বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এসএসসির চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার বলেন, এত হাজার প্রার্থীর মধ্যে ৬৯টির আশপাশে অভিযোগ এমন বড় কিছু নয়। এই অভিযোগগুলির মধ্যেও কতগুলির সারবত্তা রয়েছে, তা দেখতে হবে। ছুটি শেষ হয়ে অফিস খুললে, অর্থাৎ ১৬ অক্টোবর অভিযোগগুলি আমরা পড়ে দেখা শুরু করব। আপাতত একটি খাতা বানানো হয়েছে। অভিযোগকারীর নাম, রোল নম্বর, ইমেল আইডি, মোবাইল নম্বর সহ বিভিন্ন তথ্যাদি লিখে রাখা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাঁদের একটি রসিদও দেওয়া হয়েছে লিখিত অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে। সবকিছুই খুবই স্বচ্ছভাবে হচ্ছে।
চেয়ারম্যানের এই দাবি অবশ্য মানতে রাজি নন কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস। তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যে সব অভিযোগ আমাদের কাছে আসছে, তাতে দু’টি ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশনের জন্য যত নম্বর দেওয়ার কথা, সেটা ঠিকমতো দেওয়া হয়নি। টেট-এর ওয়েটেজ দিতেও ভুল হয়েছে। আবার, যাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা খাতে বা টেটে নম্বর কম, তাঁকে পার্সোনালিটি টেস্টে বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে। কোথাও যেন একটা ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা হয়েছে। ইংরেজির এক প্রার্থী শিক্ষাগত যোগ্যতায় ৪০-এ ৪০ স্কোর করলেও তাঁকে দেওয়া হয়েছে ৩৬। কারও আবার প্রশিক্ষণ না থাকা সত্ত্বেও তাতে বরাদ্দ ১০ নম্বর দেওয়া হয়েছে। এরকম বহু উদাহরণ রয়েছে। অনেকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন আবার অনেকেই জানাননি।
টেট-এর প্রাপ্ত ওয়েটেজ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরের শতাংশ আলাদা আলাদা ভাবে যোগ করে গড় বের করলে কারও ক্ষেত্রে মিলছে। কারও আবার তাতেও মিলছে না। অনেকেই বলছেন, মোট প্রাপ্ত নম্বরের ৪০ শতাংশ ওয়েটেজ দেওয়ার কথা থাকলেও আলাদা আলাদা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরের পার্সেন্টেজ বের করে কেন হিসেব হবে? সৌদীপ্তবাবু বলেন, এসএসসি নিয়ে বার বার অভিযোগ উঠছে। আমরা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। যদি সবটাই স্বচ্ছ হয়, মেরিট লিস্ট কেন পিডিএফ আকারে থাকবে না? পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ও শিক্ষাবিষয়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতি সঙ্ঘমিত্রা ভট্টাচার্য বলেন, মেধাতালিকা নিয়ে অনেক অভিযোগের কথা শুনছি। এসএসসি নিয়ে বার বার এত অভিযোগ উঠবেই বা কেন? অন্যদিকে, শিক্ষকদের একাংশ আবার এসএসসির পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের মতে, এসএসসি খুব দ্রুত মেধাতালিকা প্রকাশ করে দিয়েছে। তাতে কিছু ভুলভ্রান্তি থাকতেই পারে। সে ব্যাপারে অভিযোগ করার রাস্তাও এখনও খোলা রয়েছে। চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশ করা হলে তখন সেটা পিডিএফ ফর্ম্যাটে থাকবে বলেই আশা করা যায়।