Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

পুরাণে ও ইতিহাসে হোলি

আমরা বলি দোল। উত্তর ভারতের লোকেরা বলেন হোলি। এই হোলি শব্দটি এসেছে হোলিকা থেকেই। হোলিকা হল পুরাণের এক চরিত্র। সে ছিল দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপুর বোন। স্বভাবে সে ছিল অত্যন্ত দুষ্টু প্রকৃতির। হিরণ্যকশিপু ছিলেন বিষ্ণুর বিরোধী। তাঁর ছেলে প্রহ্লাদ ছিলেন বিষ্ণুর পরম ভক্ত। সে কারণে নিজের ছেলেকে হত্যার চেষ্টা করতেও দৈত্যরাজের হাত কাঁপত না। কিন্তু বারবার তিনি ব্যর্থ হতেন। একবার তিনি পরিকল্পনা করলেন তাঁর বোন হোলিকা শিশু প্রহ্লাদকে কোলে নিয়ে আগুনের মধ্যে প্রবেশ করবে। হোলিকার ছিল বিশেষ ক্ষমতা। আগুনে সে পুড়ত না। তাই এমন পরিকল্পনা করা হয়েছিল। যাতে প্রহ্লাদ আগুনে পুড়ে মারা যায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী হোলিকা ছোট্ট প্রহ্লাদকে নিয়ে আগুনে প্রবেশ করল। কিন্তু ফল হল উল্টো। মিথ্যাচারের জন্য এবং অন্যের ক্ষতি করার চেষ্টা কারণে হোলিকার সেই বিশেষ ক্ষমতা কোনও কাজেই এল না। সে আগুনে পুড়ে মারা গেল আর বিষ্ণুর কৃপায় জ্বলন্ত আগুন থেকে অক্ষত দেহে প্রহ্লাদ বেরিয়ে এলেন। সেই হোলিকা শব্দ থেকে হোলির উৎপত্তি। এছাড়া আমরা দেখি হোলির আগের দিন চাঁচর পোড়ানো। সেটাও এসেছে হোলিকার পুড়ে যাওয়া থেকে। এক অশুভ শক্তির দহনকেই আমরা প্রতীকীভাবে প্রকাশ করি চাঁচর পোড়ানোর মধ্য দিয়ে। আমরা বলি চাঁচর বা মেড়াপোড়া। ওড়িশায় একই বলে মেন্টপোড়াই।
শুধু হোলিকা নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে পুতনা রাক্ষসীর কাহিনিও। কৃষ্ণকে হত্যা করার জন্য পুতনা রাক্ষসীকে পাঠিয়েছিল রাজা কংস। পুতনার বুকের বিষদুধ পান করে যাতে মৃত্যু হয় কৃষ্ণের। কিন্তু কৃষ্ণের মরণ কামড়ে মৃত্যু হল পুতনার। এরপর গোপবালকেরা সেই রাক্ষসীর প্রতিকৃতি আগুনে পুড়িয়ে উৎসব পালন করে। এখানেও তো আমরা দেখি সেই দুষ্টের দমনের স্মরক।
