বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
বুধবার বিকেলে বাবুঘাটের কাছে বাজেকদমতলা ঘাটে গিয়ে দেখা গেল, বিগত বছরগুলির মতোই সুব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিমা জলে পড়া মাত্র বজরার উপরে রাখা ক্রেন দিয়ে তা শূন্যে তুলে এনে পাড়ে বা লরির উপর তোলা হচ্ছে। প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহৃত রঙের কারণে গঙ্গার জলে যাতে দূষণ না ছড়ায়, তার জন্য এমন ব্যবস্থা চালু হয়েছে বেশ কয়েকবছর ধরে। মাটির মূর্তির গা থেকে যে মাটি খসে পড়ছে, তাও ধুয়ে পরিষ্কার করে দেওয়া হচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে। ফুল, বেলপাতা ও পুজোর অন্যান্য উপকরণ ফেলার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা করা হয়েছে। প্রায় একইরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে নিমতলা ঘাটেও। বাজেকদমতলা এবং নিমতলা— এই দু’টি ঘাটেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। তবে সবক’টি ঘাটেই এমন সুব্যবস্থা নজরে পড়েনি। যেমন বাগবাজার ঘাটে গিয়ে দেখা গেল, সেখানটা যথেষ্ট নোংরা হয়ে রয়েছে। জলে ভাসছে কাঠামো। ফুল-বেলপাতাও সরাসরি জলে ভাসিয়ে দিচ্ছেন কেউ কেউ। এখানে পুলিস, পুরসভার তৎপরতাও সেভাবে চোখে পড়েনি। বাজেকদমতলা থেকে কিছুটা দক্ষিণে জাজেস ঘাটেও অনেক প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। সেখানে বজরার উপর ক্রেনের ব্যবস্থা না থাকলেও প্রতিমা জলে পড়া মাত্র পুরসভার অ্যাপ্রন পরা কিছু কর্মী তা টেনে পাড়ে এনে তুলছেন। প্রতিমা নিরঞ্জনের দায়িত্বে থাকা এক পুর-আধিকারিক জানান, এদিন সন্ধ্যে পর্যন্ত প্রায় ২০০ প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে বিভিন্ন ঘাটে। তবে রাতে এই সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সব ঘাটেই নজরদারি কড়া করে জলের দূষণ ঠেকাতে পুরসভা বদ্ধপরিকর বলে দাবি করেন তিনি।