বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর বহরমপুর শহরে অনুমতি নিয়ে ৪৭টি পুজো হয়েছিল। অনুমতি ছাড়া আরও বেশ কিছু পুজো হয়। একইভাবে লালবাগ, কান্দি, লালগোলাও পুজোর সময় জমজমাট ছিল। লালবাগের বেশ কিছু পুজো কমিটি শোভাযাত্রা করে প্রতিমা নদীর ঘাটে নিয়ে যায়। তার আগে চলে সিঁদুর খেলা। তবে অন্যান্য বারের মতো এবারও শহরের বেশ কিছু জায়গায় শব্দ দানবের তাণ্ডব চলে। নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানো হয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, আগে আরও বেশি নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানো হতো। এবার সেই তুলনায় অনেক কম শব্দবাজি ফাটানো হয়েছে। বহরমপুরের বাসিন্দা অর্ঘ দাস বলেন, গঙ্গার ঘাটে দেবী বিসর্জন পর্ব দেখতে বহু লোক ভিড় করেছিলেন। ঘাটগুলি সাজানো হয়েছিল। ভিড়ের সুযোগে অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে পুলিসের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। অন্যদিকে দূষণ রুখতে পুরসভার পক্ষ থেকেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। বিসর্জন পর্ব শেষ হওয়ার পরেই কাঠামো তুলে আনা হয়। শহরের আরেক বাসিন্দা সোমনাথ মণ্ডল বলেন, দশমীর বিকেল থেকে প্রতিমা বের করে আনা হয়। অনেক কমিটিই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিল। তবে বৃষ্টির জন্য কোথাও কোথাও বিসর্জন পর্বে বিঘ্ন হয়। বৃষ্টির মাঝেই প্রতিমা ঘাটে আনা হয়।
তবে এবার পুজোর আনন্দ থেকে ব্রাত্য ছিল ফরাক্কার হোসেনপুরসহ বেশ কিছু গ্রাম। বন্যার জন্য এই ব্লকের তিন চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। এখনও সেখানে ভাঙন চলছিল। এবার পুজোর দিনগুলিও আর দশটা দিনের মতোই এখানকার বাসিন্দাদের কেটে গিয়েছিল। জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডল বলেন, ডোমকল, জঙ্গিপুর, কান্দিসহ জেলার সর্বত্রই উৎসবের আমেজ ছিল। পুজোর দিনগুলিতে জেলাজুড়ে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বিসর্জন পর্ব শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। সব পুজো কমিটি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। পুলিসের দাবি, এবার পুজোর দিনগুলিও জেলার সর্বত্রই শান্তিপূর্ণভাবে কেটেছে। পুলিস বিশেষ অভিযান করায় এবার বাইক দুর্ঘটনা কম হয়েছে। এছাড়া ইভটিজিং রুখতে সাদা পোশাকেও পুলিস বিভিন্ন মণ্ডপে পাহারা দিয়েছিল। বিসর্জনের সময়ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করা হয়েছিল। পুলিস সুপার বলেন, কোন পুজো কমিটি কোন রুটে মূর্তি নিয়ে যাবে তা আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। গঙ্গার প্রতিটি ঘাটেই যথেষ্ট সংখ্যক পুলিস ছিল। কোথাও কেউ গণ্ডগোল করেনি। দশমী ও একাদশীতে অধিকাংশ প্রতিমা বিসর্জন হয়ে গিয়েছে। বাকি থাকা প্রতিমা শুক্রবার বিসর্জন হয়ে যাবে। তবে দুর্গাপুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই ফের লক্ষ্মীপুজো ঘিরে উৎসবের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। অনেক দুর্গাপুজোর মণ্ডপেও লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করা হচ্ছে।