বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
সপ্তমীর সকালে বৃষ্টি নামে। সকালে অঞ্জলি শেষ হতেই যখন নতুন জামাকাপড় পরে রাস্তায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে আমজনতা তখনই আকাশ কালো হয়ে আসে। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে। টানা দু’ঘণ্টা ধরে বৃষ্টি চলে। বহু রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যায়। ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে নাস্তানাবুদ হন বাসিন্দারা। আটকে পড়েন পুজো প্যান্ডেলে। পুরসভার ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন ক্ষুব্ধ নাগরিকরা।
পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে নিজের পারিবারিক কর্মসূচি ফেলে পুরসভায় ছুটে যান ইংলিশবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার। প্রায় বিকাল পর্যন্ত নিজের চেম্বারের বসেই জল সরানোর জন্য একের পর এক নির্দেশ জারি করতে থাকেন তিনি। দুলালবাবু বলেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জল সরাতে সরকারি ও বেসরকারি অফিস থেকে ১৪টি পাম্প ভাড়া করতে হয়েছিল। পুরসভার চেয়ারম্যান নীহার ঘোষ গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব এসে পড়ে ভাইস চেয়ারম্যানের কাঁধে। তবে শেষ পর্যন্ত বিকালের পর থেকে জল নামতে শুরু করায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন পুরসভা কর্তৃপক্ষ থেকে পুজো উদ্যোক্তা, আমজনতা সকলেই। রাস্তায় নামে মানুষের ঢল।
অষ্টমীর দিন রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পুজো ছিল জেলার প্রধান আকর্ষণ। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় জনস্রোতের ঢল নামে সেখানে। সকালে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার আগে রামকৃষ্ণ মিশনে দুর্গা প্রণাম সেরে নেন বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। একের পর এক আসতে থাকেন কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মৌসম নুর, বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার প্রমুখ। সন্ধিপুজোর সময়ও ছিল মানুষের ভিড়। রাতে শহরের রাস্তা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।
নবমী ও বিজয়া দশমীতে শহরের প্রধান রাস্তাগুলিতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। দশমীর দিন কালীতলা ক্লাবের উদ্যাগে রাবণবধ দেখতে ডিএসএ ময়দানে ভিড় জমিয়ে ছিলেন আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা। সেখানে জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য, পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া হাজির ছিলেন। ছিলেন ডালুবাবুও। প্রায় ৫০ রকমের বাজি পোড়ানো হয় সেখানে।
দশমীর সকালে ঘট বিসর্জনের পরেই শুরু হয়ে যায় প্রতিমা নিরঞ্জন। বিভিন্ন পারিবারিক পুজোর প্রতিমা আগে নিরঞ্জন হয়েছে। রামকৃষ্ণ মিশন ঘাট ও সদর ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তা ছিল। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে মঙ্গলবার ৬০টি প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত ১৭টি প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে।