Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

লাগল যে দোল
সন্দীপন বিশ্বাস

ব্রজধামে হোলি

বসন্তের প্রকৃতিজুড়ে রংয়ের ঝরনাধারা। শিমুলে, পলাশে সে কী শিহরণ! হৃদয়জুড়ে জেগে ওঠে আকুলতা। রাধার হৃদয়েও জাগে তীব্র প্রত্যাশা। তাঁর মন যেন বলে ওঠে, মাধব, তুমি কোথায়! আমার এই শ্যামহীন বিবর্ণতা মুছে দাও তুমি তোমার স্পর্শে। তোমার স্পর্শেই আছে পৃথিবীর অনন্ত রং। সেসব ছড়িয়ে পড়ুক আমার শরীরে, অন্তরে।
নন্দগাঁও থেকে বরষনা- কতটুকুই বা পথ। রাধা চঞ্চল হয়ে উঠলেন। নন্দগাঁও থেকে কৃষ্ণের আসতে দেরি হচ্ছে দেখে রাধার মন অভিমানে ভরে ওঠে। পলকহীন চোখে তাকিয়ে থাকেন পথের দিকে। এই পথেই রংয়ের ঝর্নাধারা বইয়ে দিয়ে আসবেন শ্রীকৃষ্ণ, তাঁর পুরুষোত্তম। ভাবতে ভাবতেই যেন বাতাসে কী এক অপূর্ব গন্ধ ভেসে আসে। চকিত চমকে অস্থির হয়ে ওঠেন রাধা। আকাশের দিকে তাকিয়ে তিনি দেখেন আবির গুলালের ওড়না যেন আকাশটাকে ঢেকে দিচ্ছে। বিহ্বল চঞ্চলতায় উন্মুখ শ্রীরাধিকা। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরও তিনি কৃষ্ণের দেখা পেলেন না। একজন গোপিনী এসে খবর দিলেন, কৃষ্ণ নাকি কুঞ্জে অন্য গোপিনীদের সঙ্গে রং খেলছেন। মনোকষ্টে রাধা ছুটে গেলেন কুঞ্জে। দেখেন সত্যিই তো, কৃষ্ণ গোপিনীদের সঙ্গে রং খেলছেন। আবিরে তাঁদের অঙ্গ মাখামাখি। সকলে হাসছেন, নাচছেন, রঙ্গ করছেন। রাধার তখন আত্মবিস্মৃত অবস্থা। এ দৃশ্য তিনি সহ্য করতে পারবেন না। তাড়াতাড়ি গিয়ে কৃষ্ণকে আলিঙ্গনে আবদ্ধ করে, তাঁকে অন্যদের সঙ্গে হোরিখেলা থেকে বিরত করলেন। রাধার চোখে তখন ঈর্ষা। কেন কৃষ্ণ অন্যদের রং দেবেন? রাধার চোখের দিকে তাকিয়ে কৃষ্ণ সব বুঝতে পারেন। রাধার অঙ্গে রং মাখিয়ে দিয়ে তাঁকে রাগাতে থাকেন। বলেন, অভিমান হয়েছে তো! রাধাও বুঝতে পারেন, কৃষ্ণের উদ্দেশ্য। তিনি তাঁকে একটু রাগাতে চেয়েছিলেন। রাধাও তখন কপট রাগে কুঞ্জবন থেকে একটা লাঠি কুড়িয়ে নিয়ে কৃষ্ণকে মারতে থাকেন। কৃষ্ণও কপট আত্মরক্ষার ভান করেন। তাঁদের ঘিরে হাসতে থাকেন চন্দ্রাবলী, বিশাখা, ললিতা, চিত্রা সহ অষ্টসখী।
