বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
তৃণমূল পরিচালিত জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়্যারম্যান মোহন বোস বলেন, এভাবে ফ্লেক্স টাঙানোয় আমি কোনও রাজনীতি খুঁজে পাইনি। দীর্ঘদিন ধরেই ওই পুজো কমিটির সঙ্গে জড়িত আমি। ওরা শুভেচ্ছাবার্তা চেয়েছিল, দিয়েছি। সবার শুভেচ্ছাবার্তা টাঙিয়েছিল ওরা। পুজো সবার জন্য। এনিয়ে রাজনীতি করা যায় না। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক বাপি গোস্বামী বলেন, পুজো মানে উৎসব, পুজো মানে আনন্দ। পুজোয় রাজনীতি হয় না। সবাই মিলে আনন্দ করেছি, এটাই আমাদের শিষ্টাচার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পান্ডাপাড়ার পুজোর উদ্যোক্তাদের অধিকাংশই বিজেপি ঘনিষ্ঠ। শহরের বিগ বাজেটের এই পুজোমণ্ডপটি যাতে বিজেপির দখলে না যায়, পুজোর আগে তা নিয়ে সচেষ্ট ছিল শাসক দলও। পুরভোটের মুখে পান্ডাপাড়ার পুজোকে ঘিরে যাতে বিজেপি মাইলেজ না পায়, সেজন্য তৃণমূলীও লড়াইয়ের ময়দানে চলে আসে। দুই পক্ষের শীর্ষ নেতাদেরই ফ্লেক্স লাগানো হয়। বিজেপি ঘনিষ্ঠদের দাবি, তাদের পুজোয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছাবার্তা সম্বলিত ফ্লেক্স লাগিয়ে সৌহার্দ্যের বার্তা দিয়েছেন তাঁরা। জলপাইগুড়ি শহরে তৃণমূল পরিচালিত একাধিক পুজো কমিটি আছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ছবি কিন্তু তারা কেউ লাগায়নি। পুজোর উদ্বোধন নিয়েও রাজনীতি হয়েছে। পান্ডাপাড়ার পুজোয় দুই দলের ফ্লেক্স লাগানোর মাধ্যমে সেই রাজনীতিতেই জল ঢেলে দিয়েছেন তাঁরা, দাবি ওই পুজোর উদ্যোক্তাদের।
এদিকে তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের কাছেও সম্মানীয় ঠিকই। কিন্তু এতদিন তো কখনও প্রধানমন্ত্রীর ফ্লেক্স লাগিয়ে পুজোয় শুভেচ্ছা জানানো হয়নি। পুরভোটের আগে পুজো নিয়েও রাজনীতি করার একটা প্রচেষ্টা চালিয়েছে বিজেপি।