Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

টুবলুর রেজাল্ট
সন্দীপন বিশ্বাস

 আজই টুবলুর অ্যানুয়াল পরীক্ষার রেজাল্ট বেরিয়েছে। ক্লাস থ্রিতে পড়ে টুবলু। সেই অনুযায়ী তার ক্লাস ফোরে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। কেননা টুবলু পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি। দাদুর সঙ্গে সে স্কুলে গিয়েছিল রেজাল্ট আনতে। বাড়িতে আসার পর যখন সবাই খবরটা জানল, তখন থেকেই বাড়ির আবহাওয়া একেবারে বদলে গেল। বাড়িটার ওপর যেন হঠাৎ করে নিঃশব্দে বাজ পড়ল। সবাই হতভম্ব। বাবা, মা, ঠাকুমা সকলেই। সকাল থেকে বাবার অফিস যাওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। খবর শুনে গুম হয়ে বসে আছে। কোনওক্রমে গালের দাড়িটা কাটা হয়েছে। থম মেরে বসে বাবা। মা-ও বিছানায় শুয়ে পড়েছে। ফোঁস ফোঁস করে কেঁদেই চলেছে। খবরটা শুনে বাবা একবার তেড়ে মারতে এসেছিল, কিন্তু দাদু তাকে আড়াল করে নিজের ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছে। দাদু চুপ করে সোফায় বসে।
টুবলু ঘরের ভিতর বসে জানালা দিয়ে উদাসভাবে বাইরের দিকে তাকিয়ে। পাশের বাড়িতে জিকোদের ছাদের উপর বসে একটা কাক বেসুরে কা কা করে ডেকে চলেছে। টুবলু মনে মনে বলল, ‘আজ কপালে ভারী দুঃখ আছে। কাকের ডাক নাকি অমঙ্গল।’ এটা সে শিখেছে ঠাকুমার কাছ থেকে। একদিন দুপুরে ঠাকুমার কাছে শুয়ে টুবলু লালকমল আর নীলকমলের গল্প শুনছিল। এমন সময় একটা কাক তাদের বারান্দার রেলিংয়ে বসে খুব ডাকছিল। ঠাকুমা গল্প থামিয়ে বলেছিল, ‘আরে হতচ্ছাড়া কাক, যা যা...।’ তাতেও কাকটা উড়ে যায়নি। তখন ঠাকুমা টুবলুকে বলেছিল, ‘যা তো দাদুভাই, কাকটাকে তাড়িয়ে দিয়ে আয়।’ টুবলু কাকটাকে বারান্দা থেকে তাড়িয়ে দিয়ে এসে জিজ্ঞেস করেছিল, ‘কাক ডাকলে কী হয় ঠাকুমা?’ ঠাকুমা বলেছিল, ‘অমঙ্গল হয়।’
এখন সেই কথাটাই মনে পড়ল। সেই অমঙ্গলের আঁচ একটু আগেই পেয়েছে সে। ঠাকুমা ঠাকুরঘরে পুজো করছিল। পুজো শেষে ঠাকুরের প্রসাদ দুটো গুজিয়া সে টুবলুকে দিতে গিয়েছিল। সেই দেখে বাবা গর্জন করে ঠাকুমাকে বলেছিল, ‘তুমি সরে যাও মা। একদম ওকে খেতে দেবে না।’
ঠাকুমা মিনমিন স্বরে বলেছিল, ‘খেতে তো দিইনি, এই একটুকরো প্রসাদ দিচ্ছি মাত্র।’
বাবা আবার বলে উঠেছিল, ‘কিচ্ছু দেবে না। আমি যখন বারণ করছি তখন দেবে না।’ একটু থেমে বাবা আবার শুরু করল, ‘তোমাদের আশকারা পেয়ে ছেলেটা এমন বাঁদর তৈরি হচ্ছে। যখনই কিছু বলতে যাই তখনি তুমি আর বাবা ওকে আড়াল করে দাঁড়াও। এতে ও আশকারা পেয়ে একটা বাঁদর তৈরি হচ্ছে।’