আজও দোলের দিন বরষনার মাটিতে সেই একই হোলিখেলা হয়। শতাব্দী কালের প্রবাহ পেরিয়ে একইরকম রঙিন ব্রজধাম। বরষনায় এখনও হয় লাঠমার হোলি। আজও নন্দগাঁও থেকে শতশত গোপ পুরুষ রাধার গ্রাম বরষনায় গিয়ে গোপিনীদের রং দেন। গোপিনীরা তাঁদের লাঠি দিয়ে মারেন। আর গোপরা আত্মরক্ষার ভান করেন। সাতদিন ধরে চলে লাঠমার হোলি। লাঠমার হোলির পর চলে রং খেলা। সঙ্গে রসিয়া নাচ ও গান। এরসঙ্গে ভাঙ সেবন তো আছেই। তাকে ওরা বলে ঠান্ডাই। চলে মিষ্টি বিলি। শরীরের রং, মনের রং আর প্রকৃতির বুকের ফুটে ওঠা সলজ্জ পলাশের রং মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।
সেই কবে থেকে এখানে চলে আসছে দোল খেলা। এর সূচনা তো কৃষ্ণের হাত ধরেই। পুতনাকে কৃষ্ণ বধ করেন। পুতনার বিষদুধে কৃষ্ণের সারা অঙ্গ কৃষ্ণবর্ণ হয়ে গেল। আর কালাচাঁদ তখন রাধার গৌরবর্ণ দেখে ঈর্ষাকাতর হয়ে উঠলেন। একদিন মা যশোদাকে গিয়ে তিনি অনুযোগের সুরে বললেন, ‘রাধা কিঁউ গোরি, ম্যায় কিঁউ কালা?’ দুষ্টু কানাইকে শান্ত করার জন্য যশোদা বললেন, যাও, তুমি গিয়ে রাধাকে রং মাখিয়ে দিয়ে এসো। দেখবে রাধা আর গোরি থাকবে না। সেকথা শুনে কৃষ্ণ রাধাকে গিয়ে রং মাখিয়ে দিয়ে এসেছিলেন।
রাধা কখনও ভোলেনি সেই রং খেলার স্মৃতি। প্রতিবারই রং খেলার শেষে রাধা ভানোসর সরোবরে তাঁর অঙ্গরাগ ধুয়ে ফেলতেন। সেই সরোবর খনন করেছিলেন রাধার বাবা বৃষভানু। কত রং ছিল সেই জীবনে! তবুও একদিন সারা জীবনের জন্য বিবর্ণতার রংয়ে রাধাকে সঁপে দিয়ে কৃষ্ণ মথুরায় চলে গেলেন। আর কখনও দেখা হয়নি রাধার সঙ্গে। সেই ভানোসরের পাড়ে বসে, কিংবা কুঞ্জের ভিতরে বসে রাধা মগ্ন থাকতেন কৃষ্ণের ধ্যানে। পরবর্তী দিনগুলিতে রাধা বেঁচেছিলেন সেই রংয়ের স্মৃতি নিয়েই। ‘সদাই ধেয়ানে চাহে মেঘপানে।’ আকাশের কৃষ্ণবর্ণ মেঘের দিকে তাকিয়ে রাধা খোঁজেন কৃষ্ণের অস্তিত্ব। সে ভাবসম্মিলনের রং ধুসর।
রাধাকৃষ্ণের হোলিখেলার সেই স্মৃতিকে আজও বাঁচিয়ে রেখেছেন ব্রজধামের মানুষ। বৃন্দাবন, মথুরা, বরষনা, নন্দগাঁও সর্বত্রই হোলিখেলার উন্মাদনা নজরে পড়ে। এই সময় এখানে বাইরে থেকে বহু মানুষ আসেন হোলিখেলার সাক্ষী হতে। সকলে রংয়ের ধারায় স্নাত হয়ে ওঠেন। তবে লাঠমার হোলি খেলার অধিকার সকলের থাকে না। এ খেলা কেবল নন্দগাঁও এবং বরষনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। বাইরের কেউ এ খেলায় অংশ নিতে পারেন না। অবশ্য হরিয়ানাতেও লাঠমার হোলির মতো খেলা দোলের সময় হয়। তাকে স্থানীয় ভাষায় বলে, ধুলেন্ডি হোলি।
বরষনায় একমাস ধরে হোলি খেলা হয়। হোলিখেলার মাসখানেক আগে থেকে এখানকার মায়েরা তাদের মেয়েদের বলে, ভালো করে একটু খাওয়া দাওয়া কর। নাহলে লাঠমার হোলিতে লড়াই করবি কী করে! সেখানে জীবনের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছে হোলিখেলা। ব্রজধামের শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান মন্দির, বাঁকেবিহারী মন্দির, দ্বারকাধীশ মন্দির, যুগলকিশোর মন্দির, গোবিন্দদেব জির মন্দির সর্বত্র ভক্তদের ভিড় দেখা যায়। আবির যেন পাখা মেলে ওড়ে। রাঙিয়ে দেয় মানুষকে। ধর্মের বন্ধনের মধ্য দিয়ে আত্মিক মিলনের সুর বেজে ওঠে। যা ছড়িয়ে পড়ে মন্দিরের বাইরের সামাজিক জীবনেও।
তবে একটা কথা ঠিক। বৈষ্ণব পদকর্তাদের কথায় বা পুরাণে রাধাকৃষ্ণের হোলিখেলার প্রসঙ্গ খুব একটা আসেনি। পরবর্তীকালে অবশ্য বহু কবি হোলিখেলাকে ছন্দোবন্ধনে ধরেছিলেন। এক বৈষ্ণব পদকর্তা লিখলেন, ‘আবির অরুণ-নব বৃন্দাবন উড়ি তা গগন ছায়। / বঁধুয়া আমার হিয়ার মাঝারে, কেহ না দেখিতে পায়।’ তবে শিল্পীরা তাঁদের ছবিতে এই রং খেলার দৃশ্যেকে নানা ব্যঞ্জনায় উপস্থাপিত করেছেন। কুলু কাংড়ার পাহাড়ী চিত্রকলা থেকে রাজস্থানী চিত্র বা দাক্ষিণাত্যের ছবি অথবা মুঘল মিনিয়েচার কিংবা বাংলার পটচিত্র, সর্বত্রই শিল্পীর বিষয় হয়ে উঠেছে রাধাকৃষ্ণের হোলিখেলা। এই হোলিখেলা যেন তাঁদের অন্যতর প্রেমের প্রকাশ। হোলিখেলার মধ্য দিয়ে আমরা যেন জীবনের সেই প্রেমকেই প্রকাশ করি। ভক্তির সঙ্গে মিশে থাকে সামাজিকতার আনন্দ, পরম্পরা। আমাদের জীবনে এ যেন এক পূর্ণতার অনুসন্ধান।
17th  March, 2019
রাজনীতির ভাগ্যপরীক্ষা
আকাশদীপ কর্মকার

