বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
বুধবার বিসর্জনের দিন পুরাতন মালদহের শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র ডিজের শব্দে বাসিন্দাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে। বাসিন্দারা বলেন, পুলিস প্রশাসন ডিজে বক্সের ব্যবহার পুরোপুরিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরেও কাজ হয়নি। দেদার ডিজে বেজেছে। পুলিসের সামনে দিয়েই উচ্চস্বরে ডিজে বাজিয়ে একের পর এক শোভাযাত্রা এগিয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার এখানে সেভাবে প্রতিমা বিসর্জন হয়নি। বুধবার প্রায় সব ক্লাবই প্রতিমা নিরঞ্জনে বের হয়। সকাল থেকেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে শোভাযাত্রা। তা দেখতে রাস্তার দু’ধারে মানুষজন ভিড় করে। কিন্তু ডিজের উৎপাত তাদের অস্বস্তি ধরিয়ে দেয়। অনেকে আবার বড় বক্সে মাত্রাছাড়া শব্দে গান বাজিয়ে শোভাযাত্রা বের করে।
যদিও মালদহ থানার পুলিস জানিয়েছে, আগে থেকেই ডিজে বক্সের ব্যবহার বারণ করা হয়েছে। কোথাও এই ডিজে বক্স বাজানো হয়নি। তা হলে আমরা বাজেয়াপ্ত করতাম। কোথাও উচস্বরে সাধারণ সাউন্ড বক্স বাজানো হতে পারে। উদ্যোক্তারাও ডিজে বাজানোর কথা স্বীকার করেননি। সাহাপুর যাদব সমিতির পুজো কমিটির সম্পাদক সুজিত ঘোষ বলেন, গ্রামবাসীর মনোরঞ্জনের জন্য আমাদের ক্লাবে বড় ডিজের অনুকরণে দুটি বক্স করা হয়েছিল। তবে দুটিতেই উচ্চ স্বরে গান বাজানো হয়নি। শব্দ নিয়ন্ত্রণ করেই সেগুলি বাজানো হয়েছে। পাশাপাশি চারটে ঢাক বাজানো হয়েছে। শোভাযাত্রায় প্রায় দু’হাজার মানুষ হয়েছিল। অনেক মহিলা ও শিশু এতে আনন্দ করেছে। বাচমারি তরুণ সংঘের পুজোর কমিটির সম্পাদক অসীম কুমার চৌধুরী বলেন, আমাদের কোনও ডিজে বক্স বাজেনি। সাধারণ বক্স নিয়েই প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রা হয়েছে। যদিও বাসিন্দারা জানান, দুপুর থেকেই একাধিক ক্লাবে পাড়ার মধ্যেই দীর্ঘক্ষণ ধরে উচ্চ স্বরে ডিজে বাজানো হয়েছে। এরপর তা ছোট গাড়ি করে বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরেছে। এতে অনেকের বুক ধড়ফড় শুরু হয়, শরীর কাঁপতে থাকে, মাথা ধরে যায়। একের আনন্দ অপরের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।