Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

প্রতীক বদলে ডিজিটাল ছোঁয়া
দেবজ্যোতি রায়

সাহিত্য বা লেখালিখিতে সর্বদা সময়ের দাবিই উঠে আসে। প্রতিফলিত হয় তৎকালীন সময়ের পটভূমি, চরিত্র, চিত্রায়ন। অতীতেও হয়েছে, আধুনিক বা নব্য আধুনিক যুগও তার ব্যতিক্রম নয়। বর্তমানে আধুনিক সাহিত্য বা পটভূমির একটা বড় অংশ দখল করে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক মাধ্যম। সময়ের সেই দাবি আর সংস্কৃতির মেলবন্ধনে বিস্কুট হয়েছে কুকিজ, ট্যাক্সি বদলে হয়েছে ক্যাব, সং বা গান তার নাম পাল্টে হয়েছে নাম্বার। ঠিক সেই নিয়মেই পরিবর্তন এসেছে রাজনীতির আঙিনাতেও। বিশেষ করে ভোট ময়দানে রাজনৈতিক দলগুলির সিম্বল বা প্রতীক বাছার ক্ষেত্রে।
ভারতীয় গণতন্ত্রে প্রতীকের ব্যবহার শুরু হয় একেবারে গোড়া থেকে। ১৯৫২ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচন যখন হয় তখনই ভাবা হয় প্রতীকের কথা। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নিরক্ষর ভোটারের কথা মাথায় রেখে কিছু চিহ্ন ঠিক করা হয়েছিল। সেই তালিকায় সব্জি ‘ক্যাপসিকাম’ থেকে ‘এয়ার কন্ডিশনার’, ‘মই’ থেকে ‘চপ্পল’ অনেক কিছুই রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টেছে সেই প্রতীকের তালিকা। টাইপরাইটার, টেলিফোন, ক্যামেরার মতো পুরোনো কমন সিম্বলের পাশাপাশি ভ্যাকিউম ক্লিনার, এয়ার কন্ডিশনারের মতো সামগ্রী প্রতীক হিসেবে ঢুকে গিয়েছে। কৃষিপ্রধান ভারতে ভোটদান প্রথার গোড়ার দিকে প্রতীক ছিল ‘লাঙল কাঁধে চাষী’। বলদ দিয়ে জমি চাষ করার জন্য কখনও তা হয়েছে ‘দু’টি গোরু’। কখনও আবার ব্যালটে উঠে এসেছে ‘গোরুর গাড়ি’।
দেশের বর্তমান দুই প্রধান দল বিজেপি ও কংগ্রেসের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সময় প্রতীক বদলেছে তিনবার। আদি প্রতীক ‘জোড়া বলদ’ থেকে কংগ্রেসের প্রতীক হয়েছে ‘হাত’। আবার গোড়ায় ‘প্রদীপ’ প্রতীকের জনসংঘই বিজেপি হওয়ার পরে প্রতীক নিয়েছে ‘পদ্ম’। বিজেপির আদি দল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জনসংঘ ১৯৫১ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ভোটে লড়েছিল ‘প্রদীপ’ প্রতীক নিয়ে। ১৯৭৭ সালে যখন বেশ কিছু কংগ্রেস বিরোধী দলকে নিয়ে জনতা পার্টি গঠন হয় এবং জনসংঘ তাতে যোগ দেয় তখন প্রতীক হয়ে যায় ‘লাঙল কাঁধে কৃষক’। তিন বছর পরেই জনতা পার্টি ভেঙে যায়। জন্ম নেয় ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি। তখন থেকেই প্রতীক ‘পদ্ম’।
অন্যদিকে, ১৯৫২ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসের প্রতীক ছিল ‘জোড়া বলদ’। মাঠে লাঙল নিয়ে যাওয়া ‘জোড়া বলদ’ প্রতীক নিয়েই প্রথম চারটি লোকসভা নির্বাচনে লড়ে কংগ্রেস। ১৯৬৯ সালে ইন্দিরা গান্ধী দল ভেঙে গঠন করেন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস (আর)। প্রতীক হয় ‘গাই-বাছুর’। তখন আদি কংগ্রেসের হাতেই থেকে যায় ‘জোড়া বলদ’ প্রতীক। এর পরে ১৯৭৭ সালে ইন্দিরা গান্ধী গঠন করেন কংগ্রেস (আই)। তখন থেকেই প্রতীক হয় ‘হাত’। এক সময় গ্রামে গ্রামে ছিল তীব্র জলসঙ্কট। ছিল না গভীর নলকূপ। ভরসা বলতে পুকুরের জল বা কুয়ো। তাই ‘কপিকল লাগানো কুয়োও’ কখনও হয়ে উঠেছে আমজনতার প্রতীক। পাল্টেছে সময়। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভেঙেছে দল। তৈরি হয়েছে নতুন পার্টি। আর সেই বদলানো সময়ের সঙ্গে দলের প্রতীক হয়েছে কখনও ট্যাক্সি, কখনও মোটরবাইক, কখনও আবার সাইকেল।
বর্তমান যুগ হল ‘এজ অব ডিজিটাল এরা’। প্রচার আর শুধু দেওয়াল লিখন, পোস্টার-হোর্ডিং-ব্যানারে সীমাবদ্ধ নেই। কাগজ-টিভির তথাকথিত মাধ্যম ছাড়িয়ে মতামত গঠনের প্রধান মাধ্যমে পরিণত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। আর সিংহভাগ ভোটের লড়াই যখন সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে, আমজনতা যখন ধরা দিচ্ছে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে, তখন ভোটের প্রতীকই বা কেন কৃষক, লাঙল, কুড়ুল বা ঝাড়ুর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে! স্বাভাবিক নিয়মেই সেই প্রতীকের উপর প্রভাব ফেলেছে ডিজিটাল জমানা। নির্দল বা স্বীকৃতিহীন দলের জন্য প্রতীকের তালিকা প্রকাশ করেছে দেশের নির্বাচন কমিশন। ট্রাডিশনাল কান্ট্রির তকমা ঝেড়ে আরবান নেশন-এ রূপ নিয়েছে ভারত। তাই প্রতীকও হয়ে উঠেছে দেশবাসীর নিত্য জীবনযাত্রায় ব্যবহার্য সামগ্রী — সিসিটিভি থেকে কম্পিউটার মাউস, ল্যাপটপ থেকে পেন ড্রাইভ, মেবাইল চার্জার থেকে ব্রেড টোস্টার। এমনকী, একঝাঁক আনুষঙ্গিক উপকরণ বা অ্যাকসেসরিজ।
আগে যেখানে নির্দল প্রার্থীদের জন্য গোরুর গাড়ি, কুড়ুল, ঝাঁপি বা ঝুড়ি, মোমবাতি, গাজরের মতো ‘ফ্রি সিম্বল’ ছিল। সেখানে নির্বাচন কমিশন এবার ডিজিটাল জমানার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পেনড্রাইভ, মাউস বা ল্যাপটপের মতো একগুচ্ছ প্রতীক প্রকাশ করেছে। সূচনা করেছে নয়া যুগের। লণ্ঠন, ঝাড়ু একদা যেখানে কমিশনের ফ্রি সিম্বল ছিল, সেখানে তা এখন আরজেডি এবং আম আদমি পার্টির নিজস্ব প্রতীকে পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিবর্তন হল আদতে ভারত থেকে ইন্ডিয়াতে রূপান্তর। একসময় যে পরিবর্তন শুরু হয়েছিল গোরুর গাড়ি বা সমতুল্য প্রতীকের হাত ধরে। তথ্য বলছে, প্রথম লোকসভা ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ৯০ শতাংশই ছিল গ্রামীণ ভারত থেকে। আর আট বছর আগে ২০১১ সালে হওয়া সর্বশেষ আদম সুমারি অনুযায়ী দেশের মাত্র ৩৭ শতাংশ মানুষ বসবাস করেন শহর ও নগরে। পশ্চিমবঙ্গের ৩৩ শতাংশ মানুষ শহরে বসবাস করেন। গুজরাত ও মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ। আর এই শহুরে জনসংখ্যার কাছে ল্যাপটপ, স্মার্টফোন একটা শক্তিশালী সোশ্যাল সিম্বল। এ বছরে সারাদেশের ৯০ কোটি ভোটারের মধ্যে ৩৭ কোটির বয়স ১৮-৩৫ বছরের মধ্যে। যাঁদের মধ্যে আবার দেড় কোটি প্রথমবারের ভোটার। প্রসঙ্গত, এবার ভোটার তালিকায় ২০ লক্ষ ৬০ হাজার নতুন ভোটারের নাম নথিভুক্ত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে। যা ভারতে সর্বোচ্চ। আর ইন্টারনেট যেহেতু শহর থেকে গ্রামকে গোটা বিশ্বের সঙ্গে একসুতোয় বেঁধে ফেলেছে, সেই ‘বিশ্বজাল’কে ভর করেই ডিজিটাল সরঞ্জামের রমরমা; সেখানে নির্বাচনী প্রতীকেও যে তা প্রতিফলিত হবে সেটাই স্বাভাবিক। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটা হচ্ছে নতুন যুগের ভারত। কমিশনের সময়োপযোগী প্রতীকের মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রজন্মকে নিজেদের পালে টানতে সুবিধা হবে রাজনৈতিক নেতাদের। যেখানে দেশের একটা বড় অংশ তরুণ প্রজন্ম। এছাড়া এই অভিনব প্রতীক মতামত গড়তেও বড় ভূমিকা নেবে।
মার্কেটিং বা কমিউনিকেশন বলে, কোনও সংস্থার ‘লোগো’র মতো নির্বাচনী প্রতীকও আসলে সংশ্লিষ্ট দল বা পার্টি সুপ্রিমোর ‘ব্রান্ড ভ্যালু’ গড়তে কাজ করে। আন্না হাজারের সঙ্গে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে নেমে যখন আম আদমি পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তখন তিনি প্রতীক হিসেবে ঝাড়ু বাছেন। প্রচারে ঝড় তোলেন, এর মাধ্যমেই দেশ থেকে দুর্নীতি ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হবে। আর ‘স্বচ্ছ ভারত’ অভিযানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন হাতে সেই ঝাড়ু ধরলেন, তখন অনেকে মনে করেন, দুর্নীতিবিরোধী ভারত গড়তে ঝাঁটাই উপযুক্ত প্রতীক।
আবার দলের সেই প্রতীককে কেন্দ্র করেই তৈরি হয় নির্বাচনী স্লোগান। আর আজকের সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে দলের কর্মী-সমর্থকেরা সেই প্রতীক নিয়ে সেলফি তুলে পোস্ট করেন। যাতে সম্ভাব্য ভোটারদের কাছে টানা যায়। দলে ভাঙনের পর প্রতীক নিয়ে আইনি লড়াইয়েরও নজির রয়েছে নির্বাচনী ইতিহাসে। সেই তালিকায় রয়েছে জনতা পার্টি, জনতা (এস), চরণ সিংয়ের ভারতীয় লোকদল, কংগ্রেস এবং কংগ্রেস (আই)। বা সাইকেল প্রতীক নিয়ে সাম্প্রতিক কালের বাবা-ছেলে মুলায়ম-অখিলেশের লড়াই।
গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল  সহযোগিতায় : স্বাগত মুখোপাধ্যায়
21st  April, 2019
রাজনীতির ভাগ্যপরীক্ষা
আকাশদীপ কর্মকার

 এই মুহূর্তে দেশের রাজনীতিতে মুখ্য আলোচিত বিষয় লোকসভা নির্বাচন। রাজনীতিকদের ভাগ্যপরীক্ষা। এই নির্বাচনে দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের শক্তি পরীক্ষার পাশাপাশি ভাগ্য পরীক্ষা দেশের হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদেরও।
বিশদ

21st  April, 2019
শতবর্ষে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড

১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগে একটি প্রতিবাদ সভায় জেনারেল ডায়ার বিনা প্ররোচনায় নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিলেন। এ বছর ওই হত্যাকাণ্ডের ১০০ বছর। সেদিনের ঘটনা স্মরণ করলেন সমৃদ্ধ দত্ত।
বিশদ

14th  April, 2019
প্রথম ভোট
সমৃদ্ধ দত্ত

সকলেই চাইছে লাঙল। ১৯৫১ সালের ১ জুলাই। রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে দেশের প্রথম নির্বাচন কমিশনার সুকুমার সেন মিটিং ডেকেছেন। নির্বাচনী প্রতীক বন্টন করা হবে। প্রতিটি দলকে বলা হয়েছিল আপনারা নিজেদের পছন্দমতো প্রতীক নিয়ে আসবেন সঙ্গে করে। সেটা প্রথমে জমা নেওয়া হবে। তারপর স্থির করা হবে কাকে কোন প্রতীক দেওয়া যায়। কিন্তু, মিটিং শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবল ঝগড়া শুরু হয়ে গেল। কারণ প্রায় সিংহভাগ দলেরই পছন্দ লাঙল। কেন?
বিশদ

07th  April, 2019
সিনেমার রাজনীতি
শাম্ব মণ্ডল

সেদিন পোডিয়ামে উঠেই শ্রোতাদের চমকে দিয়ে একটা ডায়লগ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তিনি: ‘হাও ইজ দ্য জোশ?’ এক মুহূর্ত দেরি না করে শ্রোতাদের মধ্যে থেকে সমস্বরে উত্তর এসেছিল ‘হাই স্যর!’ যিনি ডায়লগটা শ্রোতাদের উদ্দেশে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তিনি আর কেউ নন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ২০ জানুয়ারি মুম্বইয়ে ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ইন্ডিয়ান সিনেমা-র উদ্বোধনে দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখেও তখন ‘উরি’র ক্রেজ।
বিশদ

31st  March, 2019
ভোট মানেই তো
স্লোগানের ছড়াছড়ি
কল্যাণ বসু

ভোটের মাঠে হরেক রকমের সুর। স্লোগানে মেলে ছড়ার ছন্দ। গ্রাম-শহরের অলি-গলি ছাপিয়ে রাজপথে মাইকে ভাসে সেই ছন্দময় স্লোগান। চলে স্লোগান নিয়ে শাসক-বিরোধীর আকচা-আকচিও। বহু স্লোগান দাগ কেটে যায় দেশের মাটিতে। বহুকাল টিকে থাকে তার স্মৃতিও। দেশের সৈনিক ও কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য ১৯৬৫ সালে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর স্লোগান ‘জয় জওয়ান, জয় কিষান’ আজও তো কত ইতিহাসের সাক্ষী। 
বিশদ

31st  March, 2019
স্বাধীন গণতান্ত্রিক ভারতের ভোট
ব্যবস্থার রূপকার সুকুমার সেন
অভিজিৎ দাস

রাস্তাঘাটের দুর্বিষহ দশা। কোথাও আবার রাস্তাই নেই। বিস্তর ঝক্কি পেরিয়ে প্রত্যন্ত গাঁ-গঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছনো। দেশের সিংহভাগ জায়গা টেলি যোগাযোগের বাইরে। এখনও বাকি পড়ে রয়েছে বহু কাজ। তার মধ্যেই বহু কাঠ-খড় পুড়িয়ে খসড়া ভোটার তালিকা তৈরি হল। তাতে চোখ বুলিয়ে আঁতকে উঠলেন এক বঙ্গসন্তান।
বিশদ

24th  March, 2019
বদলে যাওয়া
ভোট
রজত চক্রবর্তী

 নির্বাচন গ্রামে-গঞ্জে-মফঃস্বলে আগে উৎসবই ছিল। তোরঙ্গ থেকে পাট ভাঙা শাড়ি পরতেন মা-মাসিরা। সেখান থেকে প্রচারে চলে এল ক্যাপশান, ‘গণতন্ত্রের মহান উৎসব নির্বাচন’। এই প্রচারের উল্টোপিঠে ছিল আরও একটি প্রচার। ‘নির্বাচন কোনও উৎসব নয়, আপনার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানাবার পদ্ধতি’।
বিশদ

