উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, বছর তিয়াত্তরের সোমনাথ ঘোষের বাড়ি রামমোহন রোডে। রবিবার সকালে তিনি দক্ষিণ কলকাতায় আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার জন্য সেখান থেকে একটি অ্যাপ নির্ভর ক্যাবে ওঠেন। রামমোহন সরণীতে নামেন। ওই প্রৌঢ় পুলিসকে জানিয়েছেন, চালককে বলেন, তাঁর কাছে খুচরো নেই। এটিএম কার্ড রয়েছে। অভিযুক্ত চালক তাঁকে জানায়, তাতে অসুবিধার কিছু নেই। তার কাছে কার্ড সোয়াইপ করার মেশিন রয়েছে। তা দিয়ে টাকা নিয়ে নেওয়া যাবে। চালকের কথায় বিশ্বাস করে সোমনাথবাবু নিজের এটিএম কার্ডটি চালককে দেন। কথায় কথায় পিন জেনে নেয় অভিযুক্ত। পেমেন্টের নাম করে যাত্রীর নজর এড়িয়ে কার্ডটি বদল করে ফেলে চালক। তার পকেটে থাকা অন্য একটি কার্ড দিয়ে দেয় সোমনাথবাবুকে। ওই যাত্রী ভালো করে খেয়াল না করেই তা পকেটে ঢুকিয়ে নেন। বাড়ি ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। সেখানে জানানো হয়, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকা উঠে গিয়েছে। তা দেখে কিছুটা আশ্চর্য হন সোমনাথবাবু। তিনি টাকা না তোলার পরেও কীভাবে তা উঠে গেল, এই নিয়ে তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে। এটিএম কার্ডটি বের করে দেখেন, অন্য ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড দিয়েছে চালক। যা তাঁর নয়। এরপরই তিনি নারকেলডাঙা থানায় অভিযোগ করেন।
তদন্তে নেমে পুলিস ওই অ্যাপ ক্যাব সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে। সেখান থেকেই জোগাড় করা হয় চালকের সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য। গাড়ির অবস্থানও জেনে নেন তদন্তকারী অফিসাররা। জানা যায়, অভিযুক্তের বাড়ি মানিকতলা এলাকায়। এরপর পুলিসের একটি টিম তার বাড়িতে ভোর রাতে হানা দেয়। সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় শ্রীকান্ত পোদ্দারকে। উদ্ধার করা হয় সোমনাথবাবুর এটিএম কার্ড ও নগদ কুড়ি হাজার টাকা। মানিকতলা এলাকার একটি এটিএম থেকে সে টাকা তুলেছিল বলে জানা যাচ্ছে। ধৃতকে জেরা করে জানা যায়, কার্ড হাতানোর ঘটনা এই প্রথম ঘটালো না সে। এর আগেও একই কায়দায় কার্ড চুরি করে টাকা তুলে নিয়েছে। মূলত বয়স্করা ছিল তার টার্গেট। এভাবে সে কত টাকা হাতিয়েছে, তাই এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি এই যুবক এটিএম কার্ডের তথ্য হাতিয়ে ক্লোন কার্ড তৈরি করত কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।