বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
লেকটাউন থানা এলাকার দেবীঘাটে ১০০-র বেশি প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। শুক্রবার রেড রোডের কার্নিভাল থেকে ফিরে এসে রাতে বিসর্জন হবে শ্রীভূমির প্রতিমার। দমদম পার্ক ভারতচক্র ক্লাবের পুজোর বিসর্জনও কার্নিভালের পরে হবে। দমদম পার্ক তরুণ সঙ্ঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটা পাথরের প্রতিমা। একে সংরক্ষণ করা হবে। তবে বৃহস্পতিবার এখানকার পুজোর ঘট বিসর্জন করা হবে। দমদম পার্ক যুবকবৃন্দ ক্লাবের পুজোর বিসর্জন হবে স্থানীয় পুকুরে। লেকটাউন প্রদীপ সঙ্ঘের পুজোর বিসর্জন বৃহস্পতিবার দেবীঘাটে হবে। এয়ারপোর্ট থানা এলাকার পুজোর বিসর্জন হয়েছে কৈখালি, সলুয়ার পুকুরে। এছাড়া নবদর্শঘাট, সাহারা খাল সহ বিভিন্ন জায়গায় বিসর্জন হয়েছে। এই এলাকার কয়েকটি প্রতিমার বিসর্জন হয়েছে দমদম ধোবিঘাটেও। নারায়ণপুর থানা এলাকায় ৩৫টি পুজোর বিসর্জন হয়েছে দশমীর দিনই। বাগুইআটি থানা এলাকার ৫০টি পুজোর বিসর্জন হয়েছে। বাকিগুলি হয়েছে একাদশীর দিন।
তবে দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকার দেবীঘাটে সেভাবে এখনও পরিষ্কারের কাজই শুরু হয়নি। এ বিষয়ে দক্ষিণ দমদম পুরসভার নিকাশি বিভাগের চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য আশ্বাস দেন, আমরা দশমী, একাদশী, দ্বাদশী এই তিন দিন বিসর্জনের পরই পরিষ্কারের কাজে হাত লাগাব। মাটিটা পুরো না গলে গেলে পরিষ্কার করা যায় না। আমাদের এখানে প্রায় ৪০০-র মতো প্রতিমা বিসর্জন হবে। এছাড়া প্রতিটা ওয়ার্ডের পুকুরে আলাদা বিসর্জন হয়। সেখানেও আমরা পরিষ্কার করব।
উত্তর দমদম পুরসভা এলাকায় সবচেয়ে বেশি বিসর্জন হয় বকুলতলা পুকুরে, মন্দিরপাড়া, নবননগর সাহার বাগানের পুকুরে। এ বিষয়ে এই পুরসভার সিআইসি (নিকাশি) দেবাশিস ঘোষ জানামন, এ বিষয়ে টিম করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটা জায়গায় রয়েছে ওই টিম। প্রতিমা নিরঞ্জনের সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো পাড়ে তুলে দেওয়া হচ্ছে। সল্টলেকের অনেক পুজোর বিসর্জন হয় বাবুঘাটে। নিউটাউন অ্যাকশন এরিয়া ১-এ উপাসনা স্থলে দশমীর দিনেই ১৮০টি প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। এনকেডিএ-র পক্ষ থেকে দেবাশিস সেন এদিন জানান, গতকাল রাত ১টা-দেড়টা পর্যন্ত প্রতিমা বিসর্জন হওয়ার পর তা ক্রেন দিয়ে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে বৃষ্টির জন্যে অনেক পুজো উদ্যোক্তা এদিন শেষ মুহূর্তে বিসর্জন বাতিল করেছেন। অনেকে দশমীতে বিসর্জন করে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। সল্টলেক বিজে ব্লক পুজো কমিটির পক্ষে উমাশঙ্কর ঘোষদস্তিদার জানিয়েছেন, দশমীর দিনই বিসর্জন করে বেঁচে গিয়েছি। যা মারাত্মক বৃষ্টি হয়েছে তাতে সব মাটি হয়ে যেত।