কান্না থামিয়ে মা বিছানা থেকে উঠে এসে বলল, ‘একথা আমি বারবার বলি, তুমি তো বাড়িতে থাকো না, তাই জানো না। কত অসুবিধার মধ্যে ছেলেকে মানুষ করতে হয়। পড়াশোনার ক্ষেত্রে, ম্যানার্সের ক্ষেত্রে যখনই কিছু বলব বাবা আর মা বলবে, সুমি এভাবে বলিস না। এখন বাচ্চা, একটু বড় হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। এই তো তার নমুনা। একেবারে ফেল করে এলেন। নাও, এবার ওকে মাথায় নিয়ে নাচো।’ কথাগুলো বলে মা একটু দম নিল। টুবলু অবশ্য দাদুর ঘর থেকে কিছু দেখতে পাচ্ছে না। কিন্তু সব কথা শুনতে পাচ্ছে।
দাদু বলল, ‘তোরা যেভাবে কথাটা বলছিস, সেটা ঠিক নয়। আমরা যে নিয়মে টুবলুকে মানুষ করতে চেয়েছি, সেই একইভাবে বাবু তোকেও আমরা মানুষ করেছি। তোরা তিন ভাই শোভাবাজারের ওই একটা ঘরে মানুষ হয়েছিস। পড়াশোনা শিখেছিস। সেখানে তো কোনও ভুল ছিল না।’
বাবা বলল, ‘এভাবে ব্যাপারটা দেখলে চলবে না বাবা। সময়, পরিবেশ, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি যেমন বদলাচ্ছে, সেখানে সব কিছুই বদলাতে হবে। তুমি মাস্টারমশাই ছিলে। তখন যেভাবে পড়াতে এখনকার মাস্টারমশাইরা কি সেভাবে পড়ান?’ এখন সব কোচিং নির্ভর। তাই সব ব্যাপারে আগেকার দিনকে টানলে চলবে না।
মা বলল, ‘আমি একটা কথা না বলে পারছি না। এভাবে চলতে থাকলে আমি ছেলেকে মানুষ করতে পারব না। তোমাকে আমি বলে দিচ্ছি, হয় তুমি অন্য কোথাও ফ্ল্যাট দেখো, না হয় আমি নিজেই একটা ব্যবস্থা করব।’
এবার বাবা মাকে বলল, ‘পাগলের মতো কথা বোলো না। এভাবে দুম করে ফ্ল্যাট দেখা যায় নাকি। আর তাছাড়া আমরা চলে গেলে মা-বাবার কী হবে। না, না, অন্য কিছু ভাবতে হবে।’
মা বলল, ‘বসে বসে ভাবো। আর ছেলে এমনি এমনিই মানুষ হয়ে যাবে।’
বাবা বলল, ‘তুমি বেশি কথা বোলো না। বাড়িতে তো তুমিও থাকো। শুধু মা বাবার ওপর দোষ দিলে হবে! দিনরাত সিরিয়াল নিয়ে যদি বসে থাক, তবে ছেলে মানুষ হবে কী করে?’
টুবলু বুঝতে পারে। মা একথা শুনে চুপ করে থাকবে না। ঠিক একটা কিছু ঝাঁঝিয়ে বলবে। বহুদিন রাতে সে চুপ করে চোখ বুজে শুয়ে মা আর বাবার ঝগড়া শুনেছে। বাবা কিছুতেই মায়ের সঙ্গে কথায় পেরে ওঠে না। শেষকালে বাবাই বলে, ‘মাফ করো, আমার অন্যায় হয়েছে।’ সেই সময়টা টুবলুর খুব ভালো লাগে। যাকগে বাবা, ঝগড়া তাহলে থামল। বাবা মা ঝগড়া করলে টুবলুর বুকের ভেতর কেমন ভয় ভয় করে। ওদের ক্লাসের সাম্যব্রতর বাবা-মা আলাদা হয়ে গেছে। সাম্যব্রত একদিন ক্লাসে চুপি চুপি কাঁদছিল। টুবলু দেখেছে। জিজ্ঞাসা করতে সাম্যব্রত টুবলুকে বলেছিল, ‘আমায় কেউ ভালোবাসে না। বাবাও না, মা-ও না। আমি একদিন কোথাও হারিয়ে যাব।’
কথাটা শুনে টুবলুর খুব ভয় হয়েছিল। তার বাবা মা-ও যদি আলাদা হয়ে যায়? তাহলে সেও কি কোথাও হারিয়ে যাবে? ভাবলেই টুবলুর মনটা কেমন হয়ে যায়। চোখে জল আসে।
ওদিকে মা ততক্ষণে বলতে শুরু করে দিয়েছে। ‘আমি যখন ছেলে মানুষ করতে ব্যর্থ, তখন তুমিই বাড়িতে থেকে ছেলে মানুষ কর না!’