আরও এক দহনের কাহিনি আমরা পাই। সে হল মদনভস্মের কাহিনি। মহাদেবের ধ্যানভঙ্গ করতে মদন পুষ্পধনুতে শরসন্ধান করে দেবাদিদেবকে বিদ্ধ করলেন। মহাদেবের ধ্যানভঙ্গ হল বটে কিন্তু রুষ্ট শঙ্করের তৃতীয় নয়নের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেলেন মদনদেব। মদনের স্ত্রী রতি শিবের পায়ের উপর পড়ে স্বামীর প্রাণভিক্ষা চাইলেন। তাতে মহাদেবের হৃদয় একটু নরম হল। দেহ আর ফিরে পেলেন না মদন। তিনি রয়ে গেলেন অনঙ্গ হয়ে। এটিকে স্মরণ করেই দক্ষিণ ভারতে হোলির সময় ‘কামদহনম’ বা ‘কামাহন’ উৎসব পালিত হয়।
স্কন্দপুরাণের একটি অধ্যায়ে দোলযাত্রার কথা বলা হয়েছে। যুধিষ্ঠির দোলযাত্রার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে বলেন, সত্যযুগে রঘু নামে এক ধার্মিক ও গুণবান রাজা ছিলেন। তাঁর রাজ্যে দুর্ভিক্ষ, ব্যাধি, মহামারী বা অকালমৃত্যু বলে কিছু ছিল না। কিন্তু একবার ঢুনঢা নামে এক রাক্ষসীর প্রভাবে রাজ্যে নানা অমঙ্গল সূচিত হয়। নানা রোগে ভুগে ভুগে মানুষের মৃত্যু হতে থাকে। প্রজারা বিপদ দেখে রাজার শরণাপন্ন হলেন। রাজা সব কথা শুনে ডেকে পাঠালেন প্রধান পুরোহিতকে। পুরোহিত এসে গণনা করে রাজাকে বললেন, পুরাকালে মালিনীর কন্যা ঢুনঢা কঠোর তপস্যা করে শিবকে তুষ্ট করেন। শিব তাঁকে বর প্রার্থনা করতে বললে ঢুনঢা অমরত্ব বর প্রার্থনা করে। শিব তাঁকে বরদান করে বলেন, স্বর্গ, মর্ত্য, পাতালে তাঁকে কেউ বধ করতে পারবে না। শুধু ঋতু পরিবর্তনের সময় উন্মাদগ্রস্ত ব্যক্তি বা বালকগণের কাছ থেকে তাঁকে দূরে থাকতে হবে। পুরোহিতের কাছ থেকে মৃত্যুর পন্থা জানতে পেরে রাজ্যের বালকরা সবাই একত্রিত হয়ে শুকনো কাঠ জ্বালিয়ে রাক্ষসী ঢুনঢাকে পুড়িয়ে মারে। হোলিকা, পুতনা, ঢুনঢা এরা সবাই অশুভের প্রতীক। একদিকে যেমন শীতের অবসানে বসন্তের আগমন হয়। তেমনই ফেলে আসা শীতের ঝরাপাতা, শুকনো আবর্জনাকে পুড়িয়ে ফেলে নতুন রংয়ে নিজেদের মনকে রাঙিয়ে তোলার উৎসব দোল। এই উৎসবে ফাগুনের রঙিন আনন্দের ঘোর লাগে মানুষের দেহে ও মনে।
বাংলায় দোল উৎসবের জন্য আমরা অনেকটাই ঋণী মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যের কাছে। পাঁচশো বছর আগে এই দেশে তিনি অসংখ্য সামাজিক আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন। তার মধ্যে দোল হল অন্যতম। শ্রীচৈতন্য বৃন্দাবনে গিয়ে হোলিখেলা দেখে এসেছিলেন। তাই দেখে তিনি বাংলাতেও দোলযাত্রার সূচনা করেছিলেন। তিনি সবাইকে বলতেন, এইদিনে তোমরা সবাই কৃষ্ণমন্দিরে গিয়ে কৃষ্ণকে আবির ও রং দেবে। এর

মধ্য দিয়ে মহাপ্রভু যে দর্শনটি ব্যক্ত করেছিলেন তা হল, নিজের মনের শুভ রংটি দেবতার কাছে সমর্পণ কর। সেই রংই মনের শুদ্ধ ভক্তির প্রতীক হয়ে যায়। সেই থেকে বাংলায় দোলের দিন রংয়ের উৎসব পালিত হয়ে আসছে।
ধর্ম ও পুরাণের জীবন থেকে রংয়ের উৎসব নেমে এল ইতিহাসের সরণি বেয়ে আমাদের আজকের জীবনে। ইতিহাসের পাতাতেও হোলিখেলার বহু কাহিনি পাই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কবিতা ‘হোরিখেলা’র উল্লেখ করা যেতে পারে। পাঠান বীর কেসর খাঁকে হোরি খেলতে আমন্ত্রণ জানালেন ভুনাগ রানি। দোলকে কেন্দ্র করে সে এক রাজনৈতিক লড়াই। প্রতিশোধের রংয়ে রাঙা হল মাটি।
ইতিহাসে প্রথম হোলির উল্লেখ পাই আমরা বাণভট্টের রত্নাবলী নাটকে। সপ্তম শতকে হর্ষবর্ধনের সময় লেখা এই নাটকে হোলি উৎসবের বর্ণনা পাওয়া যায়। একাদশ শতাব্দীতে পর্যটক আলবেরুণী এসেছিলেন ভারত ভ্রমণে। তাঁর লেখায় হোলির বর্ণনা পাওয়া যায়। ‘আইনি আকবরী’তে বলা হয়েছে তখন কেবল শূদ্ররাই হোলি খেলত। অবশ্য সেই অর্থে সম্প্রদায়গত বিভেদ বলে একসময় কিছু ছিল না। তখন সব উৎসবে এদেশে সবাই মিলেমিশে একাত্ম হয়ে যেতেন। তখন মুসলমানরাও রং-আবির খেলায় যোগ দিতেন। সেই রং পৌঁছে গিয়েছিল রাজদরবারেও। আবির-গুলাল উড়ত প্রাসাদের বাগানে, অলিন্দে। দোল নিয়ে লেখা হতো কবিতা আর বসত গানের আসর। মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম তাঁর দরবারে হোলি খেলতেন। ফাগের সঙ্গে ছড়ানো হত গোলাপ জল। হোলি নিয়ে নিজেও বেশ কয়েকটি দিওয়ান বা কবিতা ও গান লিখেছিলেন। সেই গান তিনি দরবারে বসে শুনতেন। হোলির দিন বসত কাওয়ালির আসর। আর প্রাসাদের ভিতরে তাঁর বালক পুত্র সুলেমান শুকোহ কৃষ্ণ সেজে অন্যদের সঙ্গে হোলি খেলত। সেই সময়কার লেখা বইতে তার উল্লেখ পাওয়া যায়। বিভিন্ন বইতে পাওয়া যায় আওধের রাজাদের হোলি খেলারও প্রসঙ্গ। আওধের রাজদরবারে হোলি খেলা নিয়ে লিখে গিয়েছেন উর্দু কবি মির তাকি মির। হোলি খেলার সময় রাধাকৃষ্ণ সাজিয়ে শোভাযাত্রা বের করা হতো। এছাড়া বাংলার নবাব সিরাজদ্দৌল্লা আবির খেলতে ভালোবাসতেন বলে শোনা যায়। এভাবেই ইতিহাসে সম্পৃক্ত হয়ে আছে রংয়ের উল্লাস। সেই উত্তরাধিকার ও পরম্পরাকে বহন করে নিয়ে চলেছে সমকাল।
17th  March, 2019
রাজনীতির ভাগ্যপরীক্ষা
আকাশদীপ কর্মকার

