বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
তমলুক শহরে ১১নম্বর ওয়ার্ডে তাম্রলিপ্ত পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন সংস্থার মহিলা পরিচালিত পুজোয় মেয়েদের সিঁদুরখেলার বাড়তি আকর্ষণ রয়েছে। রমা দত্ত, শুভ্রা বেরা, কল্যাণী বেরা মুখোপাধ্যায়, মমতাজ বেগম, সুভদ্রা চক্রবর্তী, শেফালি ভুঁইঞা প্রমুখ এদিন সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন। একে অপরকে সিঁদুরে রাঙিয়ে দেন। তমলুকের ইয়ুথ স্পোর্টিং ক্লাবে সিঁদুর খেলায় অনেকেই যোগ দেন। একইভাবে নিমতলা রেগুলেটেড মার্কেটে উৎসব ক্লাবের মহিলা পরিচালিত পুজো, তমলুক শহরে দক্ষিণচড়া শঙ্করআড়া প্রাইমারি স্কুলমাঠে প্রথমা মহিলা পরিচালিত পুজো এবং রামসাগর পুকুরপাড়ে হৃদজায়া মহিলা পরিচালিত পুজোয় জাঁকজমক সহকারে সিঁদুরখেলা হয়েছে। মহিষাদল রাজবাড়ি, মহিষাদল গুণ্ডিচাবাটিতে শুভেনিয়া ক্লাবের পুজো সহ বিভিন্ন মণ্ডপে মহিলারা সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন। হলদিয়া এবং কাঁথির বিভিন্ন পুজোমণ্ডপে সিঁদুরখেলা হয়েছে জাঁকজমক সহকারে।
এদিন হলদিয়ার সিটি সেন্টার এবং সুতাহাটার দোরো কৃষ্ণনগরে রাবণপোড়া অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ওই দুই জায়গায় অনুষ্ঠান পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তমলুকের রাধাবল্লভপুরে দুর্গাপুজো কমিটির উদ্যোগে মঙ্গলবার রাবণপোড়া অনুষ্ঠান হয়েছে। এখানকার পুজো ৭৩ বছরে পড়ল। যদিও গত পাঁচ বছর ধরে এখানে রাবণপোড়া চলছে। রাবণপোড়া এবং আতসবাজি প্রদর্শন দেখতে আশপাশ এলাকা থেকে প্রচুর সংখ্যক দর্শনার্থী হাজির হয়েছিলেন। নন্দকুমার থানার তালপুকুর রেল ক্রসিং ফুটবল ময়দানে ব্যাবত্তারহাট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে রাবণপোড়া উৎসব হয়েছে। বিধায়ক সুকুমার দে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
মহিষাদলে রামবাগে রাবণপোড়া উৎসব বহু বছর ধরে হয়ে আসছে। রামজিউর মন্দির থেকে রাম, সীতার মূর্তি আনা হয়। রামবাগে খড় এবং বাঁশের বাখারি সহ ছাউনি দিয়ে রাবণের ঘর তৈরি করা হয়। খড় দিয়ে বানানো হয় রাবণের মূর্তি। তাতে আগুন ধরানো হয়। রাবণের ঘর থেকে আধপোড়া বাঁশের বাখারি সংগ্রহ করার জন্য দর্শনার্থীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। অনেকের বিশ্বাস, আধপোড়া ওই সব জিনিসপত্র বাড়িতে রাখলে উইপোকার উপদ্রব কমে যায়। সেই বিশ্বাসেই ফি বছর এখানে রাবণপোড়া দেখতে ভিড় জমে।
এদিন রামবাগে মেলা বসেছিল। রামবাগের মতো মহিষাদলের গুণ্ডিচাবাটিতে রাবণপোড়া অনুষ্ঠান উপলক্ষে একদিনের মেলা বসে। এখানেও রাবণপোড়া দেখার জন্য প্রচুর সংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। মঙ্গলবার সকালে একদিনের জন্য আখ ও কাঁকড়ার মেলা বসে। ক্লাবের সদস্য ভূপাল মাইতি বলেন, গড়কমলপুর গ্রামে কালী মন্দিরে রাম-সীতার মূর্তি আছে। সেখান থেকে রথে চাপিয়ে রাম-সীতাকে আনা হয়। এখানকার রাবণ পোড়া দেখতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। আমাদের পুজো এবার ২৫বছরে পড়ল। তবে রাবণপোড়া হচ্ছে গত ২১ বছর ধরে। প্রতিবারই বহু মানুষের ভিড় হয়।
কাঁথির নান্দনিক ক্লাবের উদ্যোগে সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকায় মঙ্গলবার রাবণ পোড়া হয়। তা দেখার জন্য প্রচুর মানুষজন ভিড় করেন। তমলুকের কাঁকটিয়া সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির উদ্যোগে কাঁকটিয়াতেও রাবণ পোড়া হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বালিচকে রাবণ পোড়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন পুজো কমিটিকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। মেচেদায় বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে সিঁদুর খেলা হয়েছে জাঁকজমক সহযোগে। পাশাপাশি কাঁথি এবং এগরার বিভিন্ন মণ্ডপে বিজয়া দশমীতে সিঁদুর খেলায় বিভিন্ন বয়সের মেয়েরা অংশ নিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে বিজয়ার মিষ্টি বিতরণ হয়েছে। পরস্পরের মধ্যে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে।