বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদমারি আবাসিক বৃন্দ বেশ কয়েকবছর ধরে দুর্গাপুজো করে আসছেন। মঙ্গলবার রাতে তাঁরা প্রতিমা বিসর্জন করে ওয়ার্ডে ফিরছিলেন। অভিযোগ, ফেরার পথে তাঁদের উপর হামলা চালায় ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন এক কাউন্সিলারের দুই ছেলে এবং তাঁদের সাঙ্গপাঙ্গরা। মণ্ডপের কাপড় ছিঁড়ে দেওয়ার পাশাপাশি বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়। জখম হন কমিটির সম্পাদক শঙ্কর সাহা, কোষাধ্যক্ষ টিটু মণ্ডল সহ চারজন। তাঁরা বর্তমানে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শঙ্কর সাহা বলেন, আমরা শুধু পুজো নয়। গরিব মানুষের মধ্যে ১৯০ কেজি চাল ও ১৬০ জনের হাতে বস্ত্র তুলে দিয়েছি। আমরাও তৃণমূল দল করি। আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় পুজোর উদ্বোধন করেছেন। তা সত্ত্বেও ওই প্রাক্তন কাউন্সিলারের দুই ছেলে সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে মদ্যপ অবস্থায় আমাদের উপর হামলা চালাল। তিনি বলেন, ওরা নিজেদের তৃণমূলের মস্তান দাবি করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল। দুই ছেলের আচরণের জন্য ওয়ার্ডে ওই প্রাক্তন কাউন্সিলারের আধিপত্য কমছে। ওরা এখন নিজেদের দোষ ঢাকতে আমরা বিজেপি করি বলে প্রচার চালাচ্ছে। আমরা থানায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি দলকে বিষয়টি জানিয়েছি।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, মন্ত্রী পুজোর উদ্বোধন করলেও ওইদিন আশিসবাবুর হাত দিয়েই দুঃস্থদের হাতে চাল তুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে মন্ত্রী আসার আগেই কমিটির কর্মকর্তারা সেই চাল বিলি করে দেন। অন্যদিকে, সপ্তমীর দিনও তাঁরা গরিব মানুষের মধ্যে বস্ত্র বিলি করলেও এলাকার কোনও তৃণমূল নেতাকে না ডাকায় ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে সাবির ও পবন। মঙ্গলবার রাতে সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
যদিও এব্যাপারে জানতে প্রাক্তন ওই কাউন্সিলারকে ফোন করা হলে অন্য একজন কল রিসিভ করে জানান, তিনি ফোন রেখে বাইরে চলে গিয়েছেন। কখন আসবেন ঠিক নেই। একইভাবে তাঁর ছেলের মোবাইল বন্ধ থাকায় প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এধরনের ঘটনাকে দল কোনমতেই বরদাস্ত করবে না। যেই হামলা চালাক, অত্যন্ত অন্যায় কাজ করেছে। আইন আইনের পথে চলবে। লিখিতভাবে জানালে দলের পক্ষ থেকেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।