বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরা প্রত্যেকেই অন্তত ১০টি করে লক্ষ্মীপ্রতিমা তৈরি করেন। এখন গণেশ মূর্তি তৈরির চাপ বেশি থাকায় অনেকেই বিশ্বকর্মা বা লক্ষ্মীপ্রতিমা তৈরি কমিয়ে দিয়েছেন। তবুও সব স্টুডিওতেই ঠাঁই পায় লক্ষ্মী। বুধবার বৃষ্টিস্নাত দুপুরে কুমোরটুলিতে গিয়ে দেখা গেল, দুর্গাপুজোর আগের সেই ব্যস্ততা না থাকলেও কমবেশি তৎপরতা চলছে লক্ষ্মীপ্রতিমা নিয়ে। বেশিরভাগ লক্ষ্মীপ্রতিমাই মূলত বিক্রি হয় পুজোর দু’দিন আগে থেকে। তাই অনেকেই বেশ কিছু প্রতিমা তৈরি করে সাজিয়ে রেখেছেন। চলছে মাটির সরার উপর লক্ষ্মীর পট আঁকার কাজও। সাধারণত বাড়ির পুজো বলে বিশাল উচ্চতার হয় না এই প্রতিমা। এই মূর্তি ছোট থেকে মাঝারি সাইজেরই হয়। শিল্পী বিকাশ পাল বলেন, লক্ষ্মীঠাকুরের চাহিদা ভালোই থাকে। বহু বাড়িতে পুজো হয়। প্রতিমা ছাড়াও অনেকে পুজো করেন। তবে আমরা যে ক’টি প্রতিমা তৈরি করি, সবই বিক্রি হয়ে যায়। শিল্পী শিবাজি পাল বলেন, বৃষ্টি তো আমাদের ভুগিয়েই চলেছে। কিছু প্রতিমার কাজ শেষ করতে পেরেছি। কিন্তু যেগুলি সবে রং করেছি, সে তো শুকোচ্ছেই না। রং না শুকোলে চোখ আঁকার কাজ করা যাবে না। আবহাওয়ার উন্নতি না হলে আমাদের লোকসান হয়ে যাবে।
এর মধ্যেই দেখা গেল, প্রচুর কালীপ্রতিমা ইতিমধ্যেই স্টুডিওর ফাঁকা জায়গাগুলি দখল করেছে। সেগুলিতে মাটির কাজ শেষ। লক্ষ্মীপ্রতিমা চলে যাওয়ার পর হাতে মাত্র ১২-১৩ দিন থাকে। তার মধ্যেই কালীমূর্তির কাজ শেষ করার চাপ থাকে। এভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে কালীপ্রতিমার কাজও পিছিয়ে যাবে বলে দুশ্চিন্তায় শিল্পীরা। অনেক কারিগর ছুটিতে বাড়ি গিয়েছেন। শিল্পীরা নিজে বা দু’-একজন সহকারী নিয়ে আপাতত লক্ষ্মীপ্রতিমার কাজ সারছেন। কালীপুজোর আগে বেশিরভাগ কারিগর ফিরবেন বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা।