চোখের নিমেষে ফুরিয়ে গেল চারটি দিন। মর্তবাসীর মন খারাপ করে দিয়ে কৈলাসের উদ্দেশে রওনা গেলেন মা দুর্গা। কিন্তু, দুর্গোৎসবের আমেজ তো এখনও ভরপুর। ফেস্টিভ মুডে চেটেপুটে খাওয়া বাঙালির কি আর চার দিনে হয়! কী করা যায়! কালীপুজো আসতে এখনও বেশ দেরি।
কথায় বলে পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে। বর্তমান বলিউডি গানের দুনিয়ায় এই প্রবাদবাক্যই এখন যেন বেদবাক্য। ফের নতুন মোড়কে ফিরে আসছে বলি টাউনের আট বা নয়ের দশকের গান।
বলিউড মিউজিক আর আইটেম সং এখন অঙ্গাঙ্গি জড়িত। প্রায় প্রত্যেক ছবিতে আইটেম গান থাকাটা ইদানীং একটা ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। ‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’, ‘ফেভিকল সে’, ‘টিঙ্কু জিয়া’ পরপর সবকটা গানই হিট।
নিজেকে বলিউডের সব থেকে বড় ফ্যান মনে করেন? ছবির খুঁটিনাটি সব জানেন? তাহলে এই শো আপনার জন্য। টেলিভিশনের পর্দায় আসতে চলেছে ‘মুভি মস্তি উইথ মণীশ পল’। সৌজন্যে জিটিভি।
গথাম শহর জ্বলছে। দাঙ্গা লেগেছে শহর জুড়ে। দুর্ঘটনায় ক্ষত বিক্ষত পুলিস গাড়ির বনেটের উপর দাঁড়িয়ে আহত আর্থার ফ্লেক (মুখে জোকারের মেকআপ), দুলছে এক আশ্চর্য নাচের ভঙ্গিমায়। মুখের রক্ত মেখে নিচ্ছে ঠোঁটে, তাই দিয়ে চওড়া করে নিচ্ছে তার হাসি।
গত কয়েকদিন ধরেই রীতিমতো বাংলা ছবির দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছিল ‘ওয়ার’। পুজোর আগে এই ছবির চাপে প্রেক্ষাগৃহে বাংলা ছবি কোণঠাসা! কিন্তু যুদ্ধের ভয়ে বাংলা ছবির আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হবে কি? মনে হয় না। ধুন্ধুমার অ্যাকশন, বিদেশের অসাধারণ সব লোকেশন।
বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
আশ্বিনের এক শারদ সকাল। আকাশবাতাস মন জুড়ে শুধুই পুজো পুজো গন্ধ। এমন দিনে শ্রী আর দেবুর দেখা হয়। তাদের সম্পর্কটা সতেরো বছরের। অথচ আজও তা পরিণতি পায়নি। বছরের একটি মাত্র দিনই বরাদ্দ তাদের সম্পর্কের জন্য। পুজোর আমেজ গায়ে মেখেই দেবু-শ্রীর কথপোকথন শুরু। সঙ্গে নাচ গান শ্লোক আবৃত্তি। এভাবেই মিউজিক্যাল থিয়েটার প্রেমের পরশে রূপ পেয়েছে। এই প্রেমের পরশেই একত্রিত করেছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, দেবশঙ্কর হালদার, শ্রীলা মজুমদার, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, অভিরূপ সেনগুপ্ত, দেবলীনা কুমারদের। প্রাক মহালয়া সন্ধ্যায় জিডি বিড়লা সভাঘরে মঞ্চস্থ হল প্রেমের পরশে। দেবু-শ্রীর প্রেম এইদিন পূর্ণতা পেল দেবশঙ্কর হালদার-শ্রীলা মজুমদারের পাঠে। আর তাদের মনের কথা প্রকাশিত হল রাঘব চট্টোপাধ্যায়ের গানে এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের নৃত্যে। পুজো মানেই প্রেম। তাই অনুষ্ঠানে কোরক বসুর চণ্ডীপাঠের সঙ্গে রাঘবের কণ্ঠে ‘চাঁদ কেন আসে না’ মিলেমিশে একাকার হয়। রাঘবের কণ্ঠে ‘মন মোর মেঘের সঙ্গী’, প্রবাসী গায়িকা পরাগ রায়ের কণ্ঠে ‘ভালোবেসে সখী’ গানের সঙ্গে ঋতুপর্ণা-দেবলীনা-অভিরূপের নৃত্যশৈলী মঞ্চে দেবু-শ্রীর প্রেমকে মূর্ত করে। নাটকের শেষে সতেরো বছরের প্রেমকে শ্রী-দেবু বিয়েতে পরিণতি দিতে চায়। এমন আনন্দসংবাদ পরাগের কণ্ঠে ‘দমাদম মস্ত কলন্দর’ গানের তালে উদযাপন করলেন ঋতুপর্ণা-দেবলীনারা। অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলেখ্য ও অভিরূপ সেনগুপ্তের নৃত্য পরিকল্পনা মঞ্চ জুড়ে পাঠে অভিনয়ে নাচে গানে যে প্রেমের অনুষঙ্গ তৈরি করে তা এককথায় সিনেমাটিক। প্রয়াস এবং ইনার ভয়েজ কমিউনিকেশনের এই অভিনব উদ্যোগ পুজোর আগে ফিলগুড ফ্যাক্টরের কাজ করেছে।
মানসী নাথ
