বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
বুধবার নবান্নে মুখ্যরসচিব রাজীব সিনহা ব্রিজ বিশেষজ্ঞ রায়নার রিপোর্ট নিয়ে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে পূর্ত দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব নবীন প্রকাশ সহ সিনিয়র ইঞ্জিনিয়াররা উপস্থিত ছিলেন। রিপোর্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। রায়নার রিপোর্টের বিষয়ে মুখ্যামন্ত্রীকে জানানো হচ্ছে। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শনিবার, ১২ তারিখে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই টালা ব্রিজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা হতে পারে বলেন নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। বৈঠকে মুখ্যাসচিব রাজীব সিনহা, পূর্ত সচিব নবীন প্রকাশ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলকাতার পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মা, ডিসি ট্রাফিক পাণ্ডে সন্তোষ, রেল ও রাইটস এর আধিকারিকরাও। রাইটসই প্রথম স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বলেছিল, ব্রিজটির অবস্থা ভালো নয়। আপাতত ছোট গাড়ি চালানো উচিত। তিন টনের বেশি ভারী গাড়ি যেন না চলে। রাজ্য সরকার পুজো পর্যন্ত বাস চালানোর প্রস্তাব দিলেও তাতে রাজি হয়নি রাইটস। তাদের সমীক্ষা রিপোর্টকে সিলমোহর দিলেন ভি কে রায়না।
এদিনের বৈঠকেও ঠিক হয়েছে, যেমন ছোট গাড়ি চলছে তেমন চলুক। তবে বড় গাড়ি চলতে দেওয়া যাবে না। দু’লেনে গাড়ি চলবে। আগামী ১২ তারিখ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। গাড়ির গতি ঘণ্টায় ১০ কিমি’র বেশি যাতে না হয়, সেদিকে নজর রাখতে পুলিসকে বলা হয়েছে। ট্রাফিক পুলিসের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ফোর্স দিতে বলা হয়েছে। বাস বা ভারী গাড়ি যাতে ঢুকে পড়ে তার জন্য ব্রিজে ওঠার প্রতিটি পথে গার্ড রেল বসানো হয়েছে। দু’মাসের মধ্যেো পরিবর্ত রাস্তা বের করতে হবে। তারপরেই ব্রিজ ভাঙার কাজে হাত দেওয়া হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। মাঝেরহাট ব্রিজের মতো টালা ব্রিজও ভেঙে ফেলে নতুন করে করার পক্ষে রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ কর্তারাও। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পূর্ত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৫৪-৫৫ সালে ব্রিজটির পরিকল্পনা করা হয়। ’৫৭ সাল থেকে ব্রিজটি তৈরির কাজ শুরু হয়। ১৯৬২ সালে ব্রিজটি চালু হয়ে যায়। উত্তর শহরতলির সঙ্গে মূল কলকাতার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হল টালা ব্রিজ। ব্রিজটি তৈরি করে পূর্ত দপ্তর। তবে ৫৭ বছরের পুরনো এই ব্রিজের ডিজাইন পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ত দপ্তর তথা নবান্নের অভিযোগ, রেলের যে অংশের উপরে ব্রিজটি রয়েছে, সেখানে রক্ষণাবেক্ষণ সেভাবে হয়নি। রেলকে এজন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই অংশেই বেশি ত্রুটি ধরা পড়েছে। ব্রিজ বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়না তাঁর রিপোর্টেও তা উল্লেখ করেছেন।