24th  March, 2019
লাগল যে দোল
সন্দীপন বিশ্বাস

বসন্তের প্রকৃতিজুড়ে রংয়ের ঝরনাধারা। শিমুলে, পলাশে সে কী শিহরণ! হৃদয়জুড়ে জেগে ওঠে আকুলতা। রাধার হৃদয়েও জাগে তীব্র প্রত্যাশা। তাঁর মন যেন বলে ওঠে, মাধব, তুমি কোথায়! আমার এই শ্যামহীন বিবর্ণতা মুছে দাও তুমি তোমার স্পর্শে। তোমার স্পর্শেই আছে পৃথিবীর অনন্ত রং। সেসব ছড়িয়ে পড়ুক আমার শরীরে, অন্তরে।
বিশদ

17th  March, 2019
পুরাণে ও ইতিহাসে হোলি

আমরা বলি দোল। উত্তর ভারতের লোকেরা বলেন হোলি। এই হোলি শব্দটি এসেছে হোলিকা থেকেই। হোলিকা হল পুরাণের এক চরিত্র। সে ছিল দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপুর বোন। স্বভাবে সে ছিল অত্যন্ত দুষ্টু প্রকৃতির। হিরণ্যকশিপু ছিলেন বিষ্ণুর বিরোধী। তাঁর ছেলে প্রহ্লাদ ছিলেন বিষ্ণুর পরম ভক্ত।  বিশদ

17th  March, 2019
বেলুড় মঠে দোল

ফাগুন সেজে ওঠে পলাশের রংয়ে। শীতের শুষ্কতা এবং গ্রীষ্মের রুক্ষতার মাঝে এ এক নির্মল প্রাকৃতিক আনন্দের সময়কাল। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হয় রং খেলা। অন্যান্য জায়গার মতো বেলুড় মঠেও দোল খেলা হয়। সকলে ফাগের আনন্দে মেতে ওঠেন। কিন্তু সেই মেতে ওঠাটার ভিতরে মিশে থাকে অন্য এক তাৎপর্য।
বিশদ

17th  March, 2019
 ওয়ার রুম

গোটা ভারত উত্তাল। পাকিস্তানকে জবাব দিতে হবে। মুখের মতো। সাউথ ব্লক। ভারত তথা দিল্লির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিং। এটাই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্স চিফদের অফিস, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসর অজিত দোভালের দপ্তর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের চেম্বার। সেকেন্ড ফ্লোর।
বিশদ

10th  March, 2019
অপারেশন বালাকোট
সমৃদ্ধ দত্ত

ডাল লেকের উল্টোদিকের হোটেলের পাশেই সরু রাস্তাটা একটু উপরের দিকে চলে যাচ্ছে। ওটা দিয়ে উঠে দেখা যাবে একজন হাকিমের চেম্বার। সেটারই পিছনে ঘর। কাঠের। মকসুদ যাবে চা আনতে। ছেলেটা অনন্তনাগের। খুবই ভালো। কাশ্মীরিয়াতের আদর্শ একেবারে মনের মধ্যে শিকড়ের মতো প্রোথিত। বিশদ

10th  March, 2019
এবার টার্গেট
মাসুদ আজহার
মৃন্ময় চন্দ

 পড়াশোনার ব্যাপ্তি ক্লাস এইট, লিখে ফেলেছে আটটি বই। সম্পাদনা করে বহুল প্রচারিত একটি ধর্মীয় পত্রিকা। বরাবরই লাদেনের স্নেহ ও আস্থাভাজন। যুদ্ধ করতে গিয়েছে সোমালিয়ায়। মেদবহুল শরীর। গানের গলা ভারী মিষ্টি। সাপের মতই কুটিল-হিংস্র সে। দীর্ঘদিনের সহচরকে হিলহিলে জিঘাংসায় খুন করতে দুবার ভাবে না। ঠিকা নিয়েছে সে, এই বিশ্বকে তারই মত মৌলবাদী মুসলিমের পেলব সুশীতল বাসভূমি করে তুলবে। বিধর্মী কাফের সাফ করে। রেহাই পাবে না এমনকী মুক্তমনা মুসলিমরাও।
বিশদ

