বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলায় বিভিন্ন শিল্প সংস্থার নির্দিষ্ট স্টল থাকবে। সেখানে সংস্থার কর্মকর্তারা হাজির থাকবেন। আবেদনের প্রমাণ দেখানোর পর আবেদনকারীদের মেলায় ঢোকার অনুমতি মিলবে। মোট কতগুলি সংস্থা ইন্টারভিউ নিতে আসবে তা এখনও ঠিক হয়নি। প্রাথমিকভাবে একদিন ইন্টারভিউ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে প্রয়োজনে দু’দিন ধরে ইন্টারভিউ নেওয়া হতে পারে। সেলসম্যান থেকে মার্কেটিং এগজিকিউটিভ, নার্সিং স্টাফ, হাউস কিপিং, ম্যানেজার সহ একাধিক পদ থাকবে। বেশ কয়েকটি পদে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তারা ইন্টারভিউয়ে আবেদনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে বেতন ঠিক করবেন।
প্রশাসনিক ভবনে হোর্ডিং দিয়ে কী কী পদে কর্মী নেওয়া হচ্ছে, কোন সংস্থা নিচ্ছে, বেতন কত, কত বছরের অভিজ্ঞতা, কী ধরনের ডিগ্রি প্রয়োজন, সবই উল্লেখ করে দেওয়া হবে। যেমন ধরা যাক, কৃষ্ণনগর শহরের একটি নার্সিংহোমে একজন ডেটা অপারেটর নেওয়া হবে। একটি মাত্র পোস্ট রয়েছে। যোগ্যতা দরকার এমসিএ। বেতন দেওয়া হবে মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। ওই নার্সিংহোমে এইচআর ম্যানেজার পদের জন্য এমবিএ ডিগ্রি দরকার। সঙ্গে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বেতন মাসে ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এরকমভাবেই সব কিছু ডিসপ্লে হবে। তাতে আবেদনকারীরা সবকিছুর সুবিধা পাবে।
উৎকর্ষ বাংলার নোডাল অফিসার নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, খুব তাড়াতাড়ি জব ফেয়ার করার ব্যাপারে আমাদের ইচ্ছা রয়েছে। মূলত উৎকর্ষ বাংলায় আমরা যাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি, তাঁদের চাকরি সংস্থান যাতে হয়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। তাছাড়া, আর কারা, কোন যোগ্যতায় এখানে আসতে পারবেন সেটাও আমরা দেখছি। ফ্লিপকার্ট-অ্যামাজনের মতো সংস্থার সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তবে করিমপুরে ভোট ঘোষণা হলে এই জব ফেয়ার করতে দেরি হতে পারে। নির্বাচনের জন্য প্রক্রিয়া পিছিয়ে যেতে পারে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, দু’দিন পরে হলেও জব ফেয়ার হবে। কারও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এলাকায় যুবক-যুবতীদের সামনে বড় সুযোগ আসছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্য করিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দপ্তর ২০১৬ সাল থেকে ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পটি চালু করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বেসরকারি সংস্থা রাজ্য সরকারের অনুমতি নিয়ে বেকার যুবক-যুবতীদের বিভিন্ন কোর্সের প্রশিক্ষণ দেয়। ওই কোর্সগুলির মধ্যে ইলেক্ট্রিশিয়ান, ফিটার, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট, ফ্রন্ট অফিস ম্যানেজমেন্ট, অটো মোবাইল, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, মোবাইল রিপেয়ারিং, টেলারিং, বিউটিশিয়ান প্রভৃতি। সরকারি আইটিআই কলেজগুলিতে যে ধরনের কোর্স পড়ানো হয়, তার সমতুল্য কোর্স নিখরচায় করতে পারছেন বেকার যুবক-যুবতীরা। কোর্স শেষে সার্টিফিকেট পাচ্ছেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া যায়, সেজন্য স্থানীয় ব্লক ও মহকুমা প্রশাসন এলাকার উদ্যোগপতি, কারখানার মালিক এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকও করে। এলাকায় কতজন প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তার সংখ্যা প্রশাসন তাঁদের জানিয়ে দেয়। দরকার মতো কারখানার মালিক, উদ্যোগপতি বা ব্যবসায়ীরা ওই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দেন। আবার টেলারিং, অটোমোবাইল বা বিউটিশিয়ান কোর্স নিয়ে যাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা স্বনির্ভর হতে পারেন, তারজন্য ঋণের ব্যবস্থাও করে দেয় প্রশাসন। এলাকার যুবতীরা সেলাই মেশিন কিনে বিভিন্ন ধরনের জামাকাপড় তৈরি করেন। অনেকে আবার বিউটি পার্লারও খোলেন। জব ফেয়ারের মাধ্যমে একসঙ্গে অনেকে বিভিন্ন পদে চাকরি পাবেন। এলাকার কর্মসংস্থানের সুযোগ ঘটবে।
সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও জব ফেয়ার হয়েছে। শূন্যপদ ছিল ৪৩৯। আবেদন এসেছিল ৬,২০৪। কিন্তু নিয়োগপত্র পেয়েছেন ১১৯ জন। যোগ্য প্রার্থীর অভাবেই সেখানে বেশ কিছু শূন্যপদ ফাঁকা পড়েছিল বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। এবার নদীয়াতেও যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যাবে কি না তা নিয়েও চিন্তিত কর্তারা।