বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইদিন সকাল ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে খুন করা হয়েছে। বিউটিদেবীর মৃতদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় একটি ঘরে খাটের উপর পড়েছিল। প্রকাশবাবুর রক্তাক্ত মৃতদেহ অন্য একটি রুমের বিছানায় পড়েছিল। নীচে মুখে গামছা জড়ানো অবস্থায় পড়েছিল তাঁর ছেলের নিথর দেহ। রুমের বিভিন্ন জায়গায় চাপচাপ রক্তের দাগ দেখা যায়। পুলিসের অনুমান, প্রকাশবাবু দুষ্কৃতীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সেসময় ধস্তাধস্তি হয়। ঘটনার পর পুলিস বাড়িতে গিয়ে দেখে গ্যাসে রান্না হচ্ছিল। প্রকাশবাবুই রান্না করছিলেন বলে তদন্তকারীদের অনুমান।
মৃত শিক্ষকের আদি বাড়ি সাগরদিঘির ঘোষপাড়া বা বারালায়। একবছর আগে ছেলের পড়াশোনার জন্য তিনি জিয়াগঞ্জে বাড়ি তৈরি করেন। সেখানেই স্ত্রী এবং ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। পুলিস জানতে পেরেছে, ওই পরিবারের লোকজন সবসময় দরজা, জানালা বন্ধ রাখতেন। সেকারণে ঘটনার সময় পাশের কেউ আওয়াজ শুনতে পাননি। অনুমান, কোনও পেশাদার খুনি কোপ মারলেও ঘটনার সময় মৃতের পরিবারের ঘনিষ্ঠ কেউ উপস্থিত থাকতে পারে। ঘটনার পর ওই এলাকা থেকে ২৪-২৫ বছরের এক যুবককে পালিয়ে যেতে দেখেন বিব্রত সরকার নামে এক ব্যক্তি। বলেন, ওই যুবক আমাকে ধাক্কা দিয়ে পালায়। তখনও বুঝিনি এত বড় ঘটনা হয়ে গিয়েছে।
সম্পত্তি নিয়ে প্রকাশবাবুদের সঙ্গে কারও বিবাদ ছিল কি না তা নিয়ে পুলিস খোঁজ নিচ্ছে। এদিন জিয়াগঞ্জ থানার পুলিস মৃতের দিদি বন্ধুপ্রিয়া সরকার, বোন বন্ধুপ্রীতি এবং আরেক আত্মীয়কে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাঁর দিদি বলেন, ভাইয়ের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ছিল না। আমরা ছোট থেকে মামার বাড়ি সাগরদিঘির বারালায় বড় হয়েছি। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বীরভূমের নাইসোর গ্রামে বাবার নামে অনেক সম্পত্তি আছে। তবে তিনিও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন না।
প্রকাশবাবুর মা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। তাঁর নামেও বেশ কিছু সম্পত্তি রয়েছে। মা সাগরদিঘিতে আলাদা থাকতেন। সম্পর্কের টানাপোড়েনের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে ধারালো অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের ফোনের কললিস্ট খতিয়ে দেখছে পুলিস।