উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন একটি টোটো রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছিল। তা নিয়ে টোটোচালকের সঙ্গে এক পুলকার চালকের বিবাদ বাধে। সেই বিবাদই ভয়ঙ্কর আকার নেয়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যায় যে, তৃণমূলের বিদায়ী দুই কাউন্সিলারের লোকজন রাস্তায় নেমে যায়। দু’পক্ষই লাঠি নিয়ে একে অপরকে তাড়া করে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হন। চলে ব্যাপক ইট বৃষ্টি। বেলুড় থানার সামনে এই ঘটনা ঘটলেও পুলিস প্রথমে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ। পরে ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। এই সময়ই পুলিস শূন্যে এক রাউন্ড গুলি চালায় বলে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ। জিটি রোড রণক্ষেত্রের চেহারা নিলে বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’পক্ষকে হটিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এই ঘটনার জেরে এদিন দুপুর থেকেই বেলুড় উত্তপ্ত হয়ে ছিল। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, পুলিস প্রথমেই কঠোর পদক্ষেপ নিলে পরিস্থিতি এই জায়গায় যেত না। কিন্তু প্রথমে পুলিস নিষ্ক্রিয় থাকায় পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। তখন পার্শ্ববর্তী বালি ও মালিপাঁচঘড়া থানা থেকে বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে।
যদিও এই ঘটনার পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলার রাজীব ঠাম্মান ও ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলার কৈলাশ মিশ্র। তাঁদের দু’জনেরই দাবি, ভোটের আগে বিজেপির দুষ্কৃতীরা পরিকল্পিতভাবে এই গোলমাল পাকিয়েছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আছে বলে তাঁরা কেউই স্বীকার করেননি। জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরূপ রায় বলেন, বিজেপি সব জায়গায় গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করছে। এখানেও বিজেপি গোলমাল করেছে। পুলিসকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আমরা বলেছি। যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহা বলেছেন, গোট বেলুড়ের লোক দেখেছেন, এই ঘটনায় দু’জন তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলার যুক্ত আছেন। তাই বিজেপির বিরুদ্ধে অপবাদ দিয়ে মানুষকে ধোঁকা দেওয়া যাবে না।