বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এখন নিজেকে একজন গ্লোবাল আইকন ভাবতে কীরকম লাগে?
খুবই ভালো লাগে। একজন অভিনেতা তো সবসময়েই চান যাতে তাঁর কাজ প্রশংসিত হয় আর আমিও সেই চেষ্টাই করি। কোনওদিন ভাবিনি এতটা পরিচিতি পাব।
‘দ্য স্কাই ইজ পিঙ্ক’ ছবিটা করতে রাজি হলেন কেন?
তিন বছর কোনও ছবি না করে ভালোই করেছি। কোয়ান্টিকো সিরিজটা যখন শ্যুট করছিলাম, তখন থেকেই আমি একটা ভালো চিত্রনাট্য খুঁজছিলাম। বাস্তব জীবন থেকে উঠে আসা একটা চিত্রনাট্য। এই ছবিটা আমার শর্তগুলো পূরণ করতে পেরেছিল।
মারণ রোগে আক্রান্ত একটি বাচ্চা মেয়ের গল্প নিয়ে এই ছবি। সেখানে প্রচুর ইমোশন রয়েছে। জীবনে এরকম কোনও করুণ ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন?
প্রত্যেকের জীবনেই এরকম মুহূর্ত থাকে। মৃত্যুর সঙ্গে প্রত্যেককেই লড়তে হয়। আমার পরিবারকেও ভুগতে হয়েছে। মৃত্যু মানে তো সময় শেষ। অনেক সময় হয়তো অভিভাবকদের আমরা কতটা ভালোবাসি সেটা জানাতে ভুলে যাই। তাই সময় থাকতেই জীবনকে যতটা সম্ভব উপভোগ করা উচিত। ‘দ্য স্কাই ইজ পিঙ্ক’ এই বার্তাই দর্শকদের সামনে তুলে ধরবে।
পরিবারের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কতটা গাঢ়?
খুব। তবে শুনেছি টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে এই ছবিটা দেখার পর অনেকেই নাকি তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ফোন করেছিলেন।
জীবনের কঠিন সময়গুলোর সঙ্গে আপনি কীভাবে মোকাবিলা করেছিলেন?
ঘটনার গুরুত্ব বোঝান জন্য সময় দিতে হবে। স্বীকার করে নেওয়াটা জরুরি। তারপর এগিয়ে যেতে হবে। দেখুন এই ধরনের মুহূর্তগুলো কিন্তু মানুষকে অনেক কিছু শেখায়।
আপনার মা একবার বলেছিলেন যে ছোট থেকেই আপনি ডাকাবুকো ছিলেন...
তার জন্য আমার অভিভাবকদের ধন্যবাদ দেব। ওঁরা সবসময় আমাকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখিয়েছেন।
নিকের সঙ্গে বিয়ের পর জীবন কতটা বদলেছে?
নিক খুবই শান্ত। আমি ওর মতো ধৈর্য রাখতে পারি না। কিন্তু ওর সঙ্গে থেকে আমিও এখন একটু শান্ত হতে শিখেছি। ভারতে পা রাখার পর থেকেই এই দেশের প্রতি ওর একটা ভালো লাগা তৈরি হয়েছে। ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি ও খুবই শ্রদ্ধাশীল। সেটা আমাকেও ইম্প্রেস করেছে।
নামের পাশে আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটির তকমা জুড়ে যাওয়ার পর আমেরিকার মানুষ আপনাকে নিয়ে কী ভাবছেন মনে হয়? কারণ আপনি তো একসময় আমেরিকায় পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন।
কোনও একটা নির্দিষ্ট দেশের নাম করা উচিত হবে না। আমি তো এখানেও কাজ করি। এখানে আমার পরিবার রয়েছে। আমেরিকায় যখন পড়তে গিয়েছিলাম তখন আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করা হতো। সহপাঠীরা উত্যক্ত করত। ভয় পেতাম। আর সেইজন্যই আমি ওই দেশ ছেড়ে চলে এসেছিলাম। এখন সেখানে অনেক সম্মান পেয়েছি, আমার স্বামীও ওই দেশেরই নাগরিক। আমেরিকায় থাকলে ভারতীয় খাবারকে খুব মিস করি।
গত কয়েক বছরে তো আপনাকে নিয়ে অজস্র গুজব ছড়িয়েছে। কতকিছু বলা হয়েছে।
মানুষের মতামত আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাজের সমালোচনা হলে সেটা আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। আমি তো রাজনীতিবিদ নই, তাই সবসময় জবাব দেওয়ার দায়বদ্ধতাও নেই। আমার কাজ মানুষের মনোরঞ্জন করা। তার থেকে বেশি কিছু নয়।
আপনি তো নারীবাদী ছবিই করছেন।
এই কথাটা বলা মানে তো মেয়ে হিসেবে আমাদের সংখ্যালঘু করে দেওয়া! অভিনেতা তাঁর কাজ করেন মাত্র। একজন অভিনেতাকে নারী-পুরুষ হিসাবে আলাদা ভাবে দেখা উচিত নয়।
আপনার বায়োপিক হলে কি সেই ছবিতে আপনাকেই অভিনয় করতে দেখা যাবে?
আমি নিজেকে ততটা গুরুত্ব দিতে পছন্দ করি না। কে কী করবে জানি না। আমি নিজের কাজ করি, ব্যস।
আত্মজীবনী লিখবেন না?
‘আনফিনিশড’ নামে একটা বই লিখছি। কারণ, আমার পথ চলা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। জীবনের নানা অধ্যায় নিয়ে আমার ভাবনা মতামত থাকবে এই বইতে।
মুম্বই থেকে শামা ভগত