বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
রাজ্য সরকার পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন এক ধাক্কায় কিছুটা বাড়ালেও, তা মনঃপূত হয়নি অধিকাংশেরই। কারণ, মোটামুটি ১০ থেকে ১৩ হাজার টাকায় আজকের দিনে সংসার চালানো বেশ কঠিন। এই বেতনবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাঁচ বছর অন্তর যে তিন শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হত, তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। তা নিয়েও অসন্তোষ ছিল। এসএসসিতে সরাসরি ১০ শতাংশ সংরক্ষণও আইনি জটিলতায় ঝুলে রয়েছে। এখন পার্শ্বশিক্ষকরা দাবি করছেন, আর ঘুরপথে নয়, সরাসরি তাঁদের স্থায়ী করা হোক। পদোন্নতির প্রস্তাবও রেখেছেন তাঁরা। সেটা রাজ্য সরকার যাতে গুরুত্ব দিয়ে দেখে, তার জন্য চাপপ্রয়োগ করার কৌশলও নিচ্ছে পার্শ্বশিক্ষকদের একাংশ।
পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ বলেন, প্যাব-এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, আমাদের কথা আলাদা করে উল্লেখ করা নেই। এর অর্থ, রাজ্য সরকার আমাদের স্থায়ী শিক্ষক হিসেবেই কেন্দ্রকে দেখাচ্ছে। আমরা এটাও দেখতে পাচ্ছি, কেন্দ্রের ভাগের অর্থ আমাদের দেওয়া হচ্ছে। বেতনের রাজ্যের ভাগের অংশটি আমরা পাচ্ছি না। এটা নিয়েও আমরা পথে নামব। প্রসঙ্গত, পার্শ্বশিক্ষকরা সাধারণ শিক্ষকদের মতোই ক্লাস নেন। অন্যান্য যাবতীয় কাজই করেন। শিক্ষাগত যোগ্যতাও অনেকেরই গ্র্যাজুয়েট থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট। কিন্তু স্থায়ী শিক্ষক না হওয়ার কারণে তাঁদের অনেক লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। তার পাশাপাশি আর্থিক দিক থেকেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসার ফলে তাঁরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। যদিও, রাজ্য সরকারের সাম্প্রতিককালে যে আর্থিক দায়ভার বেড়েছে, তাতে এঁদের জন্য এখন কতটা ভালো কিছু করা যাবে, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। প্রাথমিক শিক্ষকদের ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর না দেওয়া নিয়ে একটা অসন্তোষ রয়েছে। বেশ কিছু সংগঠন পথে নামার ইঙ্গিত দিচ্ছে। তার মধ্যে ৪০-৫০ হাজার পার্শ্বশিক্ষক বিক্ষুব্ধ হয়ে পথে নামলে, পরিস্থিতি বেশ ঘোরালো হয়ে উঠতে পারে।