বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
খুরশিদের মন্তব্যে নিশ্চিতভাবেই বিড়ম্বনা বেড়েছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের। উত্তরপ্রদেশের এই প্রবীণ নেতার বক্তব্য, কেন হারলাম তার বিশ্লেষণের জন্য বাস্তবে আমরা একত্রে বসতেই পারিনি। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল আমাদের নেতা (রাহুল গান্ধী) সরে গিয়েছেন। এটা এক ধরনের শূন্যতা তৈরি করেছে। সোনিয়া গান্ধী এগিয়ে এসেছেন ঠিকই। কিন্তু তিনি নিজেকে ঠেকনো দেওয়ার ভূমিকায় আটকে রাখতে চাইছেন বলেই ইঙ্গিত। আশা করি তিনি এমনটা করবেন না। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের ভরাডুবির পর কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্তকে এই প্রথম কংগ্রেসের ভিতর থেকেই কেউ ‘পিঠ দেখানো’ বলে মন্তব্য করলেন। তাও আবার সলমন খুরশিদের মতো এক প্রবীণ নেতা একথা বলায় চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। যদিও নিজের অবস্থান থেকে তিনি সরতে নারাজ।
রিপোর্ট অনুযায়ী, রাহুল গান্ধী নাকি কম্বোডিয়ার একটি মেডিটেশন ক্যাম্পে অংশ নিয়েছেন। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলিতে সামনেই বিধানসভা ভোট। তার আগে তাঁর ভূমিকা এখনও পর্যন্ত প্রায় নিষ্ক্রীয়ই। খুরশিদের বক্তব্য, দল হিসেবে আজ আমরা কোথায়, তা ভেবে গভীর যন্ত্রণা ও উদ্বেগ রয়েছে আমার। যাই ঘটুক না কেন, আমরা দল ছাড়িনি। আমরা তাঁদের মতো নয় যাঁরা দল থেকে সব কিছু পায়, কিন্তু খারাপ সময়ে দল ছেড়ে দিয়ে সরে দাঁড়ান। আমাদের আন্তরিক আবেদন সত্ত্বেও রাহুল গান্ধী (সভাপতি পদে) ইস্তফা দিয়েছিলেন। তিনি থাকলে কংগ্রেস হয়তো (ভোট বিপর্যয়ের) উপযুক্ত ময়নাতদন্ত করতে পারত। রাহুল গান্ধী এখন সভাপতি নন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনিই আমাদের দলের প্রধান নেতা। ইতিহাসে এই প্রথম সম্ভবত বড় হারের পরও নেতার উপর আত্মবিশ্বাস হারায়নি দল। তিনি যদি থাকতেন তাহলে হয়তো হারের কারণগুলি আমরা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারতাম, ভবিষ্যতের লড়াইগুলির জন্য আরও ভালোভাবে তৈরি হতে পারতাম। খুরশিদের আরও বক্তব্য, এই অবস্থায় সোনিয়া গান্ধীর উচিত সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া এবং স্থায়ীভাবে কংগ্রেস সভানেত্রী হওয়া। প্রবীণ এই নেতার কথায়, আমাদের কাছে সময় খুব কম। দলকে এখনই কিছু পদক্ষেপ করতে হবে। এই বিলম্বের কারণ হল আমাদের নেতা রাহুল গান্ধী আমাদের থেকে সরে গিয়েছেন। এটা বলতে চাই, তিনি আমাদের সভাপতি ছিলেন এবং আমরা চাই তিনি দীর্ঘস্থায়ীভাবে ওই পদে থাকুন।