বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেসব কৃযি জমির মালিক দু’বার টাকা পেয়েছেন, তৃতীয় কিস্তির ক্ষেত্রে তাদের আধারের ভুল ত্রুটি নিয়ে কড়াকড়ি হবে না। আধার নম্বর থাকলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা চলে যাবে। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই ছাড় দেওয়া হচ্ছে বলেই মোদি মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। অন্যদিকে, অসম, মেঘালয় এবং জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে ২০২০ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে। কারণ ওই তিন রাজ্যে আধার সংযোগ এবং ভুল ত্রুটির সংখ্যা প্রচুর। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ গোটা দেশের মধ্যে একমাত্র রাজ্য, যারা এই প্রকল্পে অংশই নেয়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৬৮ লক্ষ কৃষককেও বছরে ছ’হাজার টাকা দেওয়ার জন্য মোদি সরকার সম্পূর্ণ তৈরি।
আগে ছিল দু’হেক্টর পর্যন্ত যাদের জমি আছে, কেবলমাত্র তারাই প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি (পিএম কিষাণ) প্রকল্পে বছরে ছ’হাজার টাকা করে পাবেন। তিন কিস্তিতে দু’হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। কিন্তু দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে নরেন্দ্র মোদি পরিধি বাড়িয়ে দেশের সব কৃষি জমির মালিককেই এই সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় আধার নিয়ে। আধার ছাড়া এই প্রকল্পে অংশ নেওয়াই যাবে না। কৃষিমন্ত্রক ঠিক করেছিল আধার নাম্বার দিয়ে প্রকল্পটি শুরু করে দেওয়ার পর নামের বানান, ঠিকানা ইত্যাদি খুঁটিয়ে দেখা হবে। তবেই মিলবে তৃতীয় কিস্তির টাকা। এর আগে ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে মার্চ ২০১৯ এবং চলতি বছরের এপ্রিল-জুলাই মাসের দুই কিস্তি টাকা পেয়ে গিয়েছে কয়েক হাজার কৃষক।
কিন্তু সঠিক ব্যক্তির কাছেই টাকা যাচ্ছে তো? তা খতিয়ে দেখতেই আধারে থাকা নামের বানান, ঠিকানা ইত্যাদির খুঁটিনাটি পরীক্ষার কাজ শুরু করেছিল কৃষিমন্ত্রক। কিন্তু ওই প্রক্রিয়া সময় লাগায় তৃতীয় কিস্তির টাকা পেতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল। তাই সামান্য ভুল ত্রুটি শুধরনোর প্রক্রিয়া জারি থাকলেও আপাতত কৃষকরা যাতে বঞ্চিত না হয়, তারই লক্ষ্যে নিয়মে কিছুটা ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মন্ত্রিসভা। তবে চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ফের কড়াকড়ি হবে বলেই কৃষিমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে।