বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
হাওড়ার অতিরিক্ত কৃষি অধিকর্তা অনির্বাণ প্রধান বলেন, উদয়নারায়ণপুর ও আমতা ব্লকে ধানের ক্ষতির পাশাপাশি যাঁরা কিছুটা আগে শীতকালীন সব্জি চাষ করেছেন, তাঁদের ক্ষতি হয়েছে। উদয়নারায়ণপুর, আমতা, শ্যামপুর ও বাগনান ব্লকে যেমন ধান চাষ বেশি হয়, তেমনই হাওড়া সদর মহকুমায় বেশি পরিমাণে সবজি চাষ হয়। তবে সব্জি চাষের ক্ষতি এখনও পুষিয়ে নেওয়ার সময় আছে। কিন্তু, যাঁরা এখন চাষ করেছেন, তাঁদের প্রথম ধাপে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্যার কারণে উদয়নারায়ণপুর ব্লকের ২৩০০ হেক্টর ও আমতা ব্লকে ১১০০ হেক্টর জমি জলের তলায় আছে। তার মধ্যে উদয়নারায়ণপুর ব্লকের ৬০০ হেক্টর জমির জল নেমে যাওয়ার কথা। কিন্তু, বাকি জমির পাকা ধান জলের তলায় থাকায় তা নষ্ট হয়ে যাবে বলেই কৃষি দপ্তরের কর্তারা মনে করছেন। কৃষি দপ্তরের অফিসাররা বলেছেন, যাঁরা সমবায় থেকে ঋণ নিয়ে ধান চাষ করেছেন, তাঁদের শস্য বিমা হয়েই যায়। কিন্তু, যাঁরা সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেননি, তাঁদের আলাদা করে বিমা করতে হয়। এখনও পর্যন্ত হাওড়া জেলায় এই রকম প্রায় ৬০ হাজার চাষি বিমার জন্য আবেদন করেছেন। তাঁদের বিমা হয়ে যাবে। কিন্তু, তার বাইরেও কিছু চাষি থাকে। রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় অবশ্য বলেছেন, সমবায় সমিতি বা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে যাঁরা চাষ করেছেন, তাঁদের বিমা হয়ে গিয়েছে। ফলে তাঁরা বিমার টাকা পাবেন। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের বিমার টাকা দ্রুত পৌঁছে দেওয়া আমাদের অগ্রাধিকার।
কিন্তু, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাঁধাকপি, ফুলকপি, বেগুন, পালং শাকের মতো শীতকালীন সব্জির চাষ শুরু হয়ে যায়। অক্টোবরের শেষ থেকে স্থানীয় ওই ফসল বাজারে আসতে শুরু করে। কিন্তু, অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই বৃষ্টির কারণে ওই চারা গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। পুজোর কারণে অফিস ছুটি ছিল। তা সত্ত্বেও সব্জি চাষ নিয়ে প্রতিটি ব্লককে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বুধবারই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলায় প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে সব্জি চাষ হয়। ফলে ওই সবজি চাষে ক্ষতির আশঙ্কা আছে। হাওড়ায় সাঁকরাইল, পাঁচলা, ডোমজুড়, জগৎবল্লভপুর, বালি-জগাছা ব্লকে সবজি চাষ হয়। তবে এখন কিছু চাষি পলিথিনের শেড করে চারা গাছ রাখেন। ওই গাছ একটু বড় হলে ওই পলিথিনের শেড সরিয়ে নেওয়া হয়। তাঁরা ক্ষতির হাত থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাবেন বলে কৃষি দপ্তরের অফিসাররা মনে করছেন।