 এই মুহূর্তে দেশের রাজনীতিতে মুখ্য আলোচিত বিষয় লোকসভা নির্বাচন। রাজনীতিকদের ভাগ্যপরীক্ষা। এই নির্বাচনে দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের শক্তি পরীক্ষার পাশাপাশি ভাগ্য পরীক্ষা দেশের হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদেরও।
বিশদ

21st  April, 2019
প্রতীক বদলে ডিজিটাল ছোঁয়া
দেবজ্যোতি রায়

সাহিত্য বা লেখালিখিতে সর্বদা সময়ের দাবিই উঠে আসে। প্রতিফলিত হয় তৎকালীন সময়ের পটভূমি, চরিত্র, চিত্রায়ন। অতীতেও হয়েছে, আধুনিক বা নব্য আধুনিক যুগও তার ব্যতিক্রম নয়। বর্তমানে আধুনিক সাহিত্য বা পটভূমির একটা বড় অংশ দখল করে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক মাধ্যম।
বিশদ

21st  April, 2019
শতবর্ষে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড

১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগে একটি প্রতিবাদ সভায় জেনারেল ডায়ার বিনা প্ররোচনায় নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিলেন। এ বছর ওই হত্যাকাণ্ডের ১০০ বছর। সেদিনের ঘটনা স্মরণ করলেন সমৃদ্ধ দত্ত।
বিশদ

14th  April, 2019
প্রথম ভোট
সমৃদ্ধ দত্ত

সকলেই চাইছে লাঙল। ১৯৫১ সালের ১ জুলাই। রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে দেশের প্রথম নির্বাচন কমিশনার সুকুমার সেন মিটিং ডেকেছেন। নির্বাচনী প্রতীক বন্টন করা হবে। প্রতিটি দলকে বলা হয়েছিল আপনারা নিজেদের পছন্দমতো প্রতীক নিয়ে আসবেন সঙ্গে করে। সেটা প্রথমে জমা নেওয়া হবে। তারপর স্থির করা হবে কাকে কোন প্রতীক দেওয়া যায়। কিন্তু, মিটিং শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবল ঝগড়া শুরু হয়ে গেল। কারণ প্রায় সিংহভাগ দলেরই পছন্দ লাঙল। কেন?
বিশদ

07th  April, 2019
সিনেমার রাজনীতি
শাম্ব মণ্ডল

সেদিন পোডিয়ামে উঠেই শ্রোতাদের চমকে দিয়ে একটা ডায়লগ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তিনি: ‘হাও ইজ দ্য জোশ?’ এক মুহূর্ত দেরি না করে শ্রোতাদের মধ্যে থেকে সমস্বরে উত্তর এসেছিল ‘হাই স্যর!’ যিনি ডায়লগটা শ্রোতাদের উদ্দেশে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তিনি আর কেউ নন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ২০ জানুয়ারি মুম্বইয়ে ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ইন্ডিয়ান সিনেমা-র উদ্বোধনে দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখেও তখন ‘উরি’র ক্রেজ।
বিশদ

31st  March, 2019
ভোট মানেই তো
স্লোগানের ছড়াছড়ি
কল্যাণ বসু

ভোটের মাঠে হরেক রকমের সুর। স্লোগানে মেলে ছড়ার ছন্দ। গ্রাম-শহরের অলি-গলি ছাপিয়ে রাজপথে মাইকে ভাসে সেই ছন্দময় স্লোগান। চলে স্লোগান নিয়ে শাসক-বিরোধীর আকচা-আকচিও। বহু স্লোগান দাগ কেটে যায় দেশের মাটিতে। বহুকাল টিকে থাকে তার স্মৃতিও। দেশের সৈনিক ও কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য ১৯৬৫ সালে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর স্লোগান ‘জয় জওয়ান, জয় কিষান’ আজও তো কত ইতিহাসের সাক্ষী। 
বিশদ

31st  March, 2019
স্বাধীন গণতান্ত্রিক ভারতের ভোট
ব্যবস্থার রূপকার সুকুমার সেন
অভিজিৎ দাস

রাস্তাঘাটের দুর্বিষহ দশা। কোথাও আবার রাস্তাই নেই। বিস্তর ঝক্কি পেরিয়ে প্রত্যন্ত গাঁ-গঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছনো। দেশের সিংহভাগ জায়গা টেলি যোগাযোগের বাইরে। এখনও বাকি পড়ে রয়েছে বহু কাজ। তার মধ্যেই বহু কাঠ-খড় পুড়িয়ে খসড়া ভোটার তালিকা তৈরি হল। তাতে চোখ বুলিয়ে আঁতকে উঠলেন এক বঙ্গসন্তান।
বিশদ

24th  March, 2019
বদলে যাওয়া
ভোট
রজত চক্রবর্তী

 নির্বাচন গ্রামে-গঞ্জে-মফঃস্বলে আগে উৎসবই ছিল। তোরঙ্গ থেকে পাট ভাঙা শাড়ি পরতেন মা-মাসিরা। সেখান থেকে প্রচারে চলে এল ক্যাপশান, ‘গণতন্ত্রের মহান উৎসব নির্বাচন’। এই প্রচারের উল্টোপিঠে ছিল আরও একটি প্রচার। ‘নির্বাচন কোনও উৎসব নয়, আপনার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানাবার পদ্ধতি’।
বিশদ

