বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
চাষিরা বলেন, এখানে যে পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদিত হয় তা দিয়ে সারাবছর স্থানীয় চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। তবে বহুমুখী হিমঘর থাকলে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যেত। বর্ষার সময়ে পেঁয়াজের দাম বাড়লে এখানকার উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারজাত করা গেলে সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যেই দাম থাকত। এনিয়ে আমরা বহুবার উদ্যানপালন দপ্তরকে জানিয়েছি। কিন্তু কাজ কিছু হয়নি। সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই বলে খেত থেকে পেঁয়াজ তোলার কিছু দিনের মধ্যেই তা বাজারজাত করতে হয়।
মাথাভাঙা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক গোপাল সাহা বলেন, আমরা বিহারের গোলাপবাগ থেকে পেঁয়াজ নিয়ে আসছি। কানপুর ও রাজস্থানে সম্প্রতি বন্যা পরিস্থিতির কারণে পেঁয়াজের দাম এতটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক দীপক সরকার বলেন, আমাদের জেলায় প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ সারা বছরে উৎপাদন হয়। সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকার কারণে চাষিরা খেত থেকে তুলেই বাজারজাত করেন। কিন্তু এই আনাজটি প্রতিদিনই কমবেশি সকলের দরকার হয়। এখন পেঁয়াজের দাম প্রায় তিনগুণ ছাড়িয়ে গিয়েছে। জেলার উৎপাদিত পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা গেলে এই সমস্যা কিছুটা হলেও সামলানো যেত। কোনও বেসরকারি সংস্থা এখানে বহুমুখী হিমঘর তৈরি করতে আগ্রহী হলে আমরা সবরকম সহায়তা করব।
উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় প্রায় ১২৫ হেক্টর জমিতে চাষিরা পেঁয়াজ চাষ করে থাকেন। এখানে বহুমুখী হিমঘর না থাকায় উৎপাদিত পেঁজায় সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না। তাই বর্ষায় পেঁয়াজের এই দাম বৃদ্ধির মরশুমে বাইরে থেকে আসা পেঁয়াজ চড়া দাম দিয়েই বাসিন্দাদের কিনতে হচ্ছে। সব্জি ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস খানেক আগে কানপুর ও রাজস্থানের পেঁয়াজ চাষ হয় এমন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এতে জমির পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। সেখানকার চাষিরা চালাঘর তৈরি করে বিশেষভাবে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করেন। বৃষ্টিতে ওসব ঘরে জল ঢুকে যাওয়ায় পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যার ফলে দাম এভাবে চড়ছে। মাস খানেক আগেও পেঁয়াজ ছিল কেজি প্রতি ২০ টাকার মধ্যে। এখন খোলা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকায় পৌঁছেছে।
জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী জেলায় প্রায় ১২৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করা হয়। গড়ে হেক্টর প্রতি জমিতে ৪০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়। সেদিক থেকে জেলায় প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়। বহুমুখী হিমঘর না থাকায় ওসব সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না।
কৃষকরা জেলায় বহুমুখী হিমঘর তৈরির দাবি অনেক দিন থেকেই করছেন। কারণ প্রতিবছরই বর্ষার সময়ে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পায়। অতি প্রয়োজনীয় এই আনাজটি সারা বছরই দরকার হয়। দাম বাড়ার কারণে কম পরিমাণে কিনে চাহিদা মেটাতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় এখানকার পেঁয়াজই মিলত যদি বহুমুখী হিমঘরে তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যেত।