03rd  March, 2019
বদলা চাই
প্রীতম দাশগুপ্ত

 জানুয়ারির এক গভীর রাত। নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবে শ করল জনা দশেক জঙ্গি। নেতৃত্বে মহম্মদ উমের। সম্পর্কে জয়েশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাইপো। প্রত্যেক জঙ্গির হাতেই অত্যাধুনিক অস্ত্র। বিস্ফোরক। এই দলের সঙ্গে যোগ দেয় আব্দুল রশিদ গাজি ওরফে কামরান।
বিশদ

24th  February, 2019
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চলতি লোকসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রিগিং করতে পারছেন না। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ও সুদৃঢ পদক্ষেপ দিদির রিগিং প্রক্রিয়ায় বড়সড় আঘাত হেনেছে। ...

 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...

 জিয়াং (চীন), ২২ এপ্রিল: এশিয়ান কুস্তি প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রত্যাশা বেশি ওলিম্পিক ব্রোঞ্জ জয়ী সাক্ষী মালিক ও বিশ্বের একনম্বর বজরং পুনিয়াকে ঘিরে। মঙ্গলবার থেকে এই প্রতিযোগিতা ...

সংবাদদাতা, মালবাজার: চিতাবাঘের আতঙ্কে রাত জাগছে ধূপগুড়ি ব্লকের বানারহাটের ডুডুমারি, জ্বালাপাড়া ও আলে এই তিনটি গ্রামের বাসিন্দারা। এছাড়াও ওই তিনটি গ্রামের ছয়টি স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যেও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বই দিবস
১৬১৬ -ইংরেজী সাহিত্য তথা বিশ্বসাহিত্যের প্রথম সারির নাট্যকার ও সাহিত্যিক উইলিয়াম শেক্সপীয়রের জন্ম
১৯৪১ - বিশ্বের প্রথম ই-মেইল প্রবর্তনকারী রে টমলিনসনের জন্ম
১৯৬৯: অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ির জন্ম
১৯৯২: সত্যজিৎ রায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৯৫ টাকা ৭০.৬৪ টাকা
পাউন্ড ৮৯.০৮ টাকা ৯২.৩৬ টাকা
ইউরো ৭৬.৯৮ টাকা ৭৯.৯৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩১, ৯৯৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০, ৩৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০, ৮১০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭, ৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭, ৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
21st  April, 2019

দিন পঞ্জিকা

৯ বৈশাখ ১৪২৬, ২৩ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, চতুর্থী ১৪/৩৫ দিবা ১১/৪। জ্যেষ্ঠা ৩০/৫ অপঃ ৫/১৬। সূ উ ৫/১৪/২০, অ ৫/৫৫/৫৪, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৫ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে ২/৭ মধ্যে, বারবেলা ৬/৪৯ গতে ৮/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৫ মধ্যে।
৯ বৈশাখ ১৪২৬, ২৩ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, চতুর্থী ২০/১৭/২৩ দিবা ১/২১/৪৫। জ্যেষ্ঠানক্ষত্র ৩৫/৫৫/৫৪ রাত্রি ৭/৩৭/১০, সূ উ ৫/১৪/৪৮, অ ৫/৫৭/১২, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে, বারবেলা ৬/৫০/৬ গতে ৮/২৫/২৪ মধ্যে, কালবেলা ১/১১/১৮ গতে ২/৪৬/৩৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২১/৫৪ গতে ৮/৪৬/৩৬ মধ্যে।
১৭ শাবান
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: শত্রু বশ মানতে বাধ্য হবে। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃতি লাভ। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

বিশ্ব বই দিবস১৬১৬ -ইংরেজী সাহিত্য তথা বিশ্বসাহিত্যের প্রথম সারির নাট্যকার ...বিশদ

07:03:20 PM

আইপিএল: সিএসকের সামনে ১৭৬ রানের টার্গেট খাড়া করল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ  

09:37:59 PM

 আইপিএল: হায়দরাবাদ ৯১/১ (১০ ওভার)

08:50:51 PM

গুরদাসপুরে সানি দেওলকে প্রার্থী করল বিজেপি 

08:08:03 PM

টসে জিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে পাঠাল সিএসকে 

07:36:29 PM