বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার ২২টি ঘাটে মঙ্গলবারই প্রায় ২৭৫টি প্রতিমার বিসর্জন হয়েছে। বুধবার দুপুরের পর থেকেও বিসর্জনপর্ব চলেছে। এছড়াও হুগলির বিভিন্ন ঘাটে প্রায় কয়েকশো প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। সবচেয়ে বেশি চুঁচুড়ায় ৭৫টি প্রতিমার বিসর্জন হয়েছে। হাওড়া পুরসভার কমিশনার বিজিন কৃষ্ণা জানিয়েছেন, গঙ্গায় বিসর্জনের পর কাঠামো তোলা ও বিসর্জনের কাজ করার জন্য অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল। রাতভর কাঠামো গঙ্গার ঘাট থেকে সরিয়ে ফেলার কাজ হয়েছে। বুধবারও এই কাজ হয়েছে। দূষণ রুখতে গঙ্গায় কোনও রকম ফুল, বেলপাতা ও অন্যান্য সামগ্রী ফেলতে দেওয়া হয়নি। তা অন্যত্র সংগ্রহ করে ফেলা হয়েছে। চুঁচুড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা চুঁচুড়া কেন্দ্রীয় পুজো কমিটির সভাপতি অমিত রায় বলেছেন, আমরা ১৫০ অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করে রাতারাতি কাঠামো সরিয়ে ফেলেছি। তবে উলুবেড়িয়ায় গঙ্গার ঘাটে ফুল, বেলপাতা ও অন্যান্য সামগ্রী পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। এমনকী, গঙ্গা থেকে কাঠামো সরানোর কাজও অনেক পিছিয়ে রয়েছে। যদিও উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস বলেছেন, গঙ্গা দূষণ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না। এই রকম হওয়ার কথা নয়। সঙ্গে সঙ্গে কাঠামো সরিয়ে ফেলার কথা। কেন হয়নি, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।
মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই হাওড়ার বিভিন্ন ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়। বাড়ির প্রতিমাগুলি সন্ধ্যার মধ্যেই অধিকাংশ বিসর্জন হয়ে যায়। সবচেয়ে বেশি প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে হাওড়া রামকৃষ্ণপুর ঘাটে। সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সর্বজনীনের প্রতিমা বিসর্জনের কাজ চলে। প্রতিটি ঘাটেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কোনও রকম দুর্ঘটনা এড়াতে নামানো হয়েছিল রিভার ট্রাফিক পুলিস। এছাড়াও ডুবুরি ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা বিভিন্ন ঘাটে ছিলেন। তবে হাওড়ায় কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই। ঘাটগুলিতে বিসর্জনের সুবিধা করে দিতে অতিরিক্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পুরসভার কর্মীরা ঘাট থেকে প্রতিমা নিয়ে গঙ্গায় ফেলার ব্যবস্থা করেছিলেন। সেই প্রতিমা কিছুক্ষণ পরই ক্রেনে করে ঘাটের পাড়ে তোলা হয়েছে। তারপর তা পুরসভার ডাম্পারে করে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে বুধবার সকাল থেকে বৃষ্টিতে প্রতিমা নিরঞ্জনে কিছুট বিঘ্ন ঘটে।