বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
নবমীতে পুজোর উদ্বোধন এসে রাজ্যপাল বলেন, আমি কখনও সীমা লঙ্ঘন করি না। প্রত্যেকের নিজস্ব সীমা আছে, সেই সীমার মধ্যে থেকে কাজ করা উচিত। একদিন পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে শিখরে ছিল। প্রত্যেকে নিজের ধর্ম অর্থাৎ সীমার মধ্যে থাকার, কাজ করার ধর্ম পালন করলে আবার সেই জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হবে।
প্রত্যাশিতভাবেই রাজ্যপালের এই বক্তব্যকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে কটাক্ষ করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যপাল খুবই ভাল মন্তব্য করেছেন। তবে এই শিক্ষাটা উনি যদি তাঁর প্রাক্তন দল বিজেপির নেতা-নেত্রীদের শেখান তাহলে খুব ভালো হয়। আসলে উনি পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে এখনও বিশেষ কিছু জানেন না। সে কারণে এ ধরনের মন্তব্য করছেন।
রাজনৈতিক মহল বলছে, সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক বিষয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয় পদক্ষেপের অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব তুলেছিল। পুজোর সময় এসে কার্যত ঘুরিয়ে তারই জবাব দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্য সরকার এবং তৃণমূলকেও রাজ্যপাল বার্তা দিলেন বলেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।
এদিকে পুজোর উদ্বোধনে আসতে না পারলেও নবমীতে ডানকুনির একাধিক মণ্ডপে এসে অস্ত্র পুজো করলেন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। ডানকুনির তিনটি পুজোর উদ্বোধনকে ঘিরে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দেবশ্রীদেবী যেমন আসতে পারেননি তেমনি তৃণমূল তিনটি পুজোরই উদ্বোধন করে দেয়। কিন্তু নবমীতে দেবশ্রীদেবী উপস্থিত হয়ে একদিকে যেমন দলীয় কর্মীদের আশ্বস্ত করলেন, তেমনি তৃণমূলের জন্য সংঘাতের বার্তা জারি রাখলেন বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।