উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
গত ১৮ এপ্রিল কেরলের ওয়ানাড়ে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারও সেরে এসেছেন সীতারাম ইয়েচুরি। উল্লিখিত সাক্ষাৎকারে ইয়েচুরি বলেছেন, ‘কেন্দ্রে একটি বিকল্প ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গড়তে হলে সিপিএম তথা বামেদেরকেই শক্তিশালী করতে হবে। নাহলে বিভিন্ন সরকারি নীতির সঠিক দিশা থাকবে না। ২০০৪ সালের উদাহরণই ধরা যাক। বামেদের ক্রমাগত চাপে তথ্য জানার অধিকার আইন (আরটিআই) এবং গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থানের নিশ্চিত সুযোগের মতো কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছিল। এবার এর সঙ্গে ২০০৯ সালের তুলনা করুন, যখন কেন্দ্রের ইউপিএ সরকারের অংশ ছিল না বামেরা। তখন কংগ্রেস কী করেছে? তারা শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে।’
কংগ্রেসের প্রস্তাবিত ‘ন্যায়’ প্রকল্প সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে ইয়েচুরি বলেছেন, ‘এই কর্মসূচি নিয়ে অনেক প্রশ্ন মাথায় আসছে। প্রথমত, কংগ্রেসের ‘ন্যায়’ প্রকল্পের টাকা কোথা থেকে আসবে? এরা কি কার্যকর থাকা বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের টাকা ন্যায়ে সরিয়ে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করে রেখেছে? সেক্ষেত্রে সিপিএম সর্বাগ্রে এর বিরোধিতা করবে। সিপিএমের নির্বাচনী ইস্তাহারে ন্যূনতম মাসিক রোজগার ১৮ হাজার টাকা করার কথা বলা হয়েছে। যেখানে কংগ্রেস ন্যায় প্রকল্পের মাধ্যমে গরিব পরিবারকে মাসে ৬ হাজার টাকা ভর্তুকি দিয়ে উপার্জন কমপক্ষে ১২ হাজার টাকা নিশ্চিত করতে চাইছে। প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সিপিএম মাসে ৬ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার কথা বলেছে, যেখানে বেকার যুবকদের জন্যও ভাতার ব্যবস্থা করা হবে। ফলে সবমিলিয়ে আমাদের প্রতিশ্রুত অর্থের পরিমাণ কংগ্রেসের ন্যায় প্রকল্পের বার্ষিক ৭২ হাজার টাকার তুলনায় ঢের বেশি।’ এভাবে কংগ্রেসের প্রস্তাবিত একটি প্রকল্পের সঙ্গে সিপিএমের নির্বাচনী ইস্তাহারের তুল্যমূল্য আলোচনার প্রসঙ্গ টানার বিষয়টিকেও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সংশ্লিষ্ট সাক্ষাৎকারে পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গও টেনেছেন সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে আমাদের কোথায় কী ভুল হয়েছে, তার বিস্তারিত পর্যালোচনা সিপিএম করেছে। তবে এই লোকসভা নির্বাচনে আমরা বাংলায় যত বেশি সম্ভব বিজেপি এবং তৃণমূল বিরোধী ভোট এককাট্টা করতে চাইছি। দেশকে বাঁচাতে গেলে যেমন বিজেপিকে সরাতে হবে, তেমনই বাংলাকে বাঁচাতে হলে তৃণমূল কংগ্রেসকেও হটাতে হবে।’ একইসঙ্গে ইয়েচুরি দাবি করেছেন, এই লোকসভা নির্বাচন শেষে কেন্দ্র থেকে নরেন্দ্র মোদিকে সরে দাঁড়াতেই হবে। আর ক্ষমতায় আসবে বিকল্প শক্তিশালী গণতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ জোট।