হাজার ৯৫ জন বনরক্ষী, ১৫০ কোম্পানি সিআরপিএফ এবং ১২ কোম্পানি স্টেট রিজার্ভ পুলিস। আগামীকালই আমেদাবাদে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এবং বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি। গান্ধীনগরে ভাগ্য নির্ধারণ হবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের।
পূর্ব ত্রিপুরা কেন্দ্রেও ভোটগ্রহণ আগামীকাল। আইনশৃঙ্খলা জনিত কারণে একেবারে শেষ সময়ে নির্বাচন কমিশন ওই কেন্দ্রের ভোট ১৮ এপ্রিলের পরিবর্তে পিছিয়ে ২৩ এপ্রিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই কেন্দ্রের জন্য অতিরিক্ত ৪২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আনা হয়েছে। সব মিলিয়ে পূর্ব ত্রিপুরা কেন্দ্রে ১০৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। প্রায় ৮২ শতাংশ বুথেই উপস্থিত থাকবেন জওয়ানরা। উপজাতি সংরক্ষিত আসনটিতে জনজাতি ভোটারের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এই কেন্দ্রে বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে। এছাড়া কাল, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের ১৪টি, অসমের ৪টি, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের ৫টি, ওড়িশার ৬টি এবং দাদরা ও নগর হাভেলি, দমন ও দিউয়ের একটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে।