বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
কোচবিহারে সপ্তমী ও অষ্টমীতে আবহাওয়া ছিল মনোরম। বৃষ্টিরও ভ্রূকুটি ছিল না। ফলে ওই দুই দিন কোচবিহার জেলা শহর ও ব্লক সদর শহরগুলির বিগ বাজেটের পুজো মণ্ডপগুলিতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গিয়েছিল। নবমীর বিকালে ও সন্ধ্যায় দর্শনার্থীরা প্রবল উৎসাহে প্রতিমা দেখার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সবই ঠিকঠাক এগোচ্ছিল। কিন্তু রাত আটটার পর আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় দর্শনার্থীদের নবমীর রাতের আনন্দে ব্যাঘাত ঘটে। কিন্তু উৎসবপিপাসু মানুষকে প্রতিমা দেখার আনন্দ উপভোগ করা থেকে আটকানো যায়নি। অনেকেই ছাতা মাথায় দিয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে প্রতিমা দেখেছেন।
দশমীতে কোচবিহারে বিসর্জনের দিন অবশ্য বৃষ্টি হয়নি। ফলে কোচবিহারে বিসর্জন নির্বিঘ্নেই হয়। তোর্সা নদীর আশ্রম ঘাটে ৪০, ঘুঘুমারী ঘাটে ৩০ ও বাবুরহাট ঘাটে ১৫টি প্রতিমার বিসর্জন হয়।
একইভাবে নবমীর রাত ছাড়া আলিপুরদুয়ারেও পুজোর বাকি তিন দিন বৃষ্টি হয়নি। আলিপুরদুয়ারে নবমীতে রাত ১০টার পর থেকেই বৃষ্টি শুরু হলে দর্শনার্থীদের প্রতিমা দেখার আনন্দে ব্যাঘাত ঘটে। সমস্যায় পড়েন পুজো উদ্যোক্তারাও। বৃষ্টির জেরে আলিপুরদুয়ারে দর্শনার্থীদের নবমীর রাতের প্রতিমা দেখার আনন্দ ম্লান হয়ে পড়ে। তবে বৃষ্টি না হওয়ায় সপ্তমী ও অষ্টমীর রাতে আলিপুরদুয়ারের প্রতিটি মণ্ডপে জনজোয়ার দেখা যায়।
বৃষ্টি না হওয়ায় দশমীতে আলিপুরদুয়ারে বিসর্জনের শোভাযাত্রা দেখতে শহরের লাইফ লাইন বক্সা ফিডার রোড কার্যত দর্শনার্থীদের দখলে চলে যায়। তবে মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারে অধিকাংশ বিগ বাজেটের পুজো কমিটির প্রতিমার ভাসান হয়নি।
বৃষ্টি না হওয়ায় জলপাইগুড়িতে অবশ্য পুজোর চার দিনই দর্শনার্থীরা চুটিয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে প্রতিমা দর্শন করেছেন। ফলে জলপাইগুড়িতে প্রতিটি মণ্ডপেই পুজোর ভিড় উপচে পড়েছে। পুজো উদ্যোক্তারাও জানিয়েছে, বৃষ্টি না হওয়ায় তাদের কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি। মঙ্গলবার শহরের ফুসফুস করলা নদীর বিভিন্ন ঘাটে বিসর্জন দেখতেও ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়।
শিলিগুড়িতে অবশ্য ষষ্ঠী থেকেই হানা দিয়েছে বৃষ্টি। পুজোর চারদিনই কখনও না কখনও বৃষ্টি হয়েছে শিলিগুড়িতে। কখনও রাতের দিকে, কখনও সকালে, আবার কখনও দুপুরে ঠাকুর দেখার আনন্দে মাঝেমধ্যেই বাদ সেধেছে বৃষ্টি। তবে সেসব উপেক্ষা করেই চলেছে ঠাকুর দেখা। বৃষ্টির সময়ে রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে গেলেও আবার বৃষ্টি থামতে না থামতেই ভিড় উপচে পড়েছে রাস্তায়।