বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
গত বেশ কয়েক বছর ধরেই পুজোর সময় বইয়ের স্টল দেওয়া শুরু করে তৃণমূল। দলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র নামে এই বইয়ের স্টল দেওয়া হলেও দলনেত্রীর লেখা বই তার প্রধান আকর্ষণ। গত লোকসভা ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পর থেকে জনসংযোগে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে তৃণমূল। সেই লক্ষ্যেই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির নিয়ে মানুষের বাড়ির উঠোন পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছেন শাসকদলের প্রতিনিধিরা। দলের জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে হওয়া এই জনসংযোগের মাধ্যমে সরকারি ক্ষেত্রের পরিষেবা সংক্রান্ত নানা অভাব-অভিযোগের সুরাহা হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। এবার পুজোয় সেই জনসম্পর্ককে আরও সংহত করতে সক্রিয় হয়েছিল তৃণমূল। পুজো মণ্ডপকে ঘিরে যে জনসমাগম, তাকে কাজে লাগাতেই এবার পরিকল্পনা নিয়েছিল তৃণমূল। দলের এক নেতার মতে, পাড়ায় পাড়ায় বারোয়ারি দুর্গাপুজো আয়োজনের সিংহভাগই তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের হাতে। ফলে, অধিকাংশ পুজো মণ্ডপে ‘জাগো বাংলা’ বা দলের স্টল দেওয়ার সাংগঠনিক পরিকাঠামো তৈরি করতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি। দলের পক্ষ থেকে পুজোর আগেই মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক রাজ্যের সমস্ত জেলা নেতৃত্বকে সার্কুলার দিয়ে ‘জাগো বাংলা’র নামে স্টল দেওয়ার দলীয় সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। দলের মুখপত্রের উৎসব সংখ্যার সঙ্গে মমতার লেখা ৮০টি বইয়ের তালিকাও দিয়ে দেন তিনি। তাঁর দাবি, একদিকে বিজেপি সরকারের আর্থিক নীতির ফলে মানুষের দুর্দশা, অন্যদিকে এনআরসি’র নাম করে বাংলাকে হুমকি, এই দুইয়ের বিরুদ্ধে প্রচারের কাজ চলেছে এই স্টলগুলি থেকে। তৃণমূল নেত্রীর বইয়ের চাহিদাও এবার ছিল অনেক বেশি।
প্রায় সব স্টলেই ছিল ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচার। দলের এক নেতার মতে, ইতিমধ্যেই ‘দিদিকে বলো’র প্রভাবে আমজনতার সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়েছে। সেই সুবাদে ভিড় বেড়েছে তৃণমূলের স্টলে। তৃণমূলের উত্তর কলকাতার এক যুবনেতার মতে, রাজনীতির বই ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ছোটদের বইয়ের বিক্রিও ভালো হয়েছে। তাঁর আক্ষেপ, চাহিদার তুলনায় বই কম ছিল। আগে বুঝতে পারলে শিশু-কিশোরদের জন্য লেখা বইয়ের সম্ভার আরও বাড়ানো যেত। তাঁর দাবি, দলের কর্মীদের মধ্যেও এবার নেত্রীর লেখা পড়ার উৎসাহ বেড়েছে। তবে শুধু বই নয়, নেত্রীর লেখা গানের সিডিও বিক্রি হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাট সংলগ্ন বইয়ের স্টলে। ওই স্টলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক নেতার মতে, নেত্রীর জনপ্রিয়তা এমনই যে, বইয়ের স্টলে এসে অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিকৃতির খোঁজ করেছেন। জ্যোতিপ্রিয়বাবু জানান, শুধু কলকাতা নয়, গোটা রাজ্যেই এবার ভালো সাড়া পড়েছিল। এখনও সব জেলা থেকে বিস্তারিত খবর আসেনি। বেশিরভাগ জায়গায় দশমীর দিনেও স্টল খোলা ছিল। সব হিসেব এলে তখন কত টাকার বই বিক্রি হল, তা জানা যাবে। তবে, যে উদ্দেশ্যে বইয়ের স্টল দেওয়া, তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সফল হয়েছে বলে তাঁর দাবি।