বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
বাঁকুড়া জেলা খাদ্য দপ্তরের আধিকারিক মলি গুঁই বলেন, জেলায় মোট ১৯টি ধান্য ক্রয় কেন্দ্রে আগামী ১ নভেম্বর থেকে সহায়ক মূল্যে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হবে। ওই কেন্দ্রে চাষিরা এসে ধান বিক্রি করলে সহায়ক মূল্য ছাড়াও প্রতি কুইন্টালে অতিরিক্ত ২০ টাকা ইনসেনটিভ দেওয়া হবে।
বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু বলেন, সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার ক্ষেত্রে জেলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের যাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তা বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। সেই অনুযায়ী ধান কেনার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাঁকুড়া জেলা কৃষিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর সুশান্ত মহাপাত্র বলেন, এবছর জেলায় প্রায় ১০ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে। তাই চাষিদের বাড়ির প্রয়োজন মেটানোর পরেও সহায়ক মূল্যে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। উৎপাদনের সম্ভাব্য রিপোর্ট জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন ও খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সহায়ক মূল্যে ধান কেনার জন্য ইচ্ছুক বিভিন্ন রাইস মিলের মালিকদের জেলা খাদ্য দপ্তরে আবেদন জানাতে বলা হয়েছে। জেলার সমস্ত সরকারি গোডাউন খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ব্লক এলাকায় ধান্য ক্রয় কেন্দ্র (সিপিসি) খোলা হবে। কিছু মিল মালিকের বিরুদ্ধে ধান কেনার সময় কুইন্টাল পিছু অনেক বেশি বাদ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে চাষিদের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। তাই এবারও যাতে সেই সমস্যা না হয়, তার জন্য একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হবে। তাঁরা বিষয়টি দেখভাল করবেন। এছাড়াও বিগত দিনে বিভিন্ন সমবায় সমিতি ও রাইস মিলের বিরুদ্ধে দেরিতে টাকা মেটানোর অভিযোগ উঠেছে। এবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তা দেখভাল করার জন্য সমবায় সমিতির সদস্যদের গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার গোটা জেলায় সহায়ক মূল্যে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ৩ লক্ষ মেট্রিকটন থাকলেও জেলার কোন ব্লকে কতটা পরিমাণ ধান কেনা হবে তা সংশ্লিষ্ট ব্লকে উৎপাদনের উপর নির্দিষ্ট করা হবে। এনিয়ে কৃষিদপ্তরের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী ব্লকের কোটা ঠিক করে দেওয়া হবে।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানা কারণে চাষিদের ফড়েদের ধান বিক্রি করতে দেখা গিয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সময়ে টাকা না পাওয়া, আবার অনেক ক্ষেত্রে কাছাকাছি ক্যাম্প না থাকায় বাড়িতে বসে ফড়েদের ধান বিক্রি করে দেন। আগে খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে কেবল মাত্র সমবায় সমিতির মাধ্যমে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা হতো। যদিও পরবর্তীকালে ধান কেনার শিবির বাড়ানো হয়। চাষিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। দু’বছর আগে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের তাতে শামিল করা হয়েছে। তারপরেও সমস্যা দেখা দেওয়ায় এক বছর আগে প্রতিটি ব্লকে ধান কেনার জন্য পৃথক কর্মী নিয়োগ করা হয়। তাতে চাষিদের সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির ক্ষেত্রে আগ্রহ বেড়েছে।