বাবা বলল, ‘উপায় থাকলে নিশ্চয়ই করতাম। কিন্তু আমাকে বাইরে বেরতে হয় রোজগার করতে। সেটা ভুলে যেও না।’
মা বলল, ‘আর আমি কি অশিক্ষিত নাকি? আমি কি চাকরি করতাম না? তখন কে বলেছিল, ছেলেটাকে মানুষ করতে হবে, চাকরিটা ছেড়ে দাও।’
বাবা বলল, ‘ওসব কথা টেনে বসে থাকলে ছেলে মানুষ হবে না। ওকে আর আমি এখানে রাখবই না। ওকে হস্টেলে পাঠিয়ে তবে আমি অন্নজল গ্রহণ করব।’
বাড়িতে এই সবই হচ্ছে। কেউ আর খাওয়ার কথা বলছে না। কিন্তু টুবলুর খুব খিদে পেয়েছে। এখন তার কতরকম খাবারের কথা মনে পড়ছে। চিকেন বিরিয়ানি খেতে টুবলু খুব ভালোবাসে। খিদে পেলেই তার চিকেন বিরিয়ানির কথা মনে পড়ে। তাদের পাড়ায় একটা বিরিয়ানির দোকান আছে। তার পাশ দিয়ে গেলেই টুবলু জোরে জোরে নিশ্বাস টানে। কী সুন্দর বিরিয়ানির গন্ধ! দাদুর কাছেই সে শুনেছে, গন্ধেতেই নাকি অর্ধেক খাওয়া হয়ে যায়। দাদু মজা করে বলে, ‘ওরা যদি জানতে পারে তুই গন্ধ শুঁকে অর্ধেক বিরিয়ানি খেয়ে নিয়েছিস, তাহলে আমার কাছ থেকে ওরা টাকা চাইবে কিন্তু।’ খুব মজা পায় টুবলু। কিন্তু এখন মজাটাই উড়ে গেছে। এখন বিরিয়ানির সঙ্গে পান্তুয়ার কথা মনে পড়ছে। পান্তুয়া তার খুব ভালো লাগে। মামা আর মিমি এ বাড়িতে এলেই তার জন্য পান্তুয়া নিয়ে আসে। আর তার ভালো লাগে মাখন দিয়ে গোবিন্দভোগ চালের ভাত আর ডিমসেদ্ধ। টুবলু বলে, ইয়ামি ভাত। সেটা হলে সে আর কিছুই চায় না। কিন্তু এখন সে সব জোটার কথাই নয়।
টুবলু বুঝতে পারল, বাবা ল্যাপটপ খুলেছে। কেননা সে শুনতে পেল বাবা বলছে, ‘যেখানে পাব ভর্তি করে দেব। এখানে আর এক মুহূর্ত রাখব না।’
দাদু বলল, ‘বাবু শোন না। আমি বলি কী, তুই একবার টুবলুর রেজাল্টটা সঙ্গে নিয়ে ওর স্কুলে যা। গিয়ে দেখ না কেন ফেল করল। কোন কোন সাবজেক্টে প্রবলেম হচ্ছে। তেমন হলে তুই চ্যালেঞ্জ কর। ওদের বল, টুবলুর পরীক্ষার খাতা দেখান। আমরা দেখতে চাই কীভাবে এমন ভুল হল। হাফ ইয়ার্লিতে যে ছেলে এত ভালো রেজাল্ট করল, সে ফেল করল কেন! এটা তো প্রথম জানা দরকার।’
বাবা বলল, ‘তুমি আমাকে স্কুলে গিয়ে প্রিন্সিপালের পায়ে ধরতে বলছ? কী বলব, স্যার আমার ফেল করা ছেলেটাকে পাশ করিয়ে দিন? আমি তা কখনও পারব না।’
মা বলল, ‘বহু স্কুলে টিচাররা ইদানীং ভালো করে খাতাই দেখে না। পাশ করতে গেলে নাকি টিচারদের ভালো ভালো গিফট দিতে হয়। টিচার্স ডেতে কিংবা টিচারের জন্মদিনে। তবে আমার মনে হয় বাবা কথাটা খারাপ বলেনি। একবার গিয়ে দেখো না। তেমন হলে আমিও তোমার সঙ্গে যাব। এটার তো একটা কিনারা হওয়া দরকার। কেন ছেলে ফেল করল। ছেলের বিরুদ্ধে স্কুলের কোনও কমপ্লেন আছে কি না।’
বাবা বলল, ‘এই জন্য পেরেন্ট-টিচার মিটিংগুলোতে যেতে হয়। লাস্ট মিটিংয়ে আমাদের যাওয়াই হল না। তখন আমরা পুরীতে। তুমি বললে, টুবলুকে নিয়ে কোনও চিন্তা নেই। ওর মতো ছেলের বিরুদ্ধে কোনও কমপ্লেন থাকতেই পারে না।’
মা বলল, ‘তখন কে জানত যে ছেলের পেটে পেটে এত। এভাবে মুখ পোড়াবে! ছি ছি এখন সায়ন্ত, দিগন্তিকা, সৌমিলী, রুদ্রাক্ষর মায়েদের কাছে মুখ দেখাব কী করে! একটু পরেই ওরা ফোন করে রেজাল্ট জানতে চাইবে। আমার আর বাঁচতে ইচ্ছে করছে না।’
এর মধ্যে দাদু টুবলুর রেজাল্টখানা এনে টেবিলে রাখল। বলল, ‘দেখ রেজাল্টের কী অবস্থা!’ টুবলু বুঝতে পারল এবার বাবা রেজাল্টটা টেনে নিয়ে দেখবে। সে চোখ বন্ধ করে পরবর্তী অবস্থার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল।
বাবা চিৎকার করে উঠল, ‘একী একী! এটা কী করে হল! দেখো দেখো! টুবলু কী করেছে!’
মা-ও বোধহয় রেজাল্টটা দেখেছে। মা বলে উঠল, ‘আমি জানতাম এটা হতেই পারে না। বাবা এটা তুমি কিন্তু ঠিক করনি।’ ঠাকুমা বলল, ‘ওরে কী হল রে! আমাকে তোরা বল, কী হল‌!’
বাবা বলল, ‘টুবলু পরীক্ষায় থার্ড হয়েছে। ছি ছি ছি, আমরা কী সব ওকে বলেছি। সব কিন্তু বাবা তোমার জন্য।’
মা বলল, ‘তুমি বাবা এভাবে মিথ্যে কথা বলবে, আমি কিন্তু ভাবতেই পারছি না।’
দাদু বলল, ‘বলবই তো! আজ কত তারিখ তোরা জানিস না! আজ তো পয়লা এপ্রিল। আমি-টুবলু দুজনে মিলে তোদের সবাইকে এপ্রিল ফুল করলাম। আর তোরাই বা কেমন, আমি বললাম টুবলু ফেল করেছে, সেটা বিশ্বাস করে নিলি? রেজাল্টটা একবার দেখতে চাইলি না তো! ’
টুবলু এবার দৌড়ে বাইরে এল। বলল, ‘কেমন মজা। কেমন মজা। তোমরা বোকা, বোকা।’
বাবা ওকে কোলে তুলে নিয়ে বলল, ‘হ্যাঁ রে টুবলু , তুই সব সময় যেন এভাবেই আমাদের বোকা বানাস।’ মা-ও ওকে জড়িয়ে ধরেছে। এবার বেশ শব্দ করে মা কাঁদতে লাগল। ‘অনেক কথা বলেছি। কিছু মনে করিস না বাবা।’
টুবলু বলল, ‘মনে করব কেন, আমি আর দাদু স্কুল থেকে ফেরার পথেই তো এমন প্ল্যান করলাম।’
বাবা বলল, ‘এমন প্ল্যান করলি যে আমার অফিস যাওয়াটাই বন্ধ হয়ে গেল।’
মা বলল, ‘খুব ভালো হয়েছে। এখন টুবলুকে কিছু খেতে দিই। অনেকক্ষণ ওর কিছু খাওয়া হয়নি।’
দাদু বলল, ‘ওতে হবে না, আমাদের একটু কিছু ভালোমন্দ খাওয়াতে হবে। অনেক কথা আমরা হজম করেছি। কিন্তু তাতে পেট ভরেনি। এবার পেট ভরানোর মতো কিছু খাওয়াতে হবে।’
বাবা বলল, ‘বেশ তাই হবে। আজ বাইরে কোথাও খাব। টুবলু বল, কী খাবি?’
টুবলু বলল, ‘চিকেন বিরিয়ানি।’
বাবা বলল, ‘বেশ তাই হবে। সবাই তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নাও। আমি গাড়িটা বের করি।’
দাদু টুবলুকে বলল, ‘আজ আর কিন্তু শুধু গন্ধ শোঁকা নয়, একেবারে পেটপুরে খাওয়া। আর টুবলুবাবুর কল্যাণে আমাদেরও একটু ভূরিভোজ হবে। জয় টুবলুবাবুর জয়।’
মা আরা বাবা দুজনেই বলে উঠল, ‘জয়।’
31st  March, 2019
পিঠোপিঠি
ভাই-বোন

দুষ্টু একটু বেশিই ছিল প্রিয়াঙ্কা। জেদিও। তবে মিষ্টভাষী। আর দাদা রাহুল হাসিখুশি। দু’জনের ছোটবেলার গল্প শোনাচ্ছেন সন্দীপ স্বর্ণকার।
বিশদ

21st  April, 2019
 ব্ল্যাক হোল রহস্য

 এই প্রথম কৃষ্ণগহ্বরের ছবি তোলা সম্ভব হল। কীভাবে উঠল এই ছবি? কৃষ্ণগহ্বরই বা কী? আলোচনায় কলকাতার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের রাশিবিজ্ঞানের অধ্যাপক অতনু বিশ্বাস।
বিশদ

21st  April, 2019
অরেঞ্জ ব্লসম ও কুকুম্বার স্যালাড

তোমাদের জন্য শুরু হল একটি আকর্ষণীয় বিভাগ ছোটদের রান্নাঘর। এই বিভাগ পড়ে তোমরা নিজেরাই তৈরি করে ফেলতে পারবে লোভনীয় খাবারদাবার। বাবা-মাকেও চিন্তায় পড়তে হবে না। কারণ আগুনের সাহায্য ছাড়া তৈরি করা যায় এমন রেসিপিই থাকবে তোমাদের জন্য। এবার সেরকমই দুটি জিভে জল আনা রেসিপি দিয়েছেন চিলেকোঠা রেস্তরাঁর শেফ সুপর্ণ মৈত্র।
বিশদ

21st  April, 2019
 তেষ্টার জলও কেউ দিতে চাইত না ছোট্ট আম্বেদকরকে

 অচ্ছ্যুৎ দলিত সম্প্রদায়ে জন্মেছিলেন আমাদের দেশের সংবিধানের রূপকার ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর। আজ তাঁর জন্মদিন। দলিতদের জন্য সারা জীবন লড়াই করে আসা
এই মানুষটিকে নিয়ে লিখেছেন সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়। বিশদ

14th  April, 2019
 বাংলায় বেশি নম্বর পেতে কী করবে?

দশম শ্রেণীতে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের সামনে ঠিকঠাক আর ন’টি মাস সময় রয়েছে শিক্ষার্থী-জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করার জন্য। যদিও আপাতদৃষ্টিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা ‘আসছে বছর’, কিন্তু ইতিমধ্যেই বহু স্কুলে দশম শ্রেণীর প্রথম পার্বিক অভীক্ষাটি শেষ। অতএব, আর দেরি নয়, চলো মাঠে নামি! পরামর্শ দিচ্ছেন বেথুন কলেজিয়েট স্কুলের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষিকা সংহিতা চক্রবর্তী । বিশদ