24th  March, 2019
লাগল যে দোল
সন্দীপন বিশ্বাস

বসন্তের প্রকৃতিজুড়ে রংয়ের ঝরনাধারা। শিমুলে, পলাশে সে কী শিহরণ! হৃদয়জুড়ে জেগে ওঠে আকুলতা। রাধার হৃদয়েও জাগে তীব্র প্রত্যাশা। তাঁর মন যেন বলে ওঠে, মাধব, তুমি কোথায়! আমার এই শ্যামহীন বিবর্ণতা মুছে দাও তুমি তোমার স্পর্শে। তোমার স্পর্শেই আছে পৃথিবীর অনন্ত রং। সেসব ছড়িয়ে পড়ুক আমার শরীরে, অন্তরে।
বিশদ

17th  March, 2019
বেলুড় মঠে দোল

ফাগুন সেজে ওঠে পলাশের রংয়ে। শীতের শুষ্কতা এবং গ্রীষ্মের রুক্ষতার মাঝে এ এক নির্মল প্রাকৃতিক আনন্দের সময়কাল। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হয় রং খেলা। অন্যান্য জায়গার মতো বেলুড় মঠেও দোল খেলা হয়। সকলে ফাগের আনন্দে মেতে ওঠেন। কিন্তু সেই মেতে ওঠাটার ভিতরে মিশে থাকে অন্য এক তাৎপর্য।
বিশদ

17th  March, 2019
 ওয়ার রুম

গোটা ভারত উত্তাল। পাকিস্তানকে জবাব দিতে হবে। মুখের মতো। সাউথ ব্লক। ভারত তথা দিল্লির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিং। এটাই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্স চিফদের অফিস, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসর অজিত দোভালের দপ্তর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের চেম্বার। সেকেন্ড ফ্লোর।
বিশদ

10th  March, 2019
অপারেশন বালাকোট
সমৃদ্ধ দত্ত

ডাল লেকের উল্টোদিকের হোটেলের পাশেই সরু রাস্তাটা একটু উপরের দিকে চলে যাচ্ছে। ওটা দিয়ে উঠে দেখা যাবে একজন হাকিমের চেম্বার। সেটারই পিছনে ঘর। কাঠের। মকসুদ যাবে চা আনতে। ছেলেটা অনন্তনাগের। খুবই ভালো। কাশ্মীরিয়াতের আদর্শ একেবারে মনের মধ্যে শিকড়ের মতো প্রোথিত। বিশদ

10th  March, 2019
এবার টার্গেট
মাসুদ আজহার
মৃন্ময় চন্দ

 পড়াশোনার ব্যাপ্তি ক্লাস এইট, লিখে ফেলেছে আটটি বই। সম্পাদনা করে বহুল প্রচারিত একটি ধর্মীয় পত্রিকা। বরাবরই লাদেনের স্নেহ ও আস্থাভাজন। যুদ্ধ করতে গিয়েছে সোমালিয়ায়। মেদবহুল শরীর। গানের গলা ভারী মিষ্টি। সাপের মতই কুটিল-হিংস্র সে। দীর্ঘদিনের সহচরকে হিলহিলে জিঘাংসায় খুন করতে দুবার ভাবে না। ঠিকা নিয়েছে সে, এই বিশ্বকে তারই মত মৌলবাদী মুসলিমের পেলব সুশীতল বাসভূমি করে তুলবে। বিধর্মী কাফের সাফ করে। রেহাই পাবে না এমনকী মুক্তমনা মুসলিমরাও।
বিশদ