 এই মুহূর্তে দেশের রাজনীতিতে মুখ্য আলোচিত বিষয় লোকসভা নির্বাচন। রাজনীতিকদের ভাগ্যপরীক্ষা। এই নির্বাচনে দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের শক্তি পরীক্ষার পাশাপাশি ভাগ্য পরীক্ষা দেশের হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদেরও।
বিশদ

21st  April, 2019
প্রতীক বদলে ডিজিটাল ছোঁয়া
দেবজ্যোতি রায়

সাহিত্য বা লেখালিখিতে সর্বদা সময়ের দাবিই উঠে আসে। প্রতিফলিত হয় তৎকালীন সময়ের পটভূমি, চরিত্র, চিত্রায়ন। অতীতেও হয়েছে, আধুনিক বা নব্য আধুনিক যুগও তার ব্যতিক্রম নয়। বর্তমানে আধুনিক সাহিত্য বা পটভূমির একটা বড় অংশ দখল করে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক মাধ্যম।
বিশদ

21st  April, 2019
শতবর্ষে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড

১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগে একটি প্রতিবাদ সভায় জেনারেল ডায়ার বিনা প্ররোচনায় নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিলেন। এ বছর ওই হত্যাকাণ্ডের ১০০ বছর। সেদিনের ঘটনা স্মরণ করলেন সমৃদ্ধ দত্ত।
বিশদ

14th  April, 2019
প্রথম ভোট
সমৃদ্ধ দত্ত

সকলেই চাইছে লাঙল। ১৯৫১ সালের ১ জুলাই। রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে দেশের প্রথম নির্বাচন কমিশনার সুকুমার সেন মিটিং ডেকেছেন। নির্বাচনী প্রতীক বন্টন করা হবে। প্রতিটি দলকে বলা হয়েছিল আপনারা নিজেদের পছন্দমতো প্রতীক নিয়ে আসবেন সঙ্গে করে। সেটা প্রথমে জমা নেওয়া হবে। তারপর স্থির করা হবে কাকে কোন প্রতীক দেওয়া যায়। কিন্তু, মিটিং শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবল ঝগড়া শুরু হয়ে গেল। কারণ প্রায় সিংহভাগ দলেরই পছন্দ লাঙল। কেন?
বিশদ

07th  April, 2019
সিনেমার রাজনীতি
শাম্ব মণ্ডল

সেদিন পোডিয়ামে উঠেই শ্রোতাদের চমকে দিয়ে একটা ডায়লগ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তিনি: ‘হাও ইজ দ্য জোশ?’ এক মুহূর্ত দেরি না করে শ্রোতাদের মধ্যে থেকে সমস্বরে উত্তর এসেছিল ‘হাই স্যর!’ যিনি ডায়লগটা শ্রোতাদের উদ্দেশে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তিনি আর কেউ নন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ২০ জানুয়ারি মুম্বইয়ে ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ইন্ডিয়ান সিনেমা-র উদ্বোধনে দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখেও তখন ‘উরি’র ক্রেজ।
বিশদ

31st  March, 2019
ভোট মানেই তো
স্লোগানের ছড়াছড়ি
কল্যাণ বসু

ভোটের মাঠে হরেক রকমের সুর। স্লোগানে মেলে ছড়ার ছন্দ। গ্রাম-শহরের অলি-গলি ছাপিয়ে রাজপথে মাইকে ভাসে সেই ছন্দময় স্লোগান। চলে স্লোগান নিয়ে শাসক-বিরোধীর আকচা-আকচিও। বহু স্লোগান দাগ কেটে যায় দেশের মাটিতে। বহুকাল টিকে থাকে তার স্মৃতিও। দেশের সৈনিক ও কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য ১৯৬৫ সালে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর স্লোগান ‘জয় জওয়ান, জয় কিষান’ আজও তো কত ইতিহাসের সাক্ষী। 
বিশদ

31st  March, 2019
স্বাধীন গণতান্ত্রিক ভারতের ভোট
ব্যবস্থার রূপকার সুকুমার সেন
অভিজিৎ দাস

রাস্তাঘাটের দুর্বিষহ দশা। কোথাও আবার রাস্তাই নেই। বিস্তর ঝক্কি পেরিয়ে প্রত্যন্ত গাঁ-গঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছনো। দেশের সিংহভাগ জায়গা টেলি যোগাযোগের বাইরে। এখনও বাকি পড়ে রয়েছে বহু কাজ। তার মধ্যেই বহু কাঠ-খড় পুড়িয়ে খসড়া ভোটার তালিকা তৈরি হল। তাতে চোখ বুলিয়ে আঁতকে উঠলেন এক বঙ্গসন্তান।
বিশদ

24th  March, 2019
বদলে যাওয়া
ভোট
রজত চক্রবর্তী

 নির্বাচন গ্রামে-গঞ্জে-মফঃস্বলে আগে উৎসবই ছিল। তোরঙ্গ থেকে পাট ভাঙা শাড়ি পরতেন মা-মাসিরা। সেখান থেকে প্রচারে চলে এল ক্যাপশান, ‘গণতন্ত্রের মহান উৎসব নির্বাচন’। এই প্রচারের উল্টোপিঠে ছিল আরও একটি প্রচার। ‘নির্বাচন কোনও উৎসব নয়, আপনার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানাবার পদ্ধতি’।
বিশদ

24th  March, 2019
পুরাণে ও ইতিহাসে হোলি

আমরা বলি দোল। উত্তর ভারতের লোকেরা বলেন হোলি। এই হোলি শব্দটি এসেছে হোলিকা থেকেই। হোলিকা হল পুরাণের এক চরিত্র। সে ছিল দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপুর বোন। স্বভাবে সে ছিল অত্যন্ত দুষ্টু প্রকৃতির। হিরণ্যকশিপু ছিলেন বিষ্ণুর বিরোধী। তাঁর ছেলে প্রহ্লাদ ছিলেন বিষ্ণুর পরম ভক্ত।  বিশদ

17th  March, 2019
বেলুড় মঠে দোল

ফাগুন সেজে ওঠে পলাশের রংয়ে। শীতের শুষ্কতা এবং গ্রীষ্মের রুক্ষতার মাঝে এ এক নির্মল প্রাকৃতিক আনন্দের সময়কাল। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হয় রং খেলা। অন্যান্য জায়গার মতো বেলুড় মঠেও দোল খেলা হয়। সকলে ফাগের আনন্দে মেতে ওঠেন। কিন্তু সেই মেতে ওঠাটার ভিতরে মিশে থাকে অন্য এক তাৎপর্য।
বিশদ

17th  March, 2019
 ওয়ার রুম

গোটা ভারত উত্তাল। পাকিস্তানকে জবাব দিতে হবে। মুখের মতো। সাউথ ব্লক। ভারত তথা দিল্লির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিং। এটাই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্স চিফদের অফিস, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসর অজিত দোভালের দপ্তর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের চেম্বার। সেকেন্ড ফ্লোর।
বিশদ

10th  March, 2019
অপারেশন বালাকোট
সমৃদ্ধ দত্ত

ডাল লেকের উল্টোদিকের হোটেলের পাশেই সরু রাস্তাটা একটু উপরের দিকে চলে যাচ্ছে। ওটা দিয়ে উঠে দেখা যাবে একজন হাকিমের চেম্বার। সেটারই পিছনে ঘর। কাঠের। মকসুদ যাবে চা আনতে। ছেলেটা অনন্তনাগের। খুবই ভালো। কাশ্মীরিয়াতের আদর্শ একেবারে মনের মধ্যে শিকড়ের মতো প্রোথিত। বিশদ

10th  March, 2019
এবার টার্গেট
মাসুদ আজহার
মৃন্ময় চন্দ

 পড়াশোনার ব্যাপ্তি ক্লাস এইট, লিখে ফেলেছে আটটি বই। সম্পাদনা করে বহুল প্রচারিত একটি ধর্মীয় পত্রিকা। বরাবরই লাদেনের স্নেহ ও আস্থাভাজন। যুদ্ধ করতে গিয়েছে সোমালিয়ায়। মেদবহুল শরীর। গানের গলা ভারী মিষ্টি। সাপের মতই কুটিল-হিংস্র সে। দীর্ঘদিনের সহচরকে হিলহিলে জিঘাংসায় খুন করতে দুবার ভাবে না। ঠিকা নিয়েছে সে, এই বিশ্বকে তারই মত মৌলবাদী মুসলিমের পেলব সুশীতল বাসভূমি করে তুলবে। বিধর্মী কাফের সাফ করে। রেহাই পাবে না এমনকী মুক্তমনা মুসলিমরাও।
বিশদ