14th  April, 2019
 রহস্যে ঘেরা সাকোত্রা দ্বীপ

  যেন এক আবোল-তাবোলের দেশ। গাছগুলি সব উল্টো উল্টো। জীবজন্তুরা সব অদ্ভুতরকম দেখতে। অদ্ভুতভাবে হাঁটে। বাইরে থেকে হঠাৎ করে গেলে মনে হবে, এসব বোধহয় এই জগতের নয়। আশ্চর্য হলেও এটা সত্যি। ভারত মহাসাগরে অবস্থিত সাকোত্রা দ্বীপ।
বিশদ

14th  April, 2019
নতুন ক্লাস
নতুন বইয়ের গন্ধ

 নতুন ক্লাসে ওঠা মানেই একরাশ আনন্দ। নতুন বই, সেই বইয়ের গন্ধ, নতুন খাতা, নতুন নতুন বিষয়, নতুন বন্ধু। জানাল ছোটরা। বিশদ

07th  April, 2019
বন্য বিড়ালের রকমসকম

তোমরা প্রায়শই বাড়িতে বা বাড়ির আশপাশে একটি খুব পরিচিত প্রাণীকে দেখতে পাও, সেটি হল বিড়াল। প্রায় কোনও শব্দ না করেই হাঁটাচলা করে এরা। রান্নাঘরে মাছভাজা হলেই উঁকি দেয় দরজা দিয়ে আর আওয়াজ করে ম্যাঁওওও। এই বিড়ালগুলিকে বলা হয় পোষ্য বিড়াল বা ডোমেস্টিক ক্যাট। বিশদ

07th  April, 2019
নিক্কোপার্কে চালু হয়েছে
ক্রুসেডার রাইড

 আজ তোমাদের একটি মজার রাইডের খবর দিই। নিক্কোপার্ক এবারও তোমাদের বিনোদনের কথা মাথায় রেখে একটি মজার ওয়াটার রাইড চালু করেছে। রাইডটির নাম ক্রুসেডার। আকর্ষণীয় এই রাইডটি চালু হয়েছে গত ৯ মার্চ থেকে। ক্রুসেডারটির ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত একটি বিশেষ ডিজাইনের চ্যানেল তৈরি করা হয়েছে, যেটি গিয়ে জলাশয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
বিশদ

31st  March, 2019
জানা-অজানা
কলম নিয়ে দু’চার কথা

সেই আদিমকালেও মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করত গুহার দেওয়ালে পাথর দিয়ে খোদাই করে। ঐতিহাসিকদের মতে, লেখার এই মাধ্যমটিই ধীরে ধীরে ‘কলম’ হয়ে ওঠে। যার সূত্রপাত হয়েছিল যিশুখ্রিস্টের জন্মের কমপক্ষে ৩০০০ বছর আগে মিশরীয় সভ্যতায়।
বিশদ

31st  March, 2019
চাইনিজ ভেল ও মকটেল থাই কলিনস

চাইনিজ ভেল (৪ জনের জন্য)
উপকরণ: ফ্রায়েড নুডুলস ১ কাপ, গার্লিক সস ২ টেবিল চামচ, গাজর কুচি  কাপ, বাঁধাকপি কুচি  কাপ, পেঁয়াজ কুচি  কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি  কাপ, মাশরুম স্লাইস ৭-৮টি, স্প্রিং অনিয়ন উইথ গ্রিন  কাপ কুচি, টম্যাটো কুচি  কাপ, ধনেপাতা কুচি ২-৩ চা চামচ, মিক্সিং বোল ১টা, ছোট সার্ভিং পাত্র ৪টি। 
বিশদ

24th  March, 2019
হিলি গিলি হোকাস ফোকাস 

শুরু হল নতুন বিভাগ হিলি গিলি হোকাস ফোকাস। এই বিভাগে জনপ্রিয় জাদুকর শ্যামল কুমার তোমাদেরও কিছু চোখ ধাঁধানো আকর্ষণীয় ম্যাজিক সহজ সরলভাবে শেখাবেন। আজকের বিষয় তাস ও ছক্কার ম্যাজিক।  
বিশদ

24th  March, 2019
ইঞ্জিন ছাড়াই ছুটছে ট্রেন! 

