বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
৪ অক্টোবর দিল্লি এইমস, পুদুচেরির জিপমার এবং পিজিআই চণ্ডীগড়-এর অধিকর্তাকে চিঠি পাঠিয়ে সেই অগ্রাধিকার তুলে দেওয়ার কথা জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের আন্ডার সেক্রেটারি সুনীতা ধান্ডিয়াল এক নির্দেশে একথা জানানোর পাশাপাশি সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছেন, ২০২০ সাল থেকে এই তিন প্রতিষ্ঠানে এমবিবিএস-এ ভর্তির কোনও আলাদা পরীক্ষা থাকবে না। তিন প্রতিষ্ঠানে পঠনপাঠনের জন্যও নিট পরীক্ষায় বসতে ও কৃতকার্য হতে হবে। দিল্লি এইমস-এর ক্ষেত্রে এই নয়া নিয়ম কার্যকর হলেও তা প্রযোজ্য হবে দিল্লি সহ দেশের ১৫টি এইমস-এর সবশুদ্ধ ১২০৭টি আসনে ভর্তির ক্ষেত্রেই। কারণ, সব এইমস-এ ভর্তির ক্ষেত্রেই একই প্রশ্নপত্র হয়ে থাকে। এমনই তথ্য জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে।
এ বিষয়ে মেডিক্যালের প্রস্তুতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত চিকিৎসক ডাঃ অমিয়কুমার মাইতি বলেন, নিয়ম সবার জন্য এক হলে আর্মড ফোর্স মেডিক্যাল কলেজ বাড়তি ছাড় পাবে কেন? আমাদের রাজ্য সরকার এবং দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজ্যও তো চাইছে নিট পাশ ছেলেমেয়েদের মধ্যে থেকে ফের পরীক্ষা নিয়ে ছেঁকে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করতে। এই নয়া নিয়ম চালু হলে একই দেশের মেডিক্যাল শিক্ষার আসনগুলিতে ভর্তিতে সেই দু’রকমের নিয়মই চালু থাকবে আগের মতো। এক নিয়মে এইমস, জিপমার, পিজিআই চণ্ডীগড়ের মতো উৎকর্ষকেন্দ্রও আর পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজের মতোই নিট পাশ ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করতে বাধ্য হবে। অথচ আমর্ড ফোর্স মেডিক্যাল কলেজ দু’বার করে পরীক্ষা নিয়ে নিজের মতো চলবে। এ কেমন কথা হল!
প্রসঙ্গত, নিট পরীক্ষা আর এইমস-এর পরীক্ষা দুটি মধ্যে নানা বিষয়ে ভিন্নতা রয়েছে। ২০২০ সালে নিট পরীক্ষা হবে তিন ঘন্টার এবং ৭২০ নম্বরে। ৩৬০ নম্বর বায়োলজিতে (জুলজি ও বোটানি)। বাকি ৩৬০ নম্বর ১৮০ করে নম্বর থাকবে ফিজিক্স এবং কেমিস্ট্রিতে। বায়োলজিতে ৯০টি এবং ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রিতে ৪৫টি করে প্রশ্ন থাকবে— সবশুদ্ধ ১৮০টি প্রশ্ন থাকে। অন্যদিকে এইমস-এ এমবিবিএস-এ ভর্তির পরীক্ষায় সময় থাকে সাড়ে তিন ঘন্টা। তার মধ্যে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি— প্রতিটিতে ৬০টি করে প্রশ্ন থাকে। এছাড়াও সাধারণ জ্ঞান বা জেনারেল নলেজ এবং অ্যাপ্টিটিউড এবং লজিক্যাল থিঙ্কিং-এর জন্য আরও ১০টি করে মোট ২০টি প্রশ্ন থাকে। দুটি ক্ষেত্রে পরীক্ষা পদ্ধতিতেও ফারাক রয়েছে। এইমস-এ হয় কম্পিউটার বেসড পরীক্ষা। অন্যদিকে নিট পরীক্ষা হয় পেন-পেপার পদ্ধতিতে। প্রথম ক্ষেত্রে শুধু ইংরেজি ও হিন্দিতে পরীক্ষা হয়। অন্যদিকে নিট হয় ইংরেজি, হিন্দি, অসমিয়া, বাংলা, গুজরাতি, কন্নড়, মারাঠি, ওড়িয়া, তামিল, তেলুগু এবং উর্দুতে।