03rd  March, 2019
বদলা চাই
প্রীতম দাশগুপ্ত

 জানুয়ারির এক গভীর রাত। নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবে শ করল জনা দশেক জঙ্গি। নেতৃত্বে মহম্মদ উমের। সম্পর্কে জয়েশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাইপো। প্রত্যেক জঙ্গির হাতেই অত্যাধুনিক অস্ত্র। বিস্ফোরক। এই দলের সঙ্গে যোগ দেয় আব্দুল রশিদ গাজি ওরফে কামরান।
বিশদ

24th  February, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, মালবাজার: চিতাবাঘের আতঙ্কে রাত জাগছে ধূপগুড়ি ব্লকের বানারহাটের ডুডুমারি, জ্বালাপাড়া ও আলে এই তিনটি গ্রামের বাসিন্দারা। এছাড়াও ওই তিনটি গ্রামের ছয়টি স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যেও ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চলতি লোকসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রিগিং করতে পারছেন না। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ও সুদৃঢ পদক্ষেপ দিদির রিগিং প্রক্রিয়ায় বড়সড় আঘাত হেনেছে। ...

 আমেথি, ২২ এপ্রিল (পিটিআই): কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর মনোনয়নকে সোমবার বৈধ বলে ঘোষণা করলেন আমেথির রিটার্নিং অফিসার রামমনোহর মিশ্র। আমেথি কেন্দ্রে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে মারপিট চলার সময় ভাইয়ের ধাক্কায় রাস্তায় পড়ে যান দাদা। যোধপুর পার্কের তালতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বই দিবস
১৬১৬ -ইংরেজী সাহিত্য তথা বিশ্বসাহিত্যের প্রথম সারির নাট্যকার ও সাহিত্যিক উইলিয়াম শেক্সপীয়রের জন্ম
১৯৪১ - বিশ্বের প্রথম ই-মেইল প্রবর্তনকারী রে টমলিনসনের জন্ম
১৯৬৯: অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ির জন্ম
১৯৯২: সত্যজিৎ রায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৯৫ টাকা ৭০.৬৪ টাকা
পাউন্ড ৮৯.০৮ টাকা ৯২.৩৬ টাকা
ইউরো ৭৬.৯৮ টাকা ৭৯.৯৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩১, ৯৯৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০, ৩৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০, ৮১০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭, ৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭, ৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
21st  April, 2019

দিন পঞ্জিকা

৯ বৈশাখ ১৪২৬, ২৩ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, চতুর্থী ১৪/৩৫ দিবা ১১/৪। জ্যেষ্ঠা ৩০/৫ অপঃ ৫/১৬। সূ উ ৫/১৪/২০, অ ৫/৫৫/৫৪, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৫ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে ২/৭ মধ্যে, বারবেলা ৬/৪৯ গতে ৮/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৫ মধ্যে।
৯ বৈশাখ ১৪২৬, ২৩ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, চতুর্থী ২০/১৭/২৩ দিবা ১/২১/৪৫। জ্যেষ্ঠানক্ষত্র ৩৫/৫৫/৫৪ রাত্রি ৭/৩৭/১০, সূ উ ৫/১৪/৪৮, অ ৫/৫৭/১২, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে, বারবেলা ৬/৫০/৬ গতে ৮/২৫/২৪ মধ্যে, কালবেলা ১/১১/১৮ গতে ২/৪৬/৩৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২১/৫৪ গতে ৮/৪৬/৩৬ মধ্যে।
১৭ শাবান
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: শত্রু বশ মানতে বাধ্য হবে। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃতি লাভ। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

বিশ্ব বই দিবস১৬১৬ -ইংরেজী সাহিত্য তথা বিশ্বসাহিত্যের প্রথম সারির নাট্যকার ...বিশদ

07:03:20 PM

আইপিএল: সিএসকের সামনে ১৭৬ রানের টার্গেট খাড়া করল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ  

09:37:59 PM

 আইপিএল: হায়দরাবাদ ৯১/১ (১০ ওভার)

08:50:51 PM

গুরদাসপুরে সানি দেওলকে প্রার্থী করল বিজেপি 

08:08:03 PM

টসে জিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে পাঠাল সিএসকে 

07:36:29 PM