উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এবারের ভোটেও মূল লড়াই মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজস্ব ভাবমূর্তির। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, রাজনাথ সিং বেশ কয়েকবার রাজ্যে এসে প্রচার করে গিয়েছেন। তাঁরা বারবার রাজ্য সরকারের দুর্নীতিকে প্রচারে তুলে ধরেছেন। ১৯ বছরের সরকার লুটে পুটে খেয়েছে। এবার দরকার নতুন ওড়িশার। পরিবর্তনের সেই আওয়াজ সত্যিই মানুষ বিশ্বাস করেছেন কি না, তার অনেকটাই বোঝা যাবে আজকের নির্বাচনে।
প্রচারে নবীন পট্টনায়েকও বিজেপিকে নানা সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের এক টাকা কিলো দরে চাল, কালিয়া স্কিম প্রসঙ্গ তুলে ধরেও মানুষের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করেছেন।
এবার ওড়িশার সব কেন্দ্রেই প্রায় ত্রিমুখী লড়াই হচ্ছে। কিন্তু ২০১৪ সালের থেকেও এবার কংগ্রেসের অবস্থা বেশ খারাপ। মূলত লড়াই হবে বিজেপি এবং বিজেডির। কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারে কেন্দ্রীয় কোনও নেতাকেই এবার দেখা যায়নি। ফলে রাজ্য কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ আছে।
আগামীকালের ভোটে কয়েকজন তারকা প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হবে। পুরী কেন্দ্রে বিজেপির কেন্দ্রীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র লড়াই করবেন বিজেডির তিনবারের এমপি পিনাকী মিশ্রের সঙ্গে। ভুবনেশ্বরে প্রাক্তন আইএএস অপরাজিতা ষড়ঙ্গীর সঙ্গে জোর লড়াই হবে প্রাক্তন আইপিএস অরূপ পট্টনায়েকের। কটকে বিজেডির পাঁচবারের এমপি ভর্তৃহরি মহতাবের সঙ্গে ভোটযুদ্ধ প্রাক্তন আইপিএস প্রকাশ মিশ্রের। ঢেঙ্কানলে এবারও কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা ৬ বারের এমপি কে পি সিং দেও।
এবার লড়াইয়ে রাজ্য সরকার দখলের লক্ষ্যে লড়াই করছে বিজেপি। আর পঞ্চমবারের জন্য ক্ষমতায় আসার লড়াই নবীন পট্টনায়েকের। এই দ্বিমুখী লড়াইয়ে কার জিত আর কারই বা হার, তা আজই অনেকটা ঠিক হয়ে যাবে।