উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
উলুবেড়িয়া লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই মেয়ে স্বস্তিকাকে নিয়ে যদুরবেড়িয়া রথতলায় হাজির হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী সোমা রানিশ্রী রায়। প্রথম থেকেই প্রচারে মায়ের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছেন মেয়ে। মননোয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে কাগজপত্র পরীক্ষা করা, হিসেব রাখা, দৈনন্দিন কাজের পরিকল্পনা তৈরি করার পাশাপাশি মায়ের সঙ্গে প্রচারে বের হওয়াটা এখন রোজকার রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বস্তিকার। গ্রীষ্মের দাবদাহ উপেক্ষা করেই সকাল থেকে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে কিছুটা কাহিল দেখালেও, নতুন অভিজ্ঞতার আনন্দে সেই ক্লান্তি ভুলেছেন তিনি। এমন অভিজ্ঞতায় খুশি স্বস্তিকা জানালেন, অন্যবার এই সময় তৃতীয় সেমেস্টারের ফল বেরিয়ে যায়। তবে এবার ভোটের জন্য ফল বেরতে দেরি হচ্ছে। ছুটি থাকায় বন্ধুরা সব ঘুরতে চলে গিয়েছে। আর আমি মায়ের সঙ্গে নির্বাচনের ময়দানে নেমে পড়েছি। স্বস্তিকা বলেন, আমার কাছে এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। তবে শুধু মায়ের হয়ে ভোটভিক্ষা করাই নয়, গরমে প্রচারে বেরিয়ে মা যাতে অসুস্থ না হয়ে পড়েন, সেদিকটাও খেয়াল রাখছেন মেয়ে। স্বস্তিকার কথায়, মায়ের শরীরের দিকে তো খেয়াল রাখতেই হবে। একে নতুন প্রার্থী, তায় নির্বাচনের অনেকটা শেষদিকে প্রচারে মেনেছেন সোমা রানিশ্রী। তবে ঘাটতি মেটাতে এখন জোর পরিশ্রম করছেন কংগ্রেস প্রার্থী। মায়ের পরিশ্রম ও এনার্জি দেখে অনুপ্রাণিত স্বস্তিকা বলছেন, পড়াশুনার শেষে সুযোগ পেলে রাজনীতিতে আসতেই পারি।
প্রচারে মেয়েকে পাশে পাওয়ায় খুশি সোমা রানিশ্রী রায়ও। তিনি জানান, দলের হয়ে রাজনৈতিক প্রচারে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরেছি। ছোটবেলা থেকেই মেয়ে আমার সঙ্গী। সেই সুবাদেই রাজনীতি নিয়ে ওর কিছুটা আগ্রহ জন্মেছিল। এই আগ্রহই এবার আমার এবারের নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেকটাই কাজে লেগেছে। তিনি জানান, শুধু রাজনীতির প্রচার নয়, মেয়ে আমার একজন ভালো বন্ধু। তাই নানা সমস্যাও ওর সঙ্গে আলোচনা করতে পারি। সোমা রানিশ্রী বলছেন, নির্বাচনী প্রচারে কর্মীদের পাশাপাশি মেয়েকে পাশে পাওয়ায় বাড়তি এনার্জি অনুভব করছি।