বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধির ফলে ফরাক্কা, সামশেরগঞ্জের একাধিক এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। পুজোর আগে গঙ্গা তীরবর্তী এলাকার কয়েকশো পরিবারকে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে হয়। পরে ফরাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি লকগেট খুলে দেওয়ার পর একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বন্যার আতঙ্কে কার্যত ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। জলবন্দি হয়ে পড়া কয়েক হাজার গ্রামবাসীকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হয় প্রশাসন। যদিও গত কয়েকদিনে এলাকায় জল একটু একটু করে কমছে।
এলাকার অনেকে বলেন, গঙ্গার ভাঙন ফরাক্কা-সামশেরগঞ্জের অন্যতম বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে গঙ্গার ভাঙনে বসতবাড়ি, জমিজমা হারিয়ে বহু পরিবার নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে। এবার ভাঙন শুরু হতেই আতঙ্কে ভুগছেন নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধানঘড়া, কামালপুর গ্রামের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার বিজয়া দশমীর দিনে পুজোর আনন্দের মাঝেই ভাঙনের খবর আসতে থাকে। ওইদিন দুপুর থেকে গঙ্গার প্রায় ২০০মিটার এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের অবহেলার কারণেই ভাঙন প্রতিরোধের কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। ফের যেভাবে গঙ্গার ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তীরবর্তী প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের। তিনফসলি জমি হারিয়ে কার্যত বাধ্য হয়েই বিড়ি শ্রমিক কিংবা রাজমিস্ত্রির কাজ করে জীবন কাটাতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। ভাঙন রোধে প্রসাশন কিংবা রাজনৈতিক দলগুলিকে বারবার এলাকাবাসী অভিযোগ জানালেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে প্রতিবার বর্ষায় আতঙ্ক বাড়ে গঙ্গা তীরবর্তী এলাকার মানুষজনের।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, গঙ্গার ভাঙন অব্যাহত। গত কয়েক ঘণ্টায় প্রায় ২০০মিটার এলাকাজুড়ে ধস নেমেছে। যেভাবে ভাঙন হচ্ছে তাতে গঙ্গা থেকে মাত্র কয়েকশো মিটার দূরত্বে থাকা বাড়িঘরও তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। অনেকে বলেন, আবেদন-অনুরোধ করেও কোনও ফল মিলছে না। এর আগেও ভাঙনে ঘরবাড়ি তলিয়ে গেলেও প্রতিরোধের কোনও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। যেভাবে বছরের বিভিন্ন সময়ে বিরাট এলাকা গঙ্গার গর্ভে চলে যাচ্ছে তাতে ক’দিন পর এলাকায় হয়তো বসবাস করাও যাবে না।