উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
কথা ছিল অমিত শাহ সভাস্থলে আসবেন দুপুর তিনটেয়। কিন্তু, এলেন নির্ধারিত সময়ের দু’ঘণ্টারও পরে। দেরিতে আসার দুঃখ প্রকাশ করে যে কারণ তিনি দিয়েছেন সেখানেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করা হয়েছে। অমিত শাহ বলেছেন, দিদির লোক তিন জেলায় তাঁর হেলিকপ্টারে পেট্রল ভরতে দেয়নি। তারজন্য তাঁকে নেজাজি সুভাষ এয়ারপোর্টে গিয়ে পেট্রল নিতে হয়েছে। সেই কারণেই দেরি এবং তাঁকে ফিরতে হবে সড়ক পথে। সভা শেষে এদিন তিনি রাজ্যের বিজেপি পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়কে নিয়ে অণ্ডাল রওনা দেন। সেখান থেকে কলকাতা হয়ে ফিরবেন দিল্লি।
এদিন দলীয় প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার সমর্থনে নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খান, দলের জেলার পর্যবেক্ষক বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী, প্রার্থীর চিফ ইলেকশন এজেন্ট সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
এদিন সভার বিষেশভাবে লক্ষ্যনীয় বিষয় ছিল সভাস্থলে দ্বিতীয় মঞ্চ। সেই মঞ্চ এবং মঞ্চে স্থান পাওয়া নেতাদের দেখে অনেকেই বলছেন, বিজেপির মধ্যেও আমরা ওরা বিভাজন স্পষ্ট। ছোট মঞ্চে যাঁদের এদিন দেখা গিয়েছে তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আইনুল হক। আর এসপি থেকে আসা বিজেপি নেতা অঞ্জন মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও যাঁরা ছিলেন তাঁদের গায়ে অন্য দলের গন্ধ ছিল। আইনুল সাহেব বিজেপিতে যোগদানের কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, এতদিন যে দলে ছিলাম তার সঙ্গে রাজ্য বা দেশের কোনও যোগাযোগ ছিল না। তারা ভারতের চেয়েও বেশি মাথা ঘামাত পেণ্টাগন নিয়ে। আমি ছিলাম আন্তর্জাতিক দলে। এখন এসেছি, জাতীয় দলে। যে দলটা দেশের কথা ভাবে।
এদিনের ভাষণের সিংহভাগজুড়ে ছিল তৃণমূল নেত্রীর সমালোচনা। তিনি বলেন, এ রাজ্যে ২৪ঘণ্টা বিদ্যু পাওয়া যায় না, এরাজ্যে হাসপাতালে ডাক্তার থাকে না, এরাজ্যে কেবল সিন্ডিকেটরাজ। বালি, ইট, সিমেন্ট সবেতেই সিন্ডিকেট। তৃণমূলকে সমূলে উৎখাত করতে হবে। একমাত্র নরেন্দ্র মোদিই পারেন, এই সিন্ডিকেটরাজ বন্ধ করতে।
অমিত শাহ বলেন, জঙ্গিহানায় ৪০জন জওয়ানের মৃত্যুর ১৩দিনের মাথায় যখন পাকিস্তানে গিয়ে জবাব দেওয়া হল তখন দেশের মানুষ খুশি হলেও দু’জনের মুখ ভার ছিল। একজন রাহুল, অন্যজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন মমতাদিদির মুখ দেখে মনে হচ্ছিল, উনি কোনও প্রিয়জন হারিয়েছেন। উনি আতঙ্কবাদীদের সঙ্গে আলোচনা চান। আর আমরা চাই, গুলির জবাব গোলায় দিতে। ইট ছুঁড়লে পাটকেল খেতেই হবে। এটাই মোদি সরকারের নীতি।