03rd  March, 2019
বদলা চাই
প্রীতম দাশগুপ্ত

 জানুয়ারির এক গভীর রাত। নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবে শ করল জনা দশেক জঙ্গি। নেতৃত্বে মহম্মদ উমের। সম্পর্কে জয়েশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাইপো। প্রত্যেক জঙ্গির হাতেই অত্যাধুনিক অস্ত্র। বিস্ফোরক। এই দলের সঙ্গে যোগ দেয় আব্দুল রশিদ গাজি ওরফে কামরান।
বিশদ

24th  February, 2019
একনজরে
 আমেথি, ২২ এপ্রিল (পিটিআই): কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর মনোনয়নকে সোমবার বৈধ বলে ঘোষণা করলেন আমেথির রিটার্নিং অফিসার রামমনোহর মিশ্র। আমেথি কেন্দ্রে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ...

 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চলতি লোকসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রিগিং করতে পারছেন না। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ও সুদৃঢ পদক্ষেপ দিদির রিগিং প্রক্রিয়ায় বড়সড় আঘাত হেনেছে। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে মারপিট চলার সময় ভাইয়ের ধাক্কায় রাস্তায় পড়ে যান দাদা। যোধপুর পার্কের তালতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বই দিবস
১৬১৬ -ইংরেজী সাহিত্য তথা বিশ্বসাহিত্যের প্রথম সারির নাট্যকার ও সাহিত্যিক উইলিয়াম শেক্সপীয়রের জন্ম
১৯৪১ - বিশ্বের প্রথম ই-মেইল প্রবর্তনকারী রে টমলিনসনের জন্ম
১৯৬৯: অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ির জন্ম
১৯৯২: সত্যজিৎ রায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৯৫ টাকা ৭০.৬৪ টাকা
পাউন্ড ৮৯.০৮ টাকা ৯২.৩৬ টাকা
ইউরো ৭৬.৯৮ টাকা ৭৯.৯৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩১, ৯৯৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০, ৩৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০, ৮১০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭, ৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭, ৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
21st  April, 2019

দিন পঞ্জিকা

৯ বৈশাখ ১৪২৬, ২৩ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, চতুর্থী ১৪/৩৫ দিবা ১১/৪। জ্যেষ্ঠা ৩০/৫ অপঃ ৫/১৬। সূ উ ৫/১৪/২০, অ ৫/৫৫/৫৪, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৫ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে ২/৭ মধ্যে, বারবেলা ৬/৪৯ গতে ৮/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৫ মধ্যে।
৯ বৈশাখ ১৪২৬, ২৩ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার, চতুর্থী ২০/১৭/২৩ দিবা ১/২১/৪৫। জ্যেষ্ঠানক্ষত্র ৩৫/৫৫/৫৪ রাত্রি ৭/৩৭/১০, সূ উ ৫/১৪/৪৮, অ ৫/৫৭/১২, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে, বারবেলা ৬/৫০/৬ গতে ৮/২৫/২৪ মধ্যে, কালবেলা ১/১১/১৮ গতে ২/৪৬/৩৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/২১/৫৪ গতে ৮/৪৬/৩৬ মধ্যে।
১৭ শাবান
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: শত্রু বশ মানতে বাধ্য হবে। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃতি লাভ। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

বিশ্ব বই দিবস১৬১৬ -ইংরেজী সাহিত্য তথা বিশ্বসাহিত্যের প্রথম সারির নাট্যকার ...বিশদ

07:03:20 PM

আইপিএল: সিএসকের সামনে ১৭৬ রানের টার্গেট খাড়া করল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ  

09:37:59 PM

 আইপিএল: হায়দরাবাদ ৯১/১ (১০ ওভার)

08:50:51 PM

গুরদাসপুরে সানি দেওলকে প্রার্থী করল বিজেপি 

08:08:03 PM

টসে জিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে পাঠাল সিএসকে 

07:36:29 PM