আমাদের দেশে চালু হয়েছে নতুন দ্রুতগতির ট্রেন বন্দে ভারত। এই ট্রেন চলে ইঞ্জিন ছাড়াই। কেমন সেই ট্রেন? ভিতরে কী আছে? নিজের চোখে দেখে এসে তোমাদের জানাচ্ছেন দিব্যেন্দু বিশ্বাস। 
বিশদ

24th  March, 2019
দেশে-বিদেশে রঙের উৎসব

আমরা যেমন দোল খেলি তেমনই বিদেশে বসবাসকারীরাও মাতেন রঙের উৎসবে। প্রবাসীদের দোল নিয়ে খোঁজখবর নিলেন সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়। বিশদ

17th  March, 2019
একনজরে
 আমেথি, ২২ এপ্রিল (পিটিআই): কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর মনোনয়নকে সোমবার বৈধ বলে ঘোষণা করলেন আমেথির রিটার্নিং অফিসার রামমনোহর মিশ্র। আমেথি কেন্দ্রে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ...

 জিয়াং (চীন), ২২ এপ্রিল: এশিয়ান কুস্তি প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রত্যাশা বেশি ওলিম্পিক ব্রোঞ্জ জয়ী সাক্ষী মালিক ও বিশ্বের একনম্বর বজরং পুনিয়াকে ঘিরে। মঙ্গলবার থেকে এই প্রতিযোগিতা ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে মারপিট চলার সময় ভাইয়ের ধাক্কায় রাস্তায় পড়ে যান দাদা। যোধপুর পার্কের তালতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ...

সংবাদদাতা, রামপুরহাট: সোমবার ভোরে সকলের নজর এড়িয়ে তারাপীঠে তারা মায়ের মন্দিরে পুজো দিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সম্ভবত গুণগ্রাহীদের নজর এড়াতে টুপি পরে, চাদরে মুখ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বই দিবস
১৬১৬ -ইংরেজী সাহিত্য তথা বিশ্বসাহিত্যের প্রথম সারির নাট্যকার ও সাহিত্যিক উইলিয়াম শেক্সপীয়রের জন্ম
১৯৪১ - বিশ্বের প্রথম ই-মেইল প্রবর্তনকারী রে টমলিনসনের জন্ম
১৯৬৯: অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ির জন্ম
১৯৯২: সত্যজিৎ রায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৯৫ টাকা ৭০.৬৪ টাকা
পাউন্ড ৮৯.০৮ টাকা ৯২.৩৬ টাকা
ইউরো ৭৬.৯৮ টাকা ৭৯.৯৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩১, ৯৯৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০, ৩৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০, ৮১০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭, ৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭, ৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
21st  April, 2019

দিন পঞ্জিকা

৯ বৈশাখ ১৪২৬, ২৩ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, চতুর্থী ১৪/৩৫ দিবা ১১/৪। জ্যেষ্ঠা ৩০/৫ অপঃ ৫/১৬। সূ উ ৫/১৪/২০, অ ৫/৫৫/৫৪, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৫ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে ২/৭ মধ্যে, বারবেলা ৬/৪৯ গতে ৮/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৫ মধ্যে।
৯ বৈশাখ ১৪২৬, ২৩ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, চতুর্থী ২০/১৭/২৩ দিবা ১/২১/৪৫। জ্যেষ্ঠানক্ষত্র ৩৫/৫৫/৫৪ রাত্রি ৭/৩৭/১০, সূ উ ৫/১৪/৪৮, অ ৫/৫৭/১২, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে, বারবেলা ৬/৫০/৬ গতে ৮/২৫/২৪ মধ্যে, কালবেলা ১/১১/১৮ গতে ২/৪৬/৩৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২১/৫৪ গতে ৮/৪৬/৩৬ মধ্যে।
১৭ শাবান
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: শত্রু বশ মানতে বাধ্য হবে। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃতি লাভ। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

বিশ্ব বই দিবস১৬১৬ -ইংরেজী সাহিত্য তথা বিশ্বসাহিত্যের প্রথম সারির নাট্যকার ...বিশদ

07:03:20 PM

আইপিএল: সিএসকের সামনে ১৭৬ রানের টার্গেট খাড়া করল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ  

09:37:59 PM

 আইপিএল: হায়দরাবাদ ৯১/১ (১০ ওভার)

08:50:51 PM

গুরদাসপুরে সানি দেওলকে প্রার্থী করল বিজেপি 

08:08:03 PM

টসে জিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে পাঠাল সিএসকে 

